You are currently viewing ভাগ্য রজনী : শবে-ক্বদর না শবে-বারাত(?)করনীয় বর্জনীয।

ভাগ্য রজনী : শবে-ক্বদর না শবে-বারাত(?)করনীয় বর্জনীয।

শবে-বারাত একটি ফারসী শব্দ। অর্থ হিস্সা বা নির্দেশ পাওয়ার রাত্রি। ‘বারায়াত’কে যদি আরবী শব্দ ধরা হয় তাহলে এর অর্থ হচ্ছে সম্পর্কচ্ছেদ; পরোক্ষ অর্থে মুক্তি। আর ‘বারায়াত’ শব্দের ফারসী অর্থ সৌভাগ্য। বাংলাদেশ বা সাব-কন্টিনেন্টে একে “ভাগ্য রজনী” বলা হয়; যা ভিত্তিহীন। কোরআন-হাদিসে এ শব্দটি নাই। হাসান পর্যায়ের হাদিসে ‘লাইলাতুননিসফে-মিন-শাবান’ নামে আছে।

 

বিপরীতে, আরবীতে ‘লাইলাতুল-ক্বাদর’ এর অর্থ- শব মানে রাত/রজনী আর ক্বাদর মানে মহিমাময়/সন্মানিত/ত্বাকদীর/ভাগ্য/সৌভাগ্য। কাজেই, শবে-ক্বাদর এর মানে সম্মানিত রজনী বা ভাগ্য রজনী। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, নামকরণেও অর্থের দিকের সামন্জস্যতা ঠিক না রেখে আমরা এতে গুলিয়ে ফেলেছি!এ রাত সম্পর্কে আমাদের সমাজে বাড়াবাড়ি (বাপ-দাদাদের ইবাদতি ট্রেন্ড কিংবা একবারে ছাড়াছাড়ি দুইটি মতোভেদই দেখা যায়। আমাদেরকে নিন্মের কোরআন ও সহি-মরফু’ হাদিস থেকে রেফারেন্স ভিত্তিক  যাচাই করণের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে।

 

ভাগ্য রজনী : শবে-ক্বদর না শবে-বারাত? বিদাতী ভ্রান্ত ধারণা/চেতনা সর্ম্পকিত পর্যালোচনাঃনিন্ম কুরআনিক রেফারেন্স সমূহ মনোযোগ সহকারে লক্ষ্য করুন।

 

সুরা বাকারা: আয়াত ১৮৫-এ আল্লাহপাক বলেছেনঃ

 

 “রমযান মাস – যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াত স্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী (বর্ণনারূপে) ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী

এখানে সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ আছে- কুরআন নাযিল হয় রমজান মাসে। অথচ শবে-বারাত পালন করা হয় শাবান মাসে। এটি দ্বারা স্পষ্ট হয় যে- শবে-বারাতের রাতে কুরআন নাযিল তথা এর সূচনা হয় নাই।

 

সূরা ক্বদরে বলা হয়েছে ক্বদরের রাতে কুরআন নাযিল হয়েছে।  ক্বদরের রাতটি যে রমযান মাসে তা নিয়ে কোন ইখতিলাফ নেই; এবং হাদিস দ্বারা সুশ্চিত যে, এ রাতটি রমযান মাসের শেষ দশের কোন একটিতে আছে।আর সূরা দুখানে আল্লাহ তা’য়াল বলেছেন, “আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী।”

 

এ থেকে পরিস্কার হয় যে সবয়ে বারাত কুরআন নাযিল হয়নি। সুতরাং লাইলাতুল ক্বদরই হচ্ছে একমাত্র ভাগ্য রজনী – যাতে “আল-কোরআন” নাযিলের সূচনালগ্ন হয় – যা সন্দেহাতীত ভাবে উপরোক্ত আয়াত সমূহ দ্বারা প্রমানিত। আর, ক্বদরের রাত্রিতে এবং পূর্ব বছরের ইবাদত ও কর্মগুণে পূর্বে নির্ধারিত তাক্বদীর পরিমার্জন/পরিবর্তন করতঃ সে সবের লিখনী ক্ষমতাই আল্লাহপাক তাঁর মালাঈকা জিব্রীল (আঃ)-এর নেতৃত্বে অর্পণ করেন।এবং উপরোক্ত কোরআনের আয়াত সমূহ থেকে এও দ্ব্যর্থহীন ভাবে আমরা বলতে পারি যে, শবে-বরাত (১৫-শাবানের রাতে)-এ কোরআন নাযিল হয় নাই এবং কোন প্রকারের তাক্বদীর/ভাগ্যই নির্ধারণ হয় না।এটাই কুরআনের শিক্ষা।

