You are currently viewing ইসলামের বিজয় আসন্ন। ইমাম মাহদীর আগমন অতি নিকটে।

ইসলামের বিজয় আসন্ন। ইমাম মাহদীর আগমন অতি নিকটে।

প্রিয় ভাই আমার!

দ্বীন প্রতিষ্ঠার ভার আমি আপনি আমাদের নিতে হবে। কুরআন হাদিসের মশাল জ্বেলে আমাদেরকেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। রক্ত পিচ্ছিল পথের অগ্রপথিক আমাদেরকেই হতে হবে । তারেক বিন যিয়াদ, সালাহউদ্দিন আইয়ুবি ও মুহাম্মদ বিন কাসিমের ভূমিকা পালন করতে হবে। সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ ও ইসমাইল শহীদ সহ অন্যান্য বীর সেনানীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে হবে।

দ্বীন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রক্ত পিচ্ছিল পথে চলার জন্য আমাদের কেউ সাহায্য করবে না। বর্তমান জামানার যারা আমাদের মুক্তাদা, যাদেরকে আমরা পীর আউলিয়া, শায়েখ- মাশায়েখ ও দ্বীনের দায়ী মনে করি , তারা শতদা বিভক্ত উনারা নিজের মনগড়া ও বানানো মাসালাহাত নিয়ে কাফিরের অধিনস্তা মেনে নিয়েছেন। মওতের ভয় ও মালের মোহাব্বত পেয়ে বসেছে। কুফুরি সংবিধানের নিচে মাথা নত করাকে হেকমত আর মাসলেহাত মনে করেছেন । জেল জুলুমের ভয়ে হক কথা বলার পরিবর্তে ইহুদি নাসারাদের সুরে সুর মেলাচ্ছেন। কুরআন হাদিসের বিরুদ্ধে ফতোয়া দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না । কুরআনের স্পষ্ট আয়াতের বিরোধীতা করেও নিজেকে বড় একটা কিছু মনে করছেন।

ইয়া উম্মাতা মুহাম্মদ !

দিন বদলের মিছিলের সাথে ক্রমশই বাড়ছে আযাদীপ্রিয় জাতির মশালবাহীদের ভিড়। যমানার বুক চিরে বিশ্বের খিত্তায় খিত্তায় জেগে উঠছে শতবছর ধরে নির্যাতিত মুসলিমদের জিহাদী স্পৃহা । মজলুম জাতির নওজোয়ানরা খুঁজে ফিরছে নিজেদের হারানো ঐতিহ্য । দুনিয়া জুড়ে বাতিলের সামনে সিনা টান করে দাড়াচ্ছে মুহাম্মদী সিংহ-শাবকরা । ইসলামী বিশ্বে বয়ে যাচ্ছে বিপ্লবের ঝড়ো সমীকরণ। উত্তপ্ত হচ্ছে জিহাদের ময়দান। নওজোয়ানরা সেজেগুজে দৌড়ে যাচ্ছে হুরদের দিকে। মায়েরা জোয়ান ছেলেদেরকে কোরবানি দিচ্ছে আল্লাহর নামে। লেখা হচ্ছে বাহাদুরী আর বীরত্বের নতুন ইতিহাস। দিক – দিগন্ত থেকে পঙ্গপালের মতো বদলা নিতে ছুটে চলছে জিহাদের সর্গ রাজ্য আফগান , সিরিয়া, ইরাক সহ মজলুম খিত্তাগুলোতে ।এমনকি বাংলার অলিতে গলিতেও বীর মুজাহিদরা জেগে উঠেছে আলহামদুলিল্লাহ।

অতএব,
তোমরা তোমাদের ঈমানী শক্তিতে বলীয়ান হয়ে সাহসী পদক্ষেপে অগ্রসর হও ; দেখো আল্লাহ জাল্লা শানুহু এখনো অসীম ক্ষমতায় মহীয়ান। তাঁর কৌশল এখনো শক্তিশালী। তিনি এখনো মুজাহিদদের ক্ষুদ্র কাফেলা দিয়ে তাগুতের বৃহৎ শক্তিকে পরাভূত করেন।
ওই দেখা যায় সুবেসাদিকের প্রসারিত রেখা। মহা সুসংবাদের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি আমরা। ইনশাআল্লাহ বিজয় খুব সন্নিকটে।মুসলমানদের উত্থান আসন্ন!!!নবী করীম সা: এর একটা হাদিস। সমস্তঅমুসলিমবিশ্বেরঘুমহারাম করে দিয়েছে। যেটা হলো #2024_সালেবিশ্বনেতৃত্ব দিতে পারে মুসলিমরা। যাদের নেতা হতে পারে।ইমামআলমাহাদী (আল্লাহু আলাম)।

প্রতি ১০০ বছর পর পর বিশ্ব মুসলিম উম্মার নেতৃত্তের জন্য এমন এক ব্যক্তি কে আল্লাহতালা পাঠান যার মাধ্যমে মুসলমানদের “ঈমান” সেই চৌদ্দশ বছর আগের ঈমানে রূপান্তরিত হয়। সেই হিসেবে মুসলমানরা বিশ্ব নেতৃত্বের হারিয়েছে ১৯২৪ সালের মার্চ মাসে উসমানীয় খিলাফতের পতনের মাধ্যমে। আবার ১০০ বছর পর বিশ্ব নেতৃত্বের ফিরে পাবে অর্থাৎ ২০২৪ সালে ইনশাআল্লাহ।
হাদিসের আলোকে-
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ،
أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ شَرَاحِيلَ بْنِ يَزِيدَ الْمَعَافِرِيِّ، عَنْ أَبِي عَلْقَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، فِيمَا أَعْلَمُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ لِهَذِهِ الأُمَّةِ عَلَى رَأْسِ كُلِّ مِائَةِ سَنَةٍ مَنْ يُجَدِّدُ لَهَا دِينَهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ شُرَيْحٍ الإِسْكَنْدَرَانِيُّ لَمْ يَجُزْ بِهِ شَرَاحِيلَ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ এই উম্মাতের জন্য প্রতি একশত বছরের শিরোভাগে এমন লোকের আবির্ভাব ঘটাবেন, যিনি এই উম্মাতের দীনকে তার জন্য সঞ্জীবিত (পুনরূজ্জীবিত) করবেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘আবদুর রহমান ইবনু শুরাইহ আল-ইসকান্দারানীও এ হাদীস বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তিনি শারাহীল-এর অতিরিক্ত বর্ণনা করেননি।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪২৯১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে আগামী বিশ্ব মুসলমানদের বিশ্ব। আর এজন্যই মুসলিম নিধনে অমুসলিম বিশ্বঃ উঠে পড়ে লেগেছে। মুসলমান জাতির উপরে নির্যাতন, নিপিরণের চরম মাত্রায় পৌঁছেছে। কারণ তারাও জানে আগামী পৃথিবী মুসলমানদের পৃথিবী। আগামীর পৃথিবী ইমাম মাহাদীর পৃথিবী। আগামীর পৃথিবী ঈসা আঃ এর পৃথিবী।

তোমরা আমাদের যতই নির্যাতন করো না কেন। তোমাদের জুলুমের বিপরীতে আমরা ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করবো। এবং সময়মত সব সুদে-আসলে বুঝিয়ে দিব। আসন্ন মুসলমানের উত্থান কে ঠেকাবে? নাসরুম মিনাল্লাহি ওয়া ফাতহুন কারিব।

Leave a Reply