You are currently viewing মহা সুসংবাদের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে!পর্বঃ০৩

মহা সুসংবাদের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে!পর্বঃ০৩

বিস্ময়কর তথ্য হলো ইমাম মাহাদীর আগমনের বছর হিজরি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী রমাদ্বান শুরু হবে শুক্রবার রাতে এবং মধ্য রমাদ্বান হলো শুক্রবার।
হিসেব করে দেখেছি ২০৪০ সালের ভিতরে ২০২০ এবং ২০২৮ সালে শুধুমাত্র প্রথম ও মধ্য রমাদ্বান শুক্রবার পরে।
তার চেয়েও বড় ব্যপার।

আল্লাহ তা’আলা এ উম্মাতের (কল্যাণের) জন্য প্রত্যেক শতাব্দীর শেষে এমন এক ব্যক্তিকে পাঠাবেন যিনি তাদের দ্বীনকে সংস্কার করবেন।” [মিশকাতুল মাসাবিহ ২৪৭, আবি দাউদ ৪২৯১; হাদিসের মানঃ সহীহ]
ইমাম মাহদী কে আল্লাহ্ প্রেরণই করবেন দ্বীন কে সংস্কার করার জন্য। তো সর্বশেষ মুসলিমদের সোনালি যুগ তথা সর্বশেষ খিলাফাহ (ওসমানী খিলাফত) বিলুপ্ত হয় ১৯২৪ সালের ৩ মার্চ।

অতঃপর ইংরেজ ক্রুসেডার কতৃক মুসলিম ভূখণ্ড গুলো ৫৭ ভাগে বিভক্ত হয়, যে ভূখণ্ড গুলোতে ইংরেজদের দালাল শাসক গোষ্ঠী নিয়োজিত হয়। নেমে আসে মুসলিমদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন। ইহুদিরা জেরুজালেম দখল করে নেয়, বাবরি মাসজিদ কে শহীদ করা হয়, পৃথিবীর দিকে দিকে মুসলিমরা নির্যাতনের শিকার হতে থাকে, মুসলিমদের রক্তে রঞ্জিত হতে থাকে পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্ত। এ থেকে রেহাই পায়নি নারী-শিশু কিংবা বৃদ্ধরা। ফিলিস্থিন, ইরাক, সিরিয়া, চেচনিয়া, বসনিয়া, আফগানিস্তান, কাশ্মীর, মিয়ানমার সহ মাশরিক থেকে মাগরিব সমগ্র পৃথিবীটা মুসলিমদের জন্য সংকীর্ণ হতে থাকে।

দ্বীনের মধ্যে হরেক রকমের বিদআদ, শির্ক চালু হয়ে যায়। অধিকাংশ ধর্মীয় আলিমগন দ্বীনকে দুনিয়া অর্জনের মাধ্যম বানিয়ে ফেলেছে, লঘু কেন্দ্রিক বিভিন্ন দলে উপদলে মুসলিমরা বিভক্ত হয়ে যায়। মোট কথা হলো মুসলিম জাতি অভিভাবক শূন্য হয়ে পরে।
নাবী [সঃ] বলেছেন, প্রতি শতাব্দীর শেষ দিকে একজন সংস্কারক তথা মুজাদ্দিদ প্রেরণ করবেন। তো ২০২৪ সালে ফিলাফাহ বিলুপ্তির পর হিজরী হিসেবে ২০২১ সালে একশত বছর বা এক শতাব্দী পূর্ণ হওয়ার কথা । সে হিসেবে বলা যায় ২০২১/২০২৮ সালে কিছু একটা ঘটতে পরে যার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। “আল্লাহ্ ভাল জানেন”
আরেকটি বিষয় তা হলো, হাদিসে এসেছে ইমাম মাহদীর হতে সর্ব প্রথম বদরের সাহাবিদের সমান সংখ্যক তথা ৩১৩ জন বায়াত দিবে। আমরা জানি মাসজিদুল হারামে সবসময় লক্ষ লক্ষ মুসলিমের সমাগম ঘটে। তো শুধু ৩১৩ জন কেন(?) তাও আবার মক্কার অধিবাসী বলা হয়েছে।
এর কারণ হতে পারে তখন হজ্ব/ওমরাহ বন্ধ থাকতে পারে, কাবা চত্বরে অধিক লোক সমাগম নিষিদ্ধ করা হতে পারে। আর এটা হওয়ায় স্বাভাবিক।
তো বর্তমানে অটোমেটিক এমন পরিস্থিতিই সৃষ্টি হয়ে গেল। বিষয় গুলো ভাবিয়ে তুলছে!
তারপর কিতাবুল ফিতনে একটি বর্ণনা পাওয়া যায়,
এটি হযরত তাবে’ হতে বর্ণিত,

