প্রিয় বোন আমার!
মনে পড়ে? তুমি যেদিন প্রথম হেসেছিলে, সেদিন আকাশে রঙধনু ছিলো না। তবু কি অপরুপ রঙধনুর রঙে রেঙেছিল ধরনীর আকাশ। বিকেলের, কনে দেখা অলো,র অবয়ব যেনো সেদিন স্লান হয়ে গিয়েছিল নিমিষেই। তোমার মনে অাছে সেসব কথা?
ভুলেই গিয়েছো হয়তো।
কেন জানো?
তুমিই সেই রমনী যে নাকি রাতের অধিরের অাধারে সেজদায় পড়ে ঢুকরে কাদবেঁ ।
তুমিই সেই রমনী যে অাল্লাহর সামনে মাথা নত করে চোখের পানি ফেলবে।
তুমিই সেই রমনী যে নাকি জন্ম দিবে অায়েশা, সিদ্দিকা, মারুফা, তানহা।
তুমিই সেই রমনী যার উদর থেকে বের হবে জমানার ওলীগন বুযূর্গগন।
তুমিই সেই রমনী যে নাকি নামাযের সেজদায় পড়ে চোখের পানিতে জায়নামায ধৌত করবে।
তুমিই তো সেই রমনী যে নাকি জন্ম দিয়েছো পৃথিবীর শ্রেষ্ট মানুষটিকে।
তুমিই তো সেই রমনী যার কোলে বড় হয়েছে
হাজারো লাক্ষো নবী পয়গাম্বর।
তুমিই ,,
হ্যা তুমিই শ্রেষ্ট সেই রমনী
যার জন্য অপেক্ষারত পৃথিবী ধরনী।
তোমাকে ভালোবাসি হে প্রিয় বোন।
তোমাকে ভালবাসতে কোন দিবস লাগেনা প্রিয় বোন। সবসময় ভালোবাসা প্রিয় বোন।
প্রিয় বোন আমার
আপন হৃদয়কে সর্বদা আল্লাহর স্মরনে ব্যস্ত রেখো। আর আপনার মহব্বত যেন শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই হয়। ইনশাআল্লাহ আপনার মহব্বত আপনাকে দুনিয়া ও আখিরাতের কামিয়াবী দান করবে।
প্রিয় বোন আমার
নিজেকে স্বাধীন নারীদের মতো বানানোর চেষ্টা করো না। মনে রাখবেন,পানির উপরে ভাসমান কচুরিপানা নিজেকে স্বাধীন মনে করে ভেসে বেড়ায়। অথচ কচুরিপানার মুল্য খুবই কম।
অন্যদিকে মুক্তা নিজেকে পানির গভীরে ঝিনুকের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখে। কতই না মুল্যবান এই মুক্তা।আপনার চক্ষু শীতলকারী ঠিকই পানির উপরে ভাসমান কচুরিপানা হাত দিয়ে পরিষ্কার করে, ডুব দিবে গভীর জলে।আর তুলে নিয়ে আসবে আপনাকে। তাই কচুরিপানা হওয়ার চেষ্টা করবেন না।
প্রিয় বোন আমার
অন্যদের সামনে আপনি দুপুরের উত্তপ্ত সূর্য হয়ে থেকবেন। যে তাপ থেকে মানুষ দুরে থাকতে চায়।
যে সূর্যের দিকে মানুষ তাকাতে চায় না।
আর আপনার প্রিয়তমর সামনে থাকবেন আকাশের চাঁদ হয়ে । যার দিকে অজস্র সময় তাকিয়ে থাকা যায়।হোক না সেটা হালাল পর্যায়ে মনে রাখবেন হালাল সবসময়ই সুন্দর।
প্রিয় বোন আমার
কখনো যদি শয়তান আপনাকে বিভ্রান্ত করতে চেষ্টা করে, তবে স্মরন করুন আপনার রবকে ।
তিনি আপনাকে হেফাজত করবে ইনশাআল্লাহ্। এবং সেই সাথে মুনাজাতে অনবরত দোয়া করতে থাকা আপনার প্রিয়তম সামির দোয়াও।
প্রিয় বোন আমার নিজেকে হেফাজতে রাখবে তো.?
সাইদুল ইসলাম সজীব (হাফিজাহুল্লাহ)