কুরআনে জি হা দে র কথা ৪১ বার উল্লেখ করা হয়েছে যেখানে “আল্লাহের পথে সংগ্রাম করা” অর্থে ‘জি হা দ’ কথাটি ব্যবহৃত হয়েছে।
কুরআন মানবজাতির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একটা বড় নেয়ামত!!যার প্রতিটি কথাই আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে।এটি একটি সংবিধান।জীবন পরিচালনা করার জন্য সম্পূর্ণ জীবন ব্যবস্থা।
কয়েকদিন আগে সংসদের মতো জায়গায় দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য তনময় জি হা দ শব্দকে সংসদ থেকে ব্যান করার আবেদন করেছেন। আমি স্পষ্ট খেয়াল করলাম এর কিছুক্ষন পরেই সংসদে প্রত্যেক সংসদ সদস্য হাতের তালির আওয়াজ সংসদ গরম হয়ে গেছে!!
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন
কোরআনের কোনো একটি আয়াত বা হরফকে অস্বীকার করলে সাথে সাথেই কাফির হয়ে যাবে।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
আর যে লোক তা অস্বীকার করবে এবং আমার নিদর্শনগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার প্রয়াস পাবে, তারাই হবে জাহান্নামবাসী; অন্তকাল সেখানে থাকবে।[বাকারাহ : ৩৯ ]
وَآمِنُواْ بِمَا أَنزَلْتُ مُصَدِّقاً لِّمَا مَعَكُمْ وَلاَ تَكُونُواْ أَوَّلَ كَافِرٍ بِهِ وَلاَ تَشْتَرُواْ بِآيَاتِي ثَمَناً قَلِيلاً وَإِيَّايَ فَاتَّقُونِ
আর তোমরা সে গ্রন্থের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, যা আমি অবতীর্ণ করেছি সত্যবক্তা হিসেবে তোমাদের কাছে। বস্তুতঃ তোমরা তার প্রাথমিক অস্বীকারকারী হয়ো না আর আমার আয়াতের অল্প মূল্য দিও না। এবং আমার (আযাব) থেকে বাঁচ।[বাকারাহ : ৪১ ]
আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন।[সূরা নিসা :140]
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে!! অলি আউলিয়ার 90% মুসলিমদের এই দেশে সংসদের মতো জায়গায় দাঁড়িয়ে একজন সংসদ সদস্য কোন আয়াতকে অস্বীকার করা।তার উপর আবার বাকি সংসদ সদস্যদের হাতের তালির মাধ্যমিক সমর্থন!!!
এমন দৃশ্য দেখার পরে-ও নিজেকে মোসলমান দাবি করা আওয়ামী লীগের ভাই!!তুমি কিভাবে এখনো নিজেকে আওয়ামী লীগের করে বলে দাবি কর হ্যাঁ?উপরের আয়াত গুলো দেখো আর আল্লাহর আজাবের কথা চিন্তা করে ফিরে আসো!!না হয় আল্লাহর আদালতে পাকড়াও হতে হবে।
এ দেশে যদি সালমান বিন আওদার মতো আলেম থাকতো।আরো আগে ফতুয়া আসতো আওমিলিগারের সাথে মেয়ে বিয়ে দেয়া হারাম।