You are currently viewing মহা সুসংবাদের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে! পর্বঃ০৮

মহা সুসংবাদের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে! পর্বঃ০৮

ফোরাত নদীর তীরে সোনার পাহাড় ভেসে উঠা ও ইমাম মাহদীর নিকট খিলাফতের দায়িত্ব হস্তান্তরঃ


হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ) বলে,ন, “কেয়ামত সংঘটিত হবেনা, যতক্ষণ না ফোরাত নদী থেকে স্বর্ণের খনি প্রকাশ হবে। স্বর্ণদখলের লোভে সবাই সেখানে যুদ্ধ করতে থাকবে। ৯৯% লোক ই সেই যুদ্ধ সেখানে নিহত হয়ে যাবে। বেঁচে থাকা প্রত্যেকেই -আমি-ই শুধু বেঁচে আছি- মনে করবে।”
(সহীহ মুসলিম: ৭৪৫৪)

অপর বর্ণনায়, নবী করীম (সাঃ) বলেন, “তোমাদের মধ্যে যারা তখন বেঁচে থাকে, কেউ যেন ওখান থেকে কিছু গ্রহণ না করে।”
(সহীহ বুখারী : ৬৭০২, সহীহ মুসলিম : ৭৪৫৬)
হযরত উবাই বিন কা’ব (রাঃ) বলেন, নবী করীম (সাঃ) কে আমি বলতে শুনেছি, “অচিরেই ফোরাত-নদীতে স্বর্ণের ভান্ডার প্রকাশ পাবে, শুনা মাত্রই সবাই সেখানে চলে যাবে। স্হানীয় লোকেরা বলবে, ব্যবস্থা না নিলে সবটুকু স্বর্ণ-ই মানুষ দখল করে নিয়ে যাবে। ফলে তারাও সেখানে যুদ্ধে লিপ্ত হবে। ৯৯% যুদ্ধা-ই সেখানে নিহত হয়ে যাবে।”
(সহীহ মুসলিম : ৭৪৫৮)

রাছূলুল্লাহ ( সাঃ) আরো বলেছেনঃঅচিরেই ফোরাত নদী থেকে একটি স্বর্নের গুপ্তধন বের হবে । সে সময় যে ব্যক্তি সেখানে উপস্হি হবে সে যেন তা থেকে কিছুই গ্রহন না করে। -( মুসলিম, অধ্যয়ঃ কিতাবুল ফিতান ওয়া আশরাতুস- সাআ)

** সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত তিনি বলেন, চতূর্থ ফিৎনা হচ্ছে, অন্ধকার অন্ধত্বপূর্ন ফিৎনা। যা সমুদ্রের ঢেউয়ের ন্যায় উত্তাল হয়ে আসবে, আরব অনারবের কোনো ঘর বাকি থাকবেনা, প্রত্যেক ঘরেই উক্ত ফিৎনা প্রবেশ করবে। যা দ্বারা তারা লাঞ্ছিত অপদস্ত হয়ে যাবে। যে ফিৎনাটি শাম (সিরিয়া) দেশে চক্কর দিতে থাকলেও রাত্রিযাপন করবে ইরাকে। তার হাত পা দ্বারা আরব ভুখন্ডের ভিতরে বিচরন করতে থাকবে। উক্ত ফিৎনা এ উম্মতের সাথে চামড়ার সাথে চামড়া মিশ্রিত হওয়ার ন্যায় মিশ্রিত হয়ে যাবে। তখন বালা মুসিবত এত ব্যাপক ও মারাত্নক আকার ধারন করবে যা দ্বারা মানুষ ভালো খারাপ কিছুই নির্নয় করতে সক্ষম হবেনা। ঐ মুহুর্তে কেউ উক্ত ফিৎনা থামানোর সাহসও রাখবেনা। একদিকে একটু শান্তির সুবাতাস বইলেও অন্যদিকে তীব্র আকার ধারন করবে। মানুষ সকালে বেলা মুসলমান থাকলেও সন্ধা হতে হতে সে কাফের হয়ে যাবে। উক্ত ফিৎনা থেকে কেউ বাঁচতে পারবেন, কিন্তু শুধু ঐ লোক বাঁচতে পারে, যে সমুদ্রে ডুবন্ত ব্যক্তির ন্যায়। করুন সুরে আকুতি জানাতে থাকে।

সেটা প্রায় ১২ বৎসর পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে। এক পর্যায়ে সকলের কাছে সবকিছু স্পষ্ট হয়ে উঠবে। ইতোমধ্যে ফোরাত নদীতে স্বর্নের একটি পাহাড় প্রকাশ পাবে। যা দখল করার জন্য সকলে যুদ্ধে জড়িয়ে যাবে এবং প্রতি নয় জনের সাতজন মারা পড়বে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ৬৭৬ ]

আমরা সবাই জানি যে, চতুর্থ ফিতনা বা, সিরিয়ার যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে। সেটা ১২ বছর স্থায়ী থাকবে, তারপর ফোরাত নদীর তীরে সোনার পাহাড় ভেসে উঠবে।

সুতরাং ২০১১+১২=২০২৩ সাল। একটা বিষয় গায়েবের খবর একমাত্র আল্লাহ ভালো জানেন। আমি শুধু সম্ভাব্য বলেছি। আমি আবারো বলছি সম্ভাব্য তবে হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী সময় নিকটে।(আল্লাহু আকবর)

উল্লেখ ফোরাত নদীর তীরে সোনার পাহাড় দখল কে কেন্দ্র করে যুদ্ধের পরপরই ইরাকের কুফা (মসূল) নগরীতে কালো পতাকাবাহী দলের উপর গনহত্যা সংগঠিত হবে। তারপরই খোরাসানের কালো পতাকাবাহী বাহিনীর দিবালোকের মতো সবার কাছে আত্নপ্রকাশ হবে।

Sayedul Islam Sojib

কপি করে আরেক ভাইকে জানার সুযোগ করে দিন। জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।

Leave a Reply