শবে-বারাত নামক বিদাতের ইতিকথাঃ

৪৪৮-হিজরীতে সর্বপ্রথম জেরুযালেমের বায়তুল মুক্বাদ্দাস মসজিদে প্রবর্তিত হয়। ইমাম ত্বরতূশী (রা.) বলেন, “শাবান মাসের ১৫-তারিখ রাতে একশত রাকাত সালাত পড়ার পদ্ধতি সর্ব প্রথম যে ব্যক্তি চালু করে তার নাম হল ইব্‌ন আবুল হামরা। সে ছিল ফিলিস্তিনের নাবলুস শহরের অধিবাসী। ৪৪৮-হিজরী সনে বাইতুল মোকাদ্দিসে আসে। তার তেলাওয়াত ছিল খুব সুন্দর। সে শাবান মাসের ১৫-তারিখ রাতে মসজিদুল আকসায় এসে সালাত শুরু করে। আর এক লোক তার পেছনে এক্তেদা করে। অতঃপর আর একজন আসে। কিছুক্ষণ পর আরও একজন। এভাবে সালাত শেষে দেখা গেল- তা একটা বিরাট জামাআতে পরিণত হয়েছে।পরবর্তী বছর শবে বরাতে সে ব্যক্তির সাথে প্রচুর পরিমাণ মানুষ সালাতে শরীক হয়। এভাবে এ সালাতটি মসজিদে আক্বসা সহ বিভিন্ন মসজিদে পড়া আরম্ভ হয়ে যায়। কিছু মানুষ নিজেদের বাড়িতে এ সালাত পড়াও শুরু করে দেয়। পরিশেষে এমন অবস্থা দাঁড়ালো, যেন এটি একটি। সুন্নাতি-ইবাদত!” [মিরক্বাতুল মাফাতীহঃ৩/৩৮৮]

 

মূলতঃ তখনকার মসজিদের মূর্খ ইমামগণ এর মাধ্যমে জনসাধারণকে একত্রিত করার এবং নেতৃত্ব করা ও পেট পুর্তি করার একটা ফন্দি এঁটেছিল মাত্র। এই বিদাতী সালাতের ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেখে নেককার-পরহেযগার ব্যক্তিগণ আল্লাহর গযবে যমীন ধ্বসে যাওয়ার ভয়ে শহর ছেড়ে জঙ্গলে পালিয়ে গিয়েছিলেন। [মিরক্বাত শরহ মিশকাতঃ১৩০৮-এর ব্যাখ্যা দ্র. ৪/৪৪৬-৪৭ পৃ.

 

কিন্তু আফসোসের বিষয় এই যে, আমরা সঠিক আমল উপেক্ষা করে বিদাতের দিকে ক্রমেই ধাবিত হচ্ছি! আর এটি প্রমানিত সত্য যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সঠিক ইবাদত-আমলের তরিকা হটিয়েই বিদাতের আর্বিভাব ঘটে।

 

সুতরাং সত্যিকারের ঈমানদার/মুত্তাকী সম্পন্ন মুসলিম হতে হলে- আদত আর বিদাত কি, তা সঠিক রেফারেন্স সহকারে সুর্নিদৃষ্ট করে বুঝে নিতে হবে।

 

শবে-বারাতের রাত কেন্দ্রিক কিছু বিদাতী ধারণা-কর্ম-কান্ডঃ

 

প্রচলিত হয়ে আসা এ সবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ

☼ আয়ু ও রূযী বৃদ্ধি করা হয়।

☼ সারা বছরের ভাগ্য/ত্বাকদীর (জন্ম-মৃত্যু, রিজিক, বিবাহ, ইত্যাদি) লিপিবদ্ধ হয়।

☼ এ রাতেই (খাচ করে) বান্দার দোয়া-তওবা কবুল হয়; তথা যাবতীয় গোনাহ-খাতা মাফ হয়।

☼ অনেকে এই রাতে, মাগরিব সালাত পরবর্তী গোসল করাকে ইবাদত/ছওয়াবের কাজ বা পবিত্রতা মনে করে। আরও আগ বাড়ায়ে মনে করা যে, এ গোসলের প্রতি ফোঁটা পানিতে ৭০০-গুণাহ ঝরে যায় এবং/বা ঐ সমপরিমাণ রাকাত নফল সালাতের ছওয়াবও পাওয়া যায় তথা কথিত গোসলের ফোঁটায় ফোঁটায়। ইত্যাদি . .. … এক্ষণে বিদাতীদের বুঝা উচিত ছিল যে, সারা রাত বিরতিহীন নফল সালাত আদায়ের চেয়ে উত্তম হলে গোসল করা ..!.. ইসলাম কি এই বিধান দিতে পারে!? তবে আশার কথা এই যে- এ সর্ম্পকিত কোন প্রকারের হাদিস নাই।

