You are currently viewing বাইবেলের ভবিষ্যতবানির দিকে কি এগুচ্ছে রিয়াদ ও তেল আবিব।বিস্তারিত (আখিরুজ্জামান)

বাইবেলের ভবিষ্যতবানির দিকে কি এগুচ্ছে রিয়াদ ও তেল আবিব।বিস্তারিত (আখিরুজ্জামান)

বাইবেলের ভবিষ্যতবানির দিকে কি এগুচ্ছে রিয়াদ ও তেল আবিবক

যা হওয়ার কথা ছিলো,পরিস্থিতি ঠিক সে দিকেই এগুচ্ছে। শায়েখ ইয়াসির আল দোসারি মক্কার একজন প্রসিদ্ধ ইমাম। উনার সুমধুর তেলাওয়াত শোনার জন্য সবাই অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে। শায়েখ ফি লি স্তি ** নিয়ে লিখে ছিলেন আল আ ক সা আল্লাহর সাহায্যে বিজয়ী হবে!আল আ কসা র ছবি দিয়ে মাত্র দুটি লাইন লিখেছেন।তার পরের ঘটনা অদৃশ্য থেকে আদেশে তার পদবি হারিয়েছেন। সুদু ই তা নয় আরবের অনেক হক্কানী আলেম, সালমান বিন আওদার মতো আলেমদের ও সালমান প্রশাসন বন্দি করে রেখেছে। ওরা খোরাসান থেকে যে আলো বের হবে তার ভয় পায়।কারণ এই আলো তাদের ক্ষমতাকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিবে ইনশা আল্লাহ।

পরিস্থিতি এখন একদম সিমা রেখায় অবস্থান করতেছে! আমি আমার অনেক আলচনায় বলেছি
তলে তলে বে হু দি খ্রিষ্টানরা সবাই জানে যে, বিশ্ব কোন দিকে যাচ্ছে! আর আমাদের ভিতর যারা কুরআন ও হাদিস গভীরভাবে অধ্যায়ন করে তারাও জেনেছে। বাকিরা সব ঘুমিয়ে আছে, এদের ঘুম কখন ভাঙবে আল্লাহই ভালো জানেন।

আপনাদের নিখুঁত লাল গাভীর কথা বলেছিলাম মনে আছে?এটা ইয়া হুদী দের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।আপনাদের কাছে হালকা মনে হলেও এ একটা বিশ্বাস দিয়ে তারা পুরো পৃথিবী জালিয়ে দিবে! আর সে সময়টা এখন সমাগত।

বাইবেল দানিয়েল অধ্যায় ৯ ২৭ নম্বর অনুচ্ছেদ বলা আছে।ভবিষ্যত একজন ই হু দি শাসক আসবে সে অনেকে মুসলিম,অমুসলিম শাসকের সাথে চুক্তি করবে! আর এ চুক্তির মেয়াদ হবে ৭ বছর ৬ মাস। এ চুক্তির ৩/৫ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরে তারা নিখুঁত লাল গাভী জবাই করে দিবে।তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে তারা বিতাড়িত হওয়ার কারণে তারা অপবিত্র হয়ে গেছে। আর এ নিখুঁত লাল গাভী তারা জবাই করে, তার রক্ত পুড়ে চাইয়ের মাধ্যমে তারা পবিত্র হবে।আর এ লাল গাভীর জন্য বে হু দি রা ২০০০ বছর অপেক্ষা করছে।২০১৭ সালে এমন ৩টি,লাল গাভি ই হু দি রা সনাক্ত করতে পেরেছে।

আর নিখুঁত লাল গাভী জবাই করার পরেই তারা হাইকেল অফ সোলাইমান অর্থাৎ টেম্পল অফ সোলাইমান নির্মাণ করতে পারবেন। যার অর্থ দাঁড়ায় দাজ্জালের মন্দির।আর এ মন্দির নির্মাণ করতে পারলে দাজ্জালার আগমন ঘটে যাবে। সাম্প্রতিক সময়ে বিন সালমান বে হু দি দের নিয়ে লিবারেল বক্তব্য গুলো খুব বেশি আলচনায় আসছে। পবিত্র নগরিতে একের পরে এক অশ্লীলতার প্রসারের কথা বহু আগের কথা। আর সাম্প্রতিক সময়ে ইস রায়েলের সাথে চুক্তির বিষয় যে গুঞ্জন তা মোটামুটি নিশ্চিত। কারণ শায়েখ ইয়াসির আল দোসারির বরিষ্কারে আদেশের কথা চিন্তা করে দেখলে বুঝতে কঠিন হওয়ার কথা না। আরও কাকতালিয় বিষয় হচ্ছে, ইস রাইল সাম্প্রতিক সময় বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রের সাথে চুক্তি করেছে। আলামত স্পষ্ট বিপর্যয় নিকটে।

হাদিসের পবিত্র ভবিষ্যৎ বাণীতে তিনটা বাহিনির কথা বলা আছে। আল্লাহর রাসুল সা: বলেছেন আল্লাহ তার দুই দল বান্দাকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দিবেন। এর প্রথম দল যারা দাজ্জালের বিরুদ্ধে ইসা আ: হয়ে যুদ্ধ করবে,আলহামদুলিল্লাহ সে দল ও চিহ্নিত হয়েছে। আরেকদল হচ্ছে তারা যাঁরা গাজোয়াতুল হিন্দে যুদ্ধ করবে।যদিও এ বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কথা বলা যাচ্ছে না। কিন্তু নানান ভূখণ্ডে হক দল চিহ্নিত আছে।

আর তৃতীয় সুসংবাদপ্রাপ্ত দলের কথা বলেছিলেন, যে দলটি ইমাম মাহদীর সাথে প্রথম শরিক হবেন।আর তারা বের হবে খোরাসান থেকে।ইনশাল্লাহ, বিয়িজনিল্লাহ অলরেডি দুটি দল চিহ্নিত হয়েছে,দাজ্জালের বিরুদ্ধে যাঁরা লড়বে,আরেকদল হচ্ছে খোরাসানের অপরাজেয় বাহিনী যা ইতিমধ্যে চিহ্নিত হয়েছে।

আর এ বিষয় গুলো প্রকাশিত হওয়া ইমামুল মাহদির আগমনের চুড়ান্ত আলামত। যদি ও দেখে মনে হয় পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলে নেই।তারা,তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের দিকে দুর্বার ভাবে এগিয়ে যায়। কিন্তু বিজয় মোসলমানদের ইনশা আল্লাহ। ইসলামের বিজয় সুনিশ্চিত।

শেষ কথা বলি! যে ব্যক্তি খোরাসানের হক দলকে চিহ্নিত হতে দেখেছে। দাজ্জালের বিরুদ্ধে লড়া বাহিনীকে দেখেছে। ফোরাত নদী শুকিয়ে যেতে দেখেছে! আর সে তার ঈমান আমলের বিষয়ে যত্নবান হয়নি তার জন্য দুঃখ।

সাইদুল ইসলাম সজিব
১০/১০/২০২৩

Leave a Reply