You are currently viewing বর্তমান সময়ে একজন মুমিনের দোয়া কি জানেন??

বর্তমান সময়ে একজন মুমিনের দোয়া কি জানেন??

বর্তমানে আমরা শয়তানের যুগে, বসবাস করছি যে যুগের শুধু ফেতনার চড়াচড়ি।
মুসলমান আজ ইসলাম থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছে। যাকে আমি আমার বাসায় মডারেট মুসলমান হিসেবে বিবেচনা করি।

যারা কিনা ইসলাম কে!! খামখেয়ালীপনার মধ্যে বিবেচনা করে প্রচলিত সমাজব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দেয়। আজ মোসলমান ইসলামকে অবমূল্যায়ন করে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা!! দাজ্জালের সিস্টেম কে,সুন্দর ভাবে রিসিভ করে নিয়েছে।

ইসলামের কথা শুনলেই কোথিত মডারেট মুসলিমদের গায়ে জ্বালা ছুটে যায়। যখন তাদের সামনে কোরআন এবং হাদিসের কথা বলা হয়। তখন তারা বলে এটা বর্তমান সমাজের সাথে মিলে না।

তাচাড়া সমাজের মানুষ!! সমাজ কি বলবে?? এভাবেই প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার দায় দিয়ে আমরা সুন্দর ভাবে দাজ্জালী সিস্টেম কে বরণ করে নিয়েছি, এবং আমাদের ব্যক্তিজীবনে থেকে শুরু করে আমরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রতিটি সংস্কৃতি, প্রতিটি কাজকর্ম দাজ্জালের অনুসরণ করে আসছি।

আজকে যদি আমি একটা যুবকের চুলের কাটিং এর কথা বলি, সেটাও আজকের যুব সমাজ দাজ্জালি সংস্কৃতি চর্চা করছে। আল্লাহ রাসুল দাজ্জালের চুলের যে বিবরণ দিয়েছেন। বর্তমান আমাদের যুব সমাজের চুলের অধিকাংশই কাটিং সেই রকম। প্রতিটি সেলুনে রাসূলের সুন্নাহ বিরোধী স্টাইল যতগুলো আছে সব গুলো আমরা দেখতে পাচ্ছি। আপনারা কেউ দেখাতে পারবেন না একটা সেলুনে রাসূলের সুন্নাহ স্টাইলে চুলের কাটিং এর ফটো দেয়া আছে।

চুল থেকে শুরু করে আজকে আমরা প্রতিটি পদক্ষেপ আমরা দাজ্জালের সংস্কৃতি চর্চা করতেছি। আজকে বিয়েটাকেও আমাদের সমাজ অনেক বেশি কঠিন করে দিয়েছে। প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার দোহাই দিয়ে। আজকে বিয়ে টাকে প্রতিযোগিতার কাতারে নিয়ে গেছি।

আজ পাত্র পাত্রী কে দ্বীনদারীর বিষয় প্রাধান্য না দিয়ে, টাকা পয়সা, অর্থ সম্পদ, জৌলুস, সামাজিক স্ট্যাটাস কে বেশি প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।

যার কারণে প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষের স্বপ্ন ভঙ্গ হচ্ছে। যুব সমাজ হতাশায় ভুগছে,সমাজে অন্যায় অবিচার বেড়ে যাচ্ছে।

অথচ আমাদের কি করার উচিৎ ছিল!!!!আমাদের উচিত ছিল, কোরআন এবং হাদীস অনুযায়ী এবং রাসূলের সুন্নাহ অনুযায়ী আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ নেয়া, সেটা বিয়ে হোক বা অন্য কিছু।

অর্থাৎ ব্যক্তি জীবনটা আমাদেরকে রাসুলের সুন্নাহ অনুযায়ী, রাসুল যে মডেল দেখিয়ে গিয়েছেন সেই অনুযায়ী।কোরআন এবং হাদিসের বিধান অনুযায়ী সাজানো দরকার ছিলো।

অর্থাৎ পুরোটা জীবন আমাদের ইসলামের বিধান অনুযায়ী চলার কথা ছিলো।কিন্তু আফসোস আজকে আমরা সমাজ ব্যবস্থার কাছে, ইসলামকে ছোট করে দিয়েছি।

অথচ যে আল্লাহ আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। এত সুন্দর করে আমাদের কে তৈরি করেছেন। এত সুন্দর চোখ, দিয়েছেন এত সুন্দর হাত দিয়েছেন। এত সুন্দর পা দিয়েছেন, এত সুন্দর চেহারা দিয়েছেন। আজকে আমরা সে আল্লাহর নাফরমানি করতেছি।

আল্লাহ আমাদেরকে যে বিধান দিয়েছেন।সে বিধান কে কটাক্ষ করে। আজকে আমরা সমাজ ব্যবস্থাকে বড় হিসাবে বিবেচনা করছি। আল্লাহর কসম ওয়াল্লাহে। আমরা আমাদের কর্মের জন্য অচিরেই আমাদেরকে লজ্জিত হতে হবে,অপমানিত হতে হবে।