 

☼ এ রাতে রূহগুলো সব আত্মীয়-স্বজনের সাথে সাক্ষাতের নিমিত্তে পৃথিবী পৃষ্ঠতে চলে আসে। বিশেষ করে বিধবারা মনে করে যে, তাদের স্বামীদের রূহ এই রাতে ঘরে ফেরে। এজন্য ঘরের মধ্যে আলো জ্বেলে তারা সারা রাত মৃত স্বামীর রূহের আগমনের আশায় বুক বেঁধে বসে থাকে। বাসগৃহ ধূপ-ধুনা, আগরবাতি, মোমবাতি ইত্যাদি দিয়ে সুগন্ধিময় ও আলোকিত করা হয়। এ যেন- রূহগুলিকে সাদর অভ্যর্থনা জানাবার জন্য প্রস্তুতির উৎসবে (পূজায়) পরিণত হয়!! উপরোক্ত বিশ্বাস সরাসরি কুরআনুল-কারীমের অসংখ্য আয়াতের সাথে কুফরির শামিল। যেমন-

 মুলিমদের বিশ্বাস রাখতে হবে যে, মৃতেরা বা তার রূহ ‘বারযাখী জীবন’-এ আছে; ভূ-পৃষ্ঠে নেই বা ফিরে আসতে পারে না।

 

☼ মৃতের নিকট আত্মীয়-স্বজন সব দলে দলে গোরস্থানে ছুটে যায়। তথায় মৃতের জন্যে দোয়া করা হয়। এতদ প্রসঙ্গে বর্ণিত হাদিসঃ মা আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) একদা রাত্রিতে একাকী মদীনার বাক্বী‘ গোরস্থানে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি এক পর্যায়ে আয়েশা (রাঃ)-কে লক্ষ্য করে বলেন, মধ্য শা‘বানের দিবাগত রাতে আল্লাহ দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন এবং ‘কল্ব’ গোত্রের বকরী সমূহের লোম সংখ্যার চাইতে অধিক সংখ্যক লোককে মাফ করে থাকেন। [ইবনু মাজাহঃ১৩৮৯; মিশকাতঃ১২৯৯] হাদীছটি যঈফ এবং এর সনদ ছিন্নসূত্র। [যঈফুল জামেঃ১৭৬১] এবং অনেক সহি হাদিসের বিপরীত। যেমন- [মুসলিমঃ(হাএ)-২১৪৬, (আনা)-৯৭৪, (ইফা)-২১২৫, (ইসে)-২১২৮] হাদিসটিতে আম্মাজান আয়েশা (রা.)-এর বর্ণনা অনুযায়ী রাসূল (সাঃ) বাকী’উল গারকাদ (জান্নাতুল বাকী বলা ঠিক নয়) কবরাস্থানে যেতেন; যা ছিল অনেকটা নিয়মিত আমল (”যে রাতে নবী (সাঃ) আমার কাছে থাকতেন”)। সুতরাং ইসলামী শরীয়া অনুযায়ীঃ এ সহি-হাদিসের মোকাবেলায় যঈফ হাদিসের উপরে আমল করা বিদাত।

 

তারপরেও, উল্লেখ্য যে, যঈফ হাদিসটি সঠিক হলেও তা মানার ক্ষেত্রে এরূপ হবে- রাসূল (সাঃ) যেহেতু জীবনে মাত্র একবার একাকী এই রাতে বাক্বী‘-গোরস্তানে গিয়েছিলেন তাই আমাদেরকেও একবারের অধিক এবং দলবল সহকারে প্রতিবছর গোরস্তানে যাওয়া উচিত নয় বা তা বিদাত হবে। কেননা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) পরের বছর গুলোতে তা আর কনটিনিউ করেন নাই। আর এ সব ক্ষেত্রে এও মনে রাখা প্রয়োজন যে, সম্মিলিত মোনাজাত এক্ষেত্রে একটি বিদাত।

 

লাইলাতু নিসফু মিন শা’বান (সৌদিসহ কিছু দেশে আগামীকালের রাত, বাংলাদেশে রবিবার দিনগত রাত) নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার….

