You are currently viewing ফোরাত নদী সাম্রাজ্যবাদীদের গোরস্থান!!কিন্তু কিভাবে? ফোরাত নদী একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ!

ফোরাত নদী সাম্রাজ্যবাদীদের গোরস্থান!!কিন্তু কিভাবে? ফোরাত নদী একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ!

১.পৃথিবীর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সভ্যতার মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে অনেক ভাঙ্গা গড়া।মানুষের মধ্যে নেমে এসেছে অনেক দুর্ভোগ। বস্তুত যা ছিল মানুষের সম্পূর্ণ হাতের কামাই। ফেরাউন, নমরুদ সহ অনেক জালেম ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংস হয়ে গেছে অনেক জাতি। যেমন আদ, সামুদ ও কাওমে লুত।এদের প্রত্যেকের ধ্বংসের কারণ আল্লাহর প্রতি অবাধ্যতা, মাত্রাতিরিক্ত সীমা লংঘন করার কারণে।আল্লাহ এ জাতিগুলো ভাঙ্গনের মাধ্যমে সভ্যতা কে নতুন করে গড়েছেন।

নিশ্চয়ই আল্লাহ মানুষের প্রতি কোনো জুলুম করেন না, মানুষই নিজেদের প্রতি জুলুম করে থাকে। (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৪৪)

আধ,চামুদ, লুত আলাইহিস সালামের কাওমের ধ্বংসের কারণ সম্বন্ধে বিস্তার আলোকপাত করলে লক্ষ্য করা যায়। তাদের আল্লাহর প্রতি অবাধ্যতা ছিল মাত্রাতিরিক্ত সীমালংঘন। আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধে নিজেদের মনগড়া আইন তৈরি করা।ইবাদতের আসনে শির্ক কুফর লিপ্ত হওয়া। আল্লাহকে রব হিসেবে বিধানদাতা হিসেবে অস্বীকার করা।সমকামিতার মত জঘন্য কাজে লিপ্ত থাকা ইত্যাদি।

আল্লাহ বলেন, ‘আমি অবশ্যই তাদের গুরু শাস্তির পূর্বে লঘু শাস্তি আস্বাদন করাব, যাতে তারা ফিরে আসে।’ (সুরা সিজদা :২১)

পৃথিবীর ঘটনা প্রবাহের মধ্যে এভাবে যতবার মানুষ তাদের সীমা ছাড়িয়েছে।আল্লাহর অবাধ্যতা যখন সিমার বাহিরে গেছে আল্লাহ সেসব জাতিকে ভেঙ্গে (ধ্বংস করে) নতুন করে গড়েছেন। তৈরি করেছেন সভ্য মানুষদের জন্য নতুন নতুন সভ্যতা।যেমন মক্কাবাসীরা যখন জাহিলিয়াতে ডুবেছিল,জীবন্ত কন্যাশিশুকে পুঁতে ফেলতো,যিনা-ব্যভিচার, মূর্তিপূজা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছিল তখন তাদের হেদায়েতের দাওয়াত নিয়ে দুনিয়াতে এসেছিলেন মানবতার মুক্তির দূত,প্রিয় নবী রাসুলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম।যিনি ছিলেন শেষ নবী এবং নবীদের নবী রাহমাতাল্লিল আলামিন।উনার পরে আর কোন নবী রাসুল আসবেনা। আল্লাহ উনাকে দিয়ে গড়েছিলেন আত্ম সমর্পন কারীদের ধর্ম ইসলাম।

রাসূল সাল্লাহু আলাই সালাম এর মৃত্যুর পরে কেটে গেল হাজার বছর এর মধ্যে অনেক চড়াই উতরাই পার করেছে শান্তির ধর্ম ইসলাম।আল্লাহ দুনিয়াতে ইসলামের সিংহ পুরুষদের দিয়ে টিকিয়ে রেখেছিলেন ইসলামী শাসন।যুগে যুগে আল্লাহ দুনিয়ায় ফাটিয়েছেন সালাউদ্দিন আইয়ুবী দের মত বীর সেনানীদের।কিন্তু আফসোস ১৯২৪ সালের ওসমানী খেলাফত পতনের পর পৃথিবী থেকে দুয়ে মুছে বিদায় নেয় গর্বিত খেলাফত।শুরু হয় অরাজগতা, হানাহানি, বিশৃংখলা, জুলুম নিপিড়ন,তার পরেও অনেক তৌহিদী জনতা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের সংগ্রাম!একটাই চাওয়া আবার ফিরে আসুক খেলাফত।