আজ আমরা যে সমাজব্যবস্থাকে সাপোর্ট করছি। এই সমাজ ব্যবস্থাকে কল্লান,মনে করছি। সেই সমাজ ব্যবস্থা একদিন আমাদেরকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে।

আজ সমাজের ৯০ শতাংশ মানুষ ইসলাম থেকে দুরে সরে গেছে।এজন্য আমাদের সমাজে যারা মুমিন তাকওয়াবান ব্যাক্তিরা আছেন। তারা পদে পদে পদে লাঞ্ছিত হচ্ছে। তাদেরকে নিপীড়নের শিকার হতে হচ্ছে। তাদেরকে জুলুমের শিকার হতে হচ্ছে। তাদেরকে অপমানিত হতে হচ্ছে। তাদেরকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে।

আর তখন তাদের দোয়া থাকে এটাই। হে আল্লাহ আমাদেরকে এ জালিম সম্প্রদায় থেকে, আমাদেরকে ফেতনার সমাজ থেকে, আমাদেরকে এই নব্য আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ থেকে তুমি হেফাজত কর।

যে যুগে মানুষ ইসলামকে ভুলে গিয়ে।শয়তান আদর্শকে গ্রহণ করেছে।সেই যুগ থেকে আমাদেরকে হেফাজত করো। আল্লাহ আমরা প্রতিবাদ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি। আমরা প্রতিবাদ করতে পারতেছি না।
আমরা এই মানুষ রুপি জানোয়ারদের কাছে হেরে যাচ্ছি। আমরা এই বর্বর হিংসাত্মক মানুষদের কাছে হেরে যাচ্ছি। আমরা প্রতিবাদ করতে পারতেছিনা।

আল্লাহ তোমার কাছে আমরা সাহায্য চাই।তুমি আমাদের কাছে সাহায্যকারী পাঠাও। আর ঠিক যখন মুসলমান প্রতিবাদ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।যে সময় ঈমানদার প্রতিবাদ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তখন অবশ্যই অবশ্যই আল্লাহর গজব অনিবার্য এবং সেই গজব শুধুমাত্র খারাপ মানুষের জন্য নয়,ভালো মানুষদের জন্য ও আসে এবং অবশ্যই,অবশ্যই সকল মানুষকেই তার ফল ভোগ করতে হয়। সমাজ ও রাষ্ট্রে অন্যায়-অনাচার বেড়ে গেলেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের বেশি আশঙ্কা থাকে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, জল–স্থলে বিপর্যয় মানুষের কৃতকর্মের ফল।আল্লাহ তাদেরকে তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা ফিরে আসে। ( সুরা- রুম, আয়াত: ৪১)

আজকে আমরা যেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ গুলি দেখছি তা আমাদের মানুষের হাতের কামাই। আমরা আমাদের পাপের ফল ভোগ করতেছি।

আমার ক্ষুদ্র গবেষণা বলে আগামী দিনে এ দরনের প্রাকৃতিক দুর্ঘটনা গুলো খুবই কমন ব্যাপার, কারন মানুষ এত বেশি খারাপ হয়ে গেছে, মানুষ এত বেশি নিকৃষ্ট হয়ে গেছে। আজ আল্লাহকে গালি দেয়া হচ্ছে,রাসুলকে গালি দেয়া হচ্ছে। আমারা কিছুই করতে পারছিনা, আজ সারা বিশ্বে মুসলমান রক্ত নিয়ে হোলি খেলা হচ্ছে। সারা বিশ্বে মুসলমান কে নির্যাতন করা হচ্ছে। মায়ানমার, ইরাক, আফগান, ফিলিস্তিন, সিরিয়া, সারা পৃথিবীর মুসলমান নির্যাতিত হচ্ছে,
অথচ আমরা প্রতিবাদ করতে ছিনা। প্রতিবাদের শক্তি হারিয়ে ফেলেছি।

আজ মুসলমান দেশগুলোতে সুদের চড়াচড়ি শুধ ভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এবং আল্লাহ বিরোধী সকল কর্মকান্ড লিমিট অতিক্রম করে ফেলেছে।

খুন রাহাজানি হত্যাকাণ্ড কমন হয়ে গেছে। পত্রিকা খুললেই ধর্ষণের খবর অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। মানুষের দয়াময়া উঠে আজ মানুষ মানুষের মনুষ্যত্ব হারিয়ে পশুতে রূপান্তরিত হয়েছে।

আর এ জন্যই আল্লাহ তার ফল আমাদেরকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দুর্ভিক্ষ অত্যাচারি শাসক এর মাধ্যমে দিচ্ছে। এবং আগামী দিনে আরও খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুক।

Leave a Reply