 

মধ্য শা’বানের রাতের ফজিলত নিয়ে সহিহ যে হাদিসটি এসেছে তা হলো আবূ মূসা আল-আশআরী (রদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন :

 

“আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে আত্নপ্রকাশ করেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ব্যতীত তাঁর সৃষ্টির সকলকে ক্ষমা করেন।” [সুনানে ইবনে মাজাহ-১৩৯০]

 

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লা এই রাতে যারা শিরক করে ও যাদের মনে হিংসা আছে তাদেরকে ছাড়া সৃষ্টির সবাইকে ক্ষমা করে দেন। পুরো মুসলিম জাহানের উপর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লার এটি একটি বিশেষ রহমত, যা ইন শা আল্লাহ আমরা এই রাতে বিশেষ কোন ইবাদাত না করলেও পেয়ে যাব।

 

এই রাতে যা বর্জনীয়:

 

হালুয়া রুটির সংস্কৃতি, পটকা, আতশবাজি ইত্যাদি একদমই বর্জনীয়। শাইখ আব্দুল হক দেহলভী রহ. বলেন, সম্ভবত এই সংস্কৃতি হিন্দুদের ‘দেওয়ালি’ প্রথা থেকে এসেছে।সম্মিলিত আমল। অর্থাৎ সবাই মিলে একসাথে নফল জামাত করে আদায় ইত্যাদি। এটা করবে না।

 

বিশেষ কোন সালাত নেই, সালাতের নিয়মও নেই। মাকসুদুল মোমেন জাতীয় কিতাবে যে নামাজের কথা আছে সেটা বানোয়াট, মনগড়া পদ্ধতি মাত্র। যেমন, ১০ বার সুরা এখলাস পড়া, বা এই সুরা পড়া, এত রাকাত পড়া, কে কত রাকাত নামাজ পরল সেটা অন্যকে জানায়। এটা করা যাবে না। আর সালাতের রাকাত সংখ্যাবৃদ্ধির চেয়ে কোয়ালিটি অর্থাৎ খুশু খুজু ও তাদীলের প্রতি বেশি যত্নবান হওয়া উচিত।

 

এই রাতে গোসলের কথা হাদিসে বর্ণিত নেই। গোসল করলে যে ফজীলত.. এটা ভিত্তিহীন।

 

এ রাতের পরদিন রোজার রাখার হাদিসটি যায়ীফ। তাই এইদিন নির্দিষ্ট করে রোযা রাখা যাবেনা।

 

এই রাতে করণীয়:

 

এই রাতের বিশেষ কোন আমল সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়, কেউ ইবাদত করতে চাইলে প্রতি রাতেই করা যায়। তবে অন্যান্য রাতের তুলনায় যদি এই রাতে কেউ ব্যক্তিগতভাবে বেশি সালাত আদায় করেন বা বেশি দুয়া করেন এতেও কোন বাধা নেই, অনেক আলেম তা জায়িয বলেছেন। অনেক তাবেয়ী এমনটি করেছেন বলেও জানা যায়।

 

নিজে নিজে নফল ইবাদত করা (যেমন: তাহাজ্জুদের সালাত)। প্রতিরাতেই শেষ রাতে আল্লাহ তৃতীয় আসমানে নেমে আসেন, বান্দাহর গুনাহ মাফ করেন, অভাব পূরণ করেন।

 

কুরআন তিলওয়াত করা, সম্ভব হলে অর্থ এবং তাফসীরসহ

 

গুনাহ মাফের দুয়া করা।

 

কারো সাথে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করে থাকলে, বন্ধন পুনস্থাপন করা।

 

ক্ষমা করে দেয়া।

 

কারো গীবত বা কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিতে পারেন।

 

সিয়াম করা, শাবানের ১-২৭ তারিখ পর্যন্ত সিয়াম করার কথা একাধিক হাদিসে এসেছে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই মাসে এত সিয়াম করতেন যে উম্মুম মুমিনীনরা বলাবলি করতেন, তিনি বোধহয় আর সিয়াম ছাড়বেনই না। তাছাড়া প্রতি মাসে আয়্যামে বীদের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখে সিয়াম করার কথা সহীহ হাদিসে এসেছে। ঐ তিন দিন সিয়াম করা যায়। সাথে সাপ্তাহিক সোম এবং বৃহস্পতিবারের সিয়াম।

 

এই রাতকে অনেকে লাইলাতুল ক্বদরের সাথে গুলিয়ে ফেলেন, লাইলাতুল বার-আত বলতে ‘ভাগ্যরজনী