You are currently viewing কামাল আতাতুর্কের হাতে পতন হওয়া খেলাফত।  নাকি ইমাম মাহদী আঃ আগমনের সম্ভাবনার দ্বার?

কামাল আতাতুর্কের হাতে পতন হওয়া খেলাফত। নাকি ইমাম মাহদী আঃ আগমনের সম্ভাবনার দ্বার?

প্রিয় ভাই ও বোনেরা আজ আমি আপনাদের সামনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে কথা বলব!এই আলোচনাটি সকল মুসলিম ভাই বোনদের জন্য অত্যন্ত জরুরী।আজ আমি কথা বলবো, কামাল আতাতুর্কের হাতে ধ্বংস হওয়া ওসমানী খেলাফত এবং ইমাম মাহদীর আগমন নিয়ে।

ইসলাম নিয়ে ষড়যন্ত্র ছিল সেই চৌদ্দশ বছর আগে থেকে।প্রিয় নবী রাসুলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর যুগে আবুজাহেল এবং তাদের সাঙ্গ-পাঙ্গরা!!পরবর্তী পৃথিবীতে ক্ষণে ক্ষণে একের পর একষড়যন্ত্র করে গেছে ইসলামবিরোধীরা।কিন্তু আমাদের রব বলেন!!
তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তাঁর নূরকে পূর্ণতাদানকারী। যদিও কাফিররা তা অপছন্দ করে।সুরা আস-সফ ৬১

প্রিয় ভাই ও বোনেরা আপনার সকলে জানেন মুসলমানদের অন্যতম সোনালী সোপান ছিল খেলাফত!!আর তার শেষ খেলাফত ছিলো উসমানীয় অটোমান খেলাফত।খেলাপতের মতো এ পবিত্র শাসন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য টেম্প্লার ও জায়োনিস্ট করেছে নানান চক্রান্ত। এবং সে চক্রান্তের সমাপ্ত করেছে কামাল আতাতুর্কের মাধ্যমে খেলাফত ধ্বংস করে।


কামাল আতাতুর্ক বংশ পরম্পরায় একজন গুপ্ত ইহুদী। যারা মূলত স্পেন থেকে বিতাড়িত ইহুদীদের বংশধর।
কামাল আতাতুর্কের মা ছিলো একজন আলবেনীয় বংশোদ্ভুত। জাতিসত্ত্বায় তিনি কোনো ভাবে তুর্কী নন। হাস্যকর বিষয় হচ্ছে তিনি এখন তুর্কি জাতির পিতা।
তিনি ডোমনে সম্প্রদায় ভুক্ত সাবাতি জেভির বংশধর, একজন ফ্রী-মেসন, একজন ব্রিটিশ এজেন্ট যিনি খিলাফাহ ধ্বংস করেছেন।এটা ছিলো একটি ত্রিভুজ, যা খিলাফাকে ধ্বংস করেছিল, আর এই ত্রিভুজের তিন বাহু হলো ব্রিটিশ, ইহুদী এবং মুস্তফা কামাল। যিনি নিজে একজন ইহুদী এবং ব্রিটিশ এজেন্ট এরা সবাই ফ্রী-মেসন্স।

এরা খিলাফাহ ধ্বংসের অন্তর্গত উদ্দেশ্য কে লুকিয়ে চতুরতার সাথে পরিকল্পণা প্রণয়ন করে, যাতে করে প্রথমে খিলাফাহ ও পরে ইসলামকে ধ্বংস করা যায়।
এই মোনাফেকরা খিলাফাহ রক্ষার স্লোগান দিয়ে । ক্ষমতা লাভের আগ পর্যন্ত তারা খলিফা কে অনুপুরক হিসাবে সামনে রাখে। তারপর মুষ্টিমেয় কিছু ইহু*দী, মুস্তফা কামাল এবং ব্রিটিশরা তাদের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে। তারা ইসলাম ও খিলাফার ইতিহাসকে অন্ধকারে নিক্ষেপ করে।

লুসানে চুক্তি ( তুরস্কের স্বাধীনতা দানকারী চুক্তি, যা ১৯২৩ সালের ২৪ শে জুলাই সুইজারল্যান্ডের লুসানে শহরে স্বাক্ষরিত হয়) শুধু একটি শান্তি চুক্তিই নয়, এটা ছিলো পাশ্চাত্য, বিশেষ করে ব্রিটেনের স্বার্থ রক্ষাকারী চুক্তি। এর প্রাথমিক লক্ষ ছিলো উম্মাহ এবং ইসলাম কে ধ্বংস করা। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে লর্ড কার্জনের বিবৃতিটি এখানে প্রণিধান যোগ্য, “ তুরস্ক শেষ হয়ে গেছে, এখন থেকে এই জাতি আর মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারবেনা, কারণ আমরা এর নৈতিক শক্তিকে ধ্বংস করে দিয়েছি”।