তিনি বলেছেন এক দল আশ্রয়প্রার্থী অচিরেই মক্কায় আশ্রয় নিবে (মাহদী দাবি করবে) , কিন্তু তাদেরকে হত্যা করে দেওয়া হবে। অতপর মানুষ বুরহা সময় অতিবাহিত করবে, (এখানে “বুরহা” ﺑﺮﻫﺔ শব্দটি এসেছে। একজন স্কলার থেকে শুনেছি ইবনে আব্বাস বলেছেন এই “বুরহা” হল ৩৩-৪০ বছর সময়কাল) এরপর আরেকজন আশ্রয় চাইবে। যদি তোমরা তাকে পাও তাহলে তোমরা তাকে আক্রমন করিও না। কেননা সে ধসেন ওয়ালা সৈন্যদলের একজন বিশেষ সৈন্য। [কিতাবুল ফিতানঃ হাদিস নং ৯৩৫]
১৯৭৯ সালে এক ব্যক্তি মক্কায় অবস্থান করেছিল। তার নেতৃত্বে ১৭ দিন ধরে মক্কায় বিশাল যুদ্ধ বিদ্রোহ হয়েছিল। পরে তাদের অনেকেই সেখানে মারা যায় এবং বাকিদেরকে শিরশ্ছেদ করা হয়। ৭৯ সালে নভেম্বরে এই ঘটনা ঘটেছিল। এখন ২০২১ সাল, তাহলে চলতি বছরে ৪০ বছর সাতমাস সামথিং চলছে হিজরী হিসেবে।
এখানেও কিছুটা ইংঙ্গিত রয়েছে।
আল্লাহ্ আজ্জা ওয়াজাল ভাল জানেন।
অল্প কিছু দিন পূর্বে একটি নিউজ দেখতে পেলাম যেটা ‘ইসরাইল টুডে’ তে এসেছে। সেখানে ইয়াহুদীদের রাবা’ই একটি সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন তাদের শীর্ষ রাবা’ই নাকি তাদের মাসীহ তথা দাজ্জালের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করেছে। এবং সে দাবি করে খুব দ্রুত মাসীহ এর আগমন ঘটবে।

আবার গত ২০০৮ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারী প্যালেস্টাইনের টিভি চ্যানেল আল আকসা (Al Aqsa TV) তে সেখানকার একজন আলেম, তিনি ঈসা বাদওয়ান। তিনি এক সাক্ষাতকারে বিস্ময়কর একটি তথ্য দেন একটি শিশুকে হাসপাতাল থেকে গাড়িতে উঠানোর পর, সবইকে সালাম দেয়, এবং বলেন আমিই সেই শিশু যাকে দাজ্জাল হত্যা করবে, আমার পরে সে কাউকে কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
হাদিসে এসেছে, “মাসীহ আদ দাজ্জালের আগমন হলে এক যুবক দাজ্জালের কাছে যাবে এবং দাজ্জাল তাকে হত্যা করতে পারবে না, অতঃপর নিক্ষেপ করে জান্নাতে, যা দেখতে মনে হবে জাহান্নাম” [মুসলিম-৭০১৯]
যদি ২০০৪ সালে জন্ম গ্রহণকারী এই বাচ্চা সে যুবক হয়ে থাকে তাহলে হাদিসের বর্ণনা মতে, ২০-২৫ বছর সম্পন্ন (তথা পূর্ণ যুবক) হলে দাজ্জাল তাকে নিক্ষেপ করবে। তাই যদি হয় তাহলে তার বয়স ২০২১ সালে ছেলেটির বয়স ১৭। আর দাজ্জাল আসবে ইমাম মাহদীর ৭ম বছরে।
এছাড়াও অনেক স্কলারগন সহীহ বুখারিসহ কয়েটি হাদিস গ্রন্থ থেকে দলিল উপস্থাপন করেন, মুসলিম উম্মাহ্র বয়স ১৫০০ বছর। তো যদি এমনটি হয় তবে সে হিসেবে উম্মাহ্র ১৪৫১ বছর চলে গিয়েছে। বাকি থাকে ৪৯ বছর এর মধ্যে ঈসা ইবনে মারিয়াম (আঃ) ৪০ বছর শাসন করবেন এবং ইমাম মাহদী ৭/৯ বছর।
তাহলে সে হিসাবে চোখ-কান খোলা রাখা প্রতিটি সচেতন মুসলিমদের কর্তব্য।

আল্লাহ্ আমাদেরকে প্রকৃত ইমাম মাহদীর কাফেলায় অন্তর্ভুক্ত করুন। এবং সকল ভন্ডদের থেকে হিফাজত করুন।

আল্লাহু আলাম।

চলবে,,,
আরো জানতে পড়ুন,,

Leave a Reply