আমি যখন এই লেখাটা লিখতেছি ক্যালেন্ডারের পাতায় এখন খেলাফত বিহীন উম্মাহর বয়স ৯৮ বছর। হিজরী বছর অনুযায়ী অলরেডি শতবর্ষ পেরিয়ে গেছে।আক্ষেপের বিষয় হচ্ছে যখন আমি লেখাটা লিখতেছি,তখন হয় না এমন কোন কর্ম নেই। আল্লাহ যুগে যুগে অনেকগুলো জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আদ, সামুদ,কাওমে লুত,যে অপরাধগুলোর সাথে এ জাতিগুলো জড়িত ছিল যেমন, আল্লাহর অবাধ্যতা, সমকামিতা,যিনা-ব্যভিচার আল্লাহ বিরোধী আইন, ইত্যাদি।দুঃখের বিষয় হচ্ছে পূর্বের এ অপকর্মগুলো কিন্তু বর্তমানে বিরাজমান।

অর্থাৎ পৃথিবীর শুরু থেকে প্রিয় নবীর জন্মের আগে যাকে আইয়ামে জাহেলিয়া যুগ বলা হয়,এমন সকল যুগের অপকর্মগুলো একত্রিত করে বর্তমান সময়ের সাথে মিলান।আপনি দেখবেন আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় সবগুলো অপকর্ম আপনি খুঁজে পাবেন। সমকামিতা এখন বিশ্বের অনেকগুলো দেশে বৈধ , আল্লাহ বিরোধী আইন পৃথিবীতে সর্বত্র,প্রকাশ্য জীনা জীনা,এবং কি এমন জঘন্য কাজ কে আইন করে বৈধ করা হয়েছে যা ইতিমধ্যে আমরা মেক্সিকো সিটিতে দেখেছি।কেয়ামতের আগে আল্লাহর রাসুল (সাঃ)বলেছেন মানুষ পশু গাদার মতো প্রকাশ্য যৌনাচারে লিপ্ত থাকবে।এর পরে আছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজলভ্য জ্বিনা –এতো এতো অপকর্ম সংঘটিত হয়নি আর কখনো। একেবারে যাকে বলে অপ্রতিরোধ্য ফিতনা।

এবার আসা যাক সাম্রাজ্যবাদীদের কাছে থাকা প্রযুক্তিগত অস্ত্র নিয়ে।সাম্রাজ্যবাদীদের কাছে এত এত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, পারমানবিক বোমা,কাফের বেইমানদের এত স্বয়ংসম্পূর্ণতার মধ্যে বিপরীত মুসলিম রাষ্ট্র গুলোর দিকে তাকান! আপনার কাছে মনে হবে ৯০ বছরের বৃদ্ধের মত যেন তারা মৃত্যুযন্ত্রণায় আছে।তাহলে কি ইসলামী খেলাফত অসম্ভব?না অসম্ভব নয় আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। এখন সময় এসেছে মুসলমানদের শেষ নেতার আগমনের যিনি হবেন কামিল মুজাদ্দিদ।

হযরত আবু হুরায়রাহ(রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে রাসুলুল্লাহ(সঃ) বলেছেন “মহান আল্লাহ্ এই উম্মতের জন্য প্রতি শতাব্দীর শুরুতে একজন মুজাদ্দিদ পাঠাবেন যিনি ঐ সময়ে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষাকে সঞ্চারিত করবেন” (সুনান আবু দাউদ ৫/১০০)

হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,এই পৃথিবীর যদি মাত্র একদিন বাকি থাকে আল্লাহ সেই দিনটিকে প্রলম্বিত করে দিবেন যতক্ষণ না আমার বংশধরের থেকে একজন প্রেরিত হয়(সুনান আবু দাউদ, ৫/৯২)

তিনি হবেন উম্মতে মুহাম্মদীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ। কারণ তাকে লড়তে হবে পৃথিবীর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যতগুলো ফেতনা এসেছে তার চেয়ে শত শত গুণ শক্তিশালী ফেতনার সাথে।হাদিসের বরাত অনুযায়ী মহান আল্লাহ তার আগেই উম্মতে মুহাম্মদীর এই নেতার জন্য মাঠ তৈরি করবেন, কিছু শক্তিশালী গজব দিয়ে।সংঘটিত হবে মহামারী, ভূমিকম্প,প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং যুদ্ধ!!