তুরস্কে সর্বশেষ খলীফা ছিলেন সুলতান ষষ্ঠ মুহাম্মদ । তিনি ছিলেন ইসলামবিদ্বেষী । ১৯২২ সালে ল্যুসেনে অনুষ্ঠিত সভায় ষষ্ঠ মুহাম্মদের উপস্থিতিতে খিলাফত উচ্ছেদের একটি সুযোগ আসে। জাতীয় পরিষদে বিনা অনুমতিতে তিনি উপস্থিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় এবং ১৯২২ ঈসায়ীর ১লা নভেম্বর খিলাফত উচ্ছেদ বিল জাতীয় পরিষদ প্রণয়ন করে। এর ফলে খিলাফত রহিত হয় এবং সুলতান লন্ডনে আশ্রয় গ্রহণ করে।খিলাফত রহিতের সিদ্ধান্তে বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিবাদ করে খিলাফত আন্দোলন গড়ে তুলে । ভারতবর্ষেও আগা খান, সৈয়দ আমীর আলী, মোহাম্মদ আলী ও শওকত আলী খিলাফত বজায় রাখার পক্ষপাতি ছিলেন । এমনকি অনেকে শেষ উপায় খিলাফত উচ্ছেদ না করে কামালকেই খলীফা হওয়ার আহবান জানায়।কিন্তু ইসলামবিদ্বেষী কামাল খিলাফত ধারণাটাই রাখতে ইচ্ছুক ছিল না। কারণ তাতে যে ইসলামী চেতনা প্রতিফলিত হয়। তাই সমগ্র মুসলিম বিশ্বের একান্ত অনুরোধ তথা চাপ থাকা সত্ত্বেও জাতীয় পরিষদ ১৯২৩ সালের ২৯ শে অক্টোবর খিলাফত রহিত বিলের বিরোধিতার জন্য রার্ষ্ট্রদ্রোহিতার বিল পাস করে এবং প্রচার করে যে, তুরস্ক একটি প্রজাতন্ত্র এবং জনগণই সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী। রাষ্ট্রের প্রধান খলীফা নন। তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের প্রধান প্রেসিডেন্ট।

ভিডিও আলচনা

আব্দুল মজিদ সাময়িকভাবে মুসলমানগণের খলীফারূপে পরিচিত হলেও ১৯২৪ সালের ২রা মার্চ নবগঠিত রিপাবলিকান পিপলস পার্টির সভায় কামাল পাশা খিলাফত সম্পূর্ণরূপে রহিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং ৩রা মার্চ জাতীয় সভা এই বিষয়ে বিল পাস করে।এরপরে খুলাফায়ে রাশিদীনের সময় হতে অর্থাৎ ৬৩২ সাল হতে খিলাফত শুরু হয়ে দীর্ঘ তের শতাব্দীর পর ১৯২৪ সালে সম্পূর্ণরূপে বাতিল ঘোষিত হল। আব্দুল মজিদ পরিবার পরিজনসহ বহিষ্কৃত হন।

এবার আসি ইমাম মাহদীর আগমন বিষয়ে

রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

“নিশ্চয়ই আল্লাহ এই উম্মাতের জন্য প্রতি একশত বছরের শিরোভাগে এমন লোকের আবির্ভাব ঘটাবেন, যিনি এই উম্মাতের দীনকে তার জন্য নবায়ন করবেন।”
(সুনানে আবু দাউদ ৪২৯১)

অর্থাৎ উপরক্ত আলোচনা থেকে বুঝা যায় ১৯২৪ সালে উম্মতে মোহাম্মাদীয়া তার বিশ্বব্যাপী খিলাফাহ হারিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমরা এই হাদিস থেকে জানতে পারলাম নিশ্চয়ই আল্লাহ এই উম্মাতের জন্য প্রতি একশত বছরের শিরোভাগে এমন লোকের আবির্ভাব ঘটাবেন, যিনি এই উম্মাতের দীনকে তার জন্য নবায়ন করবেন।

বছর গুলো বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায়…
(১৯২৪-১০০)= ২০২৪ এটা সৌরবর্ষের হিসাব।
আর যদি চান্দ্রবর্ষ হিসাব করি তাহলে হবে
সৌরবর্ষ চেয়ে তিন বছর কম। (১৯২৪-৯৭)= ২০২১ তার মানে এ সময়ের মধ্যে খেলাফত যেকোনো একটা ভূখণ্ডে স্ট্যান্ড আপ হওয়ার কথা। সম্ভবত আফগানিস্তান দিয়ে সেটি হয়েছে আল্লাহই ভাল জানেন একমাত্র তার কাছেই প্রকৃত জ্ঞান আছে। আমরা শুধু হাদিস থেকে কাছাকাছি একটা ধারণা পেয়েছি। এরচেয়ে বেশি কিছু ধারণা করা বাড়াবাড়ি।

যাইহোক বছরগুলো খুব কাছাকাছি!
এই পৃথিবীতে শয়তানের শাসন শুরু হয়েছে ১৯২৪ সাল থেকে আর হয়তো অল্প কয়েক বছর চলবে, তারপরে ইনশাআল্লাহ আবার ইসলামি খেলাফত কুরআনের শাসন শুরু হবে।

আমরা অপেক্ষায় আছি শেষটা সুন্দর হবে ইনশাআল্লাহ।
কথা হবে পরবর্তী কোনো আলোচনায় ততক্ষণ পর্যন্ত ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন রবের কাছে এই কামনা। আর হ্যাঁ অবশ্যই সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করবেন এবং সাবস্ক্রাইব করবেন আখিরুজ্জামান ইউটিউব চ্যানেল।

Leave a Reply