You are currently viewing আপনি শেষ জামানায় আছেন এটা বুঝার জন্য সবচেয়ে বড় নিদর্শন কি জানেন!

আপনি শেষ জামানায় আছেন এটা বুঝার জন্য সবচেয়ে বড় নিদর্শন কি জানেন!

আপনি শেষ জামানায় আছেন এটা বুঝার জন্য সবচেয়ে বড় নিদর্শন কি জানেন!

যদিও আক্ষেপের বিষয় আমরা খেলাফত এর মতো পবিত্র শাসনব্যবস্থা দেখিনি!এটা ভাবতেই কেমন জানি অন্তর নাড়া দিয়ে উঠে।আর আক্ষেপ হবেই বা না কেন? এতো অনিয়ম, এত জুলুম,ফিতনার এই অপ্রতিরোধ্য সময়ে!যখন ন্যায়বিচার, সুবিচার,সমাজ থেকে উঠে গেছে,পুরে সমাজব্যবস্থা জুলুমের সয়লাব হয়ে গেছে। এটি এমন একটি সময় আপনি আপনার দুঃখের কথাগুলো কাউকে শেয়ার করে সঠিক সাজেশন পাওয়া এখন দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে।ন্যায়বিচার তো সেটা কল্পনার অতীত!

এমন একটি সময় আপনার মনে আক্ষেপ আসতেই পারে। আহ যদি খেলাফতের মত পবিত্র শাসন ব্যবস্থা থাকত। তাহলে হয়তো আজকের এ দিন আমাকে দেখতে হতো না!
আমি আমরা সত্যিই ব্যথিত আমাদের রবের কাছে আমরা ফরিয়াদ করি হে রব আমাদের ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দিন!খেলাফত ব্যবস্থা আবার আমাদের মধ্যে ফিরিয়ে দিন।

আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে আমরা এমন একটি সময় পার করতেছি।এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন আমরা পুরো পৃথিবীজুড়ে খেলাফত থেকে বঞ্চিত ছিলাম।হাদিসের ভবিষ্যৎবাণী অনুযায়ী এখন আফগানিস্তান থেকে আবার স্বপ্ন দেখতেছি!সত্যিই এটি একটি বড় নিদর্শন যে সারা পৃথিবীতে এভাবে আর কখনো খেলাফত উঠে যায় নি।যা ১৯২৪ সালে ওসমানী খেলাফত পতনের মাধ্যমে হয়েছে।তাও আবার ১০০ বছর এই মুসলিম উম্মাহ খেলাফত থেকে বঞ্চিত ছিল।

 

খুলাফায়ে রাশেদীনের যুগের পরে মুসলিম বিশ্ব কারা কখন শাসন তার তারই একটা তালিকা দেখুন। ৪১ হিজরী সালে মুআবিয়া (রা)-এর খিলাফত গ্রহণের মাধ্যমে উমাইয়া যুগের শুরু।৯৯ হিজরী সাল থেকেই ‘‘নবী-বংশের রাজত্ব’’ শ্লোগানে গোপনে আববাসী আন্দোলন শুরু হয়। ১২৭ হিজরী থেকে প্রকাশ্য বিদ্রোহ ও যুদ্ধ শুরু হয়। ১৩২ হিজরীতে উমাইয়া খিলাফতের পতন ঘটে ও আববাসী খিলাফত প্রতিষ্ঠা পায়।
তাবেঈনদের যুগঃওমর বিন আব্দুল আজিজ এর শাসনকাল।আমি একে একে খেলাফত গুলোর নাম উল্লেখ করতেছি।

রাশিদুন খিলাফত (৬৩২-৬৬১) – ইসলামি সাম্রাজ্যের শুরু
উমাইয়া খিলাফত (৬৬১–৭৫০) – রাশিদুন খিলাফতের উত্তরসূরী।
আব্বাসীয় খিলাফত (৭৫০–১২৫৮) – উমাইয়া খিলাফতের উত্তরসূরী, বাগদাদের পতন (১২৫৮)
আল-আন্দালুসে উমাইয়ার করডোভা খিলাফত (৯২৯–১০৩১)
ফাতেমীয় খিলাফত (৯০৯–১১৭১)
আলমোহাদ খিলাফত (১১২১–১২৬৯)
মামলুক সালতানাত (কায়রো) (১২৬১–১৫১৭)
উসমানীয় খিলাফত (১৫১৭–১৯২৪)
সোকোতো খিলাফত (১৮০৪–১৯০৩)
শরিফিয়ান খিলাফত (১৯২৪–১৯২৫)

আর এ খেলাফতের সমাধি হয় ওসমানী খেলাফত পতনের মাধ্যমে!এবং এর সমাপ্তি কাল ছিল ১০০ বছর ২০২১ এর আফগান বিজয়ের পরে মোসলমানরা আবারো খেলাফতের স্বপ্ন দেখতেছে।আল্লাহ কবুল করুন।

হযরত আবু হুরায়রাহ(রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে রাসুলুল্লাহ(সঃ) বলেছেন “মহান আল্লাহ্ এই উম্মতের জন্য প্রতি শতাব্দীর শুরুতে একজন মুজাদ্দিদ পাঠাবেন যিনি ঐ সময়ে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষাকে সঞ্চারিত করবেন”হারিয়ে যাওয়া দিনকে, আবার রি-নিউ করবেন। (সুনান আবু দাউদ ৫/১০০)

হযরত আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসুল (সঃ) বলেছেন,
“এই পৃথিবীর যদি মাত্র একদিন বাকি থাকে আল্লাহ্ সেই দিনটিকে প্রলম্বিত করে দিবেন যতক্ষন না আমার বংশধরের থেকে একজন প্রেরিত হয়।”
(সুনান আবু দাউদ, ৫/৯২)

উম্মাহ জখন খেলাফত বিহিন ১০০ বছর পার করে ফেলছে! হাদিসের ভবিষ্যৎবাণী অনুযায়ী বুঝা যায় আরও একটা বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি আমরা।আর এটি সম্ভবত গোটা মুসলিম উম্মার শেষ বিজয়।যে বিজয় আসন্ন।

তাহলে উপরের আলচনা থেকে কি বুঝলেন শতবর্ষ খেলাফত থেকে বঞ্চিত থাকা এটি একটি বড় নিদর্শন নয় ইমাম মাহদী আঃ এর আগমনের?

আল্লাহ ঘুমন্ত অন্তর গুলোকে জাগ্রত করুক। সত্য বুঝার তৌফিক দিক।

সাইদুল ইসলাম সজীব
১৯/০৮/২০২২

Leave a Reply