You are currently viewing যিনা কি?প্রেম কি? এবং এর শাস্তি কি?

যিনা কি?প্রেম কি? এবং এর শাস্তি কি?


বিয়ের পূর্বের প্রেম= যিনা, (অবৈধ, হারাম)
বিয়ের পরে প্রেম= ইবাদত,(বৈধ, হালাল!)
.
রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন,
“কোন বেগানা নারীর প্রতি দৃষ্টি দেওয়া চোখের যিনা।
,অশ্লীল কথাবার্তা বলা জিহ্বার যিনা,
,অবৈধভাবে কাউকে স্পর্শ করা হাতের যিনা,
,ব্যাভিচারের উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়া পায়ের যিনা,
খারাপ কথা শোনা কানের যিনা, আর
যিনার কল্পণা করা ও আকাংখা করা মনের যিনা। অতঃপর লজ্জাস্থান একে পূর্ণতা দেয় অথবা অসম্পূর্ণ রেখে দেয়”।
—[সহীহ আল-বুখারী, মিশকাত:৮৬, সহীহ আল-মুসলিম:২৬৫৭, সুনানে আবু দাউদ, সুনানে আন-নাসায়ী]
.

যিনা হারাম ও অত্যন্ত মন্দ কাজ আল্লাহ তাআ’লা যিনাকে হারাম ঘোষণা করে বলেছেন, “তোমরা যিনার কাছেও যাবে না। কেননা তা অত্যন্ত নির্লজ্জ এবং খারাপ কাজ।”
—[সুরা বনী-ইসরাঈল : ৩২]
.

রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন, “আল্লাহর দৃষ্টিতে শিরকের পর সবচাইতে বড় গুনাহ হচ্ছে এমন কোন জরায়ুতে একফোটা বীর্য ফেলা, যা আল্লাহ তার জন্য হালাল করেন নি।”
—[সহীহ বুখারী]

রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন, “যিনাকারী যখন যিনা করে, তখন তার ঈমান থাকে না।”
—[বুখারি ও মুসলিম]

যিনার শাস্তি:
যে সব বড় পাপ করলে দুনিয়াতেই কঠোর শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে যেনা তার মধ্যে অন্যতম। দুনিয়াতে দু’টি বড় পাপের প্রতিক্রয়া খুবই নিন্দনীয়। যেনা তার একটি। যেনাকারীর বাস্তব বিচার বা সামাজিক বিচার যেমন অপমানজনক তেমনি সমাজে দুর্নাম ছড়িয়ে যাওয়াও অপমানজনক। কাজেই যেনাকারী ইহকালেও ক্ষতিগ্রস্ত, পরকালেও ক্ষতিগ্রস্ত। এটা এমন একটা পাপ যার মাধ্যম অনেক। যেমন:- চোখ, হাত, পা, কান, মুখ, অন্তর ও লজ্জাস্থান। এগুলির দ্বারা মানুষ যেনার মত জঘন্য পাপ করে থাকে।

অাল্লাহ তা’য়ালা বলেন :- তোমরা যেনার নিকটবর্তীও হয়োনা, এটা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট পথ।
—[সুরা বানী-ইসরাঈল : ৩২]
.

ব্যভিচারিনী নারী ও ব্যভিচারী পুরুষ তাদের প্রত্যেককে একশত_করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর আইন কার্যকর করার ব্যাপারে তাদের প্রতি দয়ামায়া তোমাদেরকে যেন প্রভাবিত না করে, যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাত দিনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে থাক। একদল মু’মিন যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।
—[সুরা নূর : ২]

যিনার শাস্তি হাদিস শরিফ থেকেঃ

হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) ও যায়দ ইবনে খালিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। দুই ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট অভিযোগ উত্থাপন করল।
একজন বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ ﷺ
আমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব মোতাবেক ফয়সালা করে দিন। অপরজন ছিল অধিক
বুদ্ধিমান। সেও বলল, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলুল্লাহ ﷺ
আমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব মোতাবেক ফয়সালা করে দিন। রাসূলুল্লাহ
ﷺ বললেন, আচ্ছা বল। লোকটি বলল,
আমার ছেলে এই ব্যক্তির কাজ করত।
সে তার স্ত্রীর সাথে যিনা করল। তখন তারা আমাকে বলল যে, আমার ছেলেকে প্রস্তর নিক্ষেপ করে হত্যা করা হবে। তখন আমি আমার ছেলের মুক্তিপণ হিসেবে একশত বকরী ও আমার একটি বাঁদী দিয়ে দিলাম।তারপর আমি আলেমদের জিজ্ঞাসা করলাম। তাঁরা বলল, আমার ছেলেকে একশত বেত্রাঘাত করতে হবে এবং এক বছরের জন্য দেশান্তর করতে হবে।
আর তার স্ত্রীকে প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যা করতে হবে।
তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন,
শোন, আমার জান যার হাতে তার শপথ করে বলছি, আমি অবশ্যই তোমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব মোতাবেক ফয়সালা করব। তোমার বকরী এবং বাঁদী তোমার নিকট ফিরিয়ে দেয়া হবে। তোমার ছেলেকে একশত বেত্রাঘাত করে হবে এবং এক বছরের জন্য দেশান্তর করা হবে। তারপর উনায়স আসলামী (রাঃ) কে বললেন, হে উনায়স! এই লোকের স্ত্রীর নিকট যাও। যদি সে স্বীকার করে, তবে তাকে প্রস্তর নিক্ষেপ করে হত্যা করো। তারপর
মহিলাটি যিনার কথা স্বীকার করলে তাকে প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যা করা হল।” (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ,
আবূ দাউদ, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমদ,
মুয়াত্তা মালিক, দায়িমী)

.
বর্তমানে, একশ্রেনীর জ্ঞানহীন কিছু যুবক- যুবতী, লজ্জা-শরম ভুলে গিয়ে পরকিয়া প্রেমে অাসক্ত হয়ে যেনা করছে ও মা-বাবার অবাধ্য হচ্ছে।
যৌনাচারের মত বিষাক্ত ভাইরাস ছড়িয়েছে চারদিকে।

হে আল্লাহ, এই যিনা থেকে হেফাজত করুন সকল মুমিন মুসলিম উম্মাহকে।

Leave a Reply