পবিত্র কোরআনে আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন- ‘মানুষের কৃতকর্মের দরুন স্থলে ও জলে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। এর পরিণামে তিনি কর্মের শাস্তির স্বাদ তাদের ভোগ করাবেন, যাতে তারা আল্লাহর দিকে ফিরে আসে’ (সূরা আর রুম : ৪১)।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন সরকারি মালকে নিজের মাল মনে করা হয়, আমানতের মালকে নিজের মালের মতো ব্যবহার করা হয়, জাকাতকে জরিমানা মনে করা হয়, ইসলামী আকিদাবর্জিত বিদ্যা শিক্ষা করা হয়, পুরুষ স্ত্রীর অনুগত হয়, মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়, বন্ধুদের আপন মনে করা হয়, বাবাকে পর ভাবা হয়, মসজিদে শোরগোল করা হয়, পাপী লোক গোত্রের নেতা হয়, অসৎ ও নিকৃষ্ট লোক জাতির চালক হয়, ক্ষতির ভয়ে কোনো লোককে সম্মান করা হয়, গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের প্রচলন অধিক হয়, মদ্য পানের আধিক্য ঘটে, পরবর্তী সময় লোকেরা পূর্ববর্তী লোকদের বদনাম করে—তখন যেন তারা অপেক্ষা করে লু হাওয়া (গরম বাতাস), ভূমিকম্প, ভূমিধস, মানব আকৃতি বিকৃতি, শিলাবৃষ্টি, রক্তবৃষ্টি ইত্যাদি কঠিন আজাবের, যা একটার পর আরেকটা আসতে থাকবে, যেমন হারের সুতা ছিঁড়ে গেলে মুক্তার দানাগুলো একটার পর একটা পড়তে থাকে। (তিরমিজি)

প্রিয় ভাইয়েরা একটু লক্ষ করলে খেয়াল করবেন উক্ত হাদীসের আলামতগুলো কিন্তু এখন আমাদের সমাজে এভেলেবেল হয়ে গেছে!

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর হাদিস এবং পূর্ববর্তী কাওম যারা ধ্বংসপ্রাপ্ত ছিল তাদের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে একটি বিষয়ে মোটামুটি ক্লিয়ার পূর্বের সকল সমীকরণকে পিছনে ফেলে অনেক অনেক বেশি সীমা ছাড়িয়েছে মানুষের অপকর্মের।মাজলুমের আত্মচিৎকার, অসহায়ত্ব ফিতনার ঝনঝনানি দেখে মনে হচ্ছে আল্লাহর সিদ্ধান্ত নিকটবর্তি। তাহলে কি দাঁড়ালো?আমি হাদিস অনুযায়ী যে আজাব গুলোর কথা আপনাদেরকে বলেছি ভূমিকম্প, ভূমিধস,এগুলো সংঘটিত হলে কিন্তু সাম্রাজ্যবাদি রাষ্ট্রগুলো তছনছ হয়ে যাবে!ধসে পড়বে তাদের অর্থনীতি!!এমন কিছু ভূমিকম্প সংঘটিত হবে, যার আঘাতের স্যাটেলাইট, ইন্টারনেট, ব্যাংকিং ব্যবস্থা, দুমড়েমুচড়ে যাবে।কাপন তৈরি হবে সম্রাজ্যবাদীদের অন্তরে,এবং এভাবেই হবে সাম্রাজ্যবাদীদের পতনের শুরু ইনশাআল্লাহ। আর শেষ ফিনিশিং হবে ফোরাত দিয়ে।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে আল্লাহর আযাবের সাথে ফোরাত নদীর সম্পর্ক কি?আবার প্রশ্ন জাগতে পারে,শুধুমাত্র সাম্রাজ্যবাদীদের জন্য কেন ফোরাত গোরস্থান হবে?উত্তরে বলবো অবশ্যই অবশ্যই ফোরাত নদীর সাথে আল্লাহর আযাবের গভীর সম্পর্ক রয়েছে!!এবং এ ফোরাত হবে সম্রাজ্যবাদীদের গোরস্থান বিস্তারিত বলবো আগামী অর্থাৎ শেষ পর্বে।

যাদের লেখা পড়তে আগ্রহ নেই তাদের জন্য সম্পূর্ণ ভিডিও আলোচনা কমেন্ট বক্সে দেয়া আছে!!

গতপর্বে আলোচনার পর মোটামুটি একটু বিষয় পরিস্কার সেটি হচ্ছে বিশ্ববাসী খুব শীঘ্রই অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে!!এবং এ সংকট ছোট থেকে বড় সবগুলো রাষ্ট্রই প্রভাব পড়বে।বিশেষ করে অপকর্মের শীর্ষে থাকা সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলো!!আল্লাহ তাদের ধ্বংস করে দিবেন এটা কোন মুখের বুলি নয় এটি সত্যি হবে ইনশাআল্লাহ। চলুন একটু গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করি!!

প্রিয় ভাইয়েরা আমি আমার উপরের আলোচনায় আপনাদেরকে বলেছি আল্লাহর আযাবের মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদীদের একটি অর্থনৈতিক মেচাকার করা হবে।এবার আসুন একটু বর্তমান এর সাথে মিলাই।করণা পরবর্তী পৃথিবীতে অনেকগুলো রাষ্ট্র অর্থনৈতিক সংকটে হাবুডুবু খাচ্ছে এবং এর প্রভাব আমেরিকা সহ সব কয়টি রাষ্ট্রের উপর স্নায়ুচাপ ফেলতেছে।আমেরিকা ডলার ভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জনক হওয়ার কারণে তাদের খুব একটা নতজানু হতে হয়নি!!কিন্তু সে বারুতে আগুন ধরেছে ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে!!আপনারা জানেন অর্থনীতি ইশু খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় যার মাধ্যমে বিশ্ব শাসন করা যায়।যার বাস্তব প্রমাণ আমেরিকা ডলার ভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কারণেই আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদীদের কাতারে একদম প্রথমে আছে!!তার উপর ভিত্তি করে আমেরিকার মতের অমিল হলেই! লো লেভেলের কান্ট্রি থেকে শুরু করে তাদের সমমনা রাষ্ট্রগুলোকে অর্থনৈতিক অবরোধের মাধ্যমে অনেক নাকানি-চুবানি দিয়েছে।

আমেরিকার এমন নজিরবিহীন কাজের পর তখন থেকেই ডলার ভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিকল্প অর্থনীতি অনেকগুলো রাষ্ট্রই তৈরি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে!! বিশেষ করে ইউক্রেনে ইশু নিয়ে আমেরিকা যখন রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ দেয় তখন বিষয়টা আরও ঘোলাটে হয়ে গেছে। রাশিয়া অলরেডি ডলারের বিকল্প অর্থনৈতিক সিস্টেম চালু করে দিয়েছে!সাথে আছে চায়নার মতো শক্তি সালি রাষ্ট!!ধরুন একবার যদি ডলারের বিকল্প অর্থনিতি প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে পারমাণবিক যুদ্ধ একেবারে সুনিশ্চিত!কারণ ডলার ভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পতন হয়ে গেলে আমেরিকার পতন কেউ ঠেকাতে পারবেনা এবং বিপরীতে আমেরিকা কর্তৃক পারমাণবিক হামলা ও কেউ বন্ধ করতে পারবে না!!যদি একবার পারমাণবিক হামলা হয় তার পরের ঘটনা সবার জানা!

প্রিয় ভাইয়েরা বিশ্ববাসী যখন একের পর এক ভূমিকম্প দুর্ভিক্ষ যুদ্ধ মোকাবেলা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়বে, বাতিল হয়ে যাবে কাগজের মুদ্রার,থাকবেনা ব্যাংকিং ব্যবস্থা!!অর্থনৈতিক সংকটে ভুগবে সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলো, তখন সোনা হবে একমাত্র অর্থনৈতিক লেনদেন এর মাধ্যম! হাদিসে এসেছে

মানুষের সামনে নিশ্চিতই এমন এক সময় আসবে, যখন দিনার (গোল্ড) ও দিরহাম (সিলভার) ছাড়া কোনো কিছুই কাজে আসবে না।’ (মুসনাদু আহমাদ : ১৭২০১)
মুজামে কাবিরের বর্ণনায় এসেছে :
‘মানুষের সামনে এমন একটি সময় আসছে, যখন যার কাছে হলুদ (গোল্ড) ও সাদা (সিলভার) বস্তু থাকবে না, সে স্বাচ্ছন্দ্যে নিদ্রাও যেতে পারবে না।’ (আল-মুজামুল কাবির : ২০/২৭৮)

আরেকটি সনদে এভাবে বর্ণিত হয়েছে :
‘যখন শেষ জমানা আসবে তখন লোকদের দিনার (গোল্ড) ও দিরহাম (সিলভার) ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। (মুমিন) লোক তখন এগুলোর দ্বারা তার দ্বীন ও দুনিয়ার সকল বিষয় পরিচালনা করবে।’ (আল-মুজামুল কাবির : ২০/২৭৯)

পুরো আলোচনার সারমর্ম হচ্ছে। বিশ্ববাসী যখন একের পর এক ভূমিকম্প দুর্ভিক্ষ যুদ্ধ মোকাবেলা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়বে,তখন আল্লাহ এ লেভি, জালেমদের দফারফা করবে ফোরাত নদীর স্বর্ণ দিয়ে!হঠাৎ তাদের কাছে খবর যাবে ফোরাতে স্বর্ণের খনি পাওয়া গেছে!এবং তা দখল করার জন্য সব গুলো সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র মরিয়া হয়ে উঠবে এবং তা দখল করার জন্য যুদ্ধে জড়িয়ে যাবে!!কারণ অর্থনীতি সচল করা হবে সে সব রাষ্ট্রের একমাত্র উৎস!অর্থাৎ সোনাই যখন অর্থনৈতিক লেনদেন এর একমাত্র মাধ্যম!!আর আল্লাহ এ টোপের মাধ্যমে কোমর ভেঙ্গে দিবেন সাম্রাজ্যবাদীদের!!স্বর্ণ দখলের ঐ যুদ্ধে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৯৯ জন লোক মারা যাবে! হাদিস শরিফে বর্ণনা আছে!!

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ) বলে,ন, “কেয়ামত সংঘটিত হবেনা, যতক্ষণ না ফোরাত নদী থেকে স্বর্ণের খনি প্রকাশ হবে। স্বর্ণদখলের লোভে সবাই সেখানে যুদ্ধ করতে থাকবে। ৯৯% লোক ই সেই যুদ্ধ সেখানে নিহত হয়ে যাবে। বেঁচে থাকা প্রত্যেকেই -আমি-ই শুধু বেঁচে আছি- মনে করবে।”
(সহীহ মুসলিম: ৭৪৫৪)

এবার আসা জাক একেবারে শেষ আলোচনায় ফোরাত নদীর শুধুমাত্র কেন সম্রাজ্যবাদীদের গোরস্থান হবে ঈমানদার কেন সে যুদ্ধে অংশ নেবেনা!!

প্রিয় ভাইয়েরা এবার লক্ষ করুন নবিজির আরেকটি হাদিসের দিকে!!

হযরত উবাই বিন কা’ব (রাঃ) বলেন, নবী করীম (সাঃ) কে আমি বলতে শুনেছি, “অচিরেই ফোরাত-নদীতে স্বর্ণের ভান্ডার প্রকাশ পাবে, শুনা মাত্রই সবাই সেখানে চলে যাবে। স্হানীয় লোকেরা বলবে, ব্যবস্থা না নিলে সবটুকু স্বর্ণ-ই মানুষ দখল করে নিয়ে যাবে। ফলে তারাও সেখানে যুদ্ধে লিপ্ত হবে। ৯৯% যুদ্ধা-ই সেখানে নিহত হয়ে যাবে।”
(সহীহ মুসলিম : ৭৪৫৮)
অপর বর্ণনায়, নবী করীম (সাঃ) বলেন, “তোমাদের মধ্যে যারা তখন বেঁচে থাকে, কেউ যেন ওখান থেকে কিছু গ্রহণ না করে।”
(সহীহ বুখারী : ৬৭০২, সহীহ মুসলিম : ৭৪৫৬)

উক্ত হাদিস ২টি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় আল্লাহর রাসূল ঈমানদার মুসলিমদেরকে ওই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে নিষেধ করেছে!তাহলে স্বাভাবিকভাবেই বলা যায় শেষ জামানায় ঈমানদার ব্যক্তিরা ঐ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে না ! বিনিময়ে আল্লাহ ইমানদারদের বাচিয়ে দিবেন।বিপরীতে লেভি পাপিষ্ঠ বেইমান, নাসারাদের কবরের মাধ্যমে শেষ হবে ফোরাতের সে মহাযুদ্ধ। আর এ যুদ্ধের সমাপ্তির মাধ্যমে আল্লাহ ঈমানদার দের জন্য নতুন এক পৃথিবী তৈরি করবেন।ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।

সাইদুল ইসলাম সজীব

লেখক ও গবেষক ( আআখিরুজ্জামান)

Leave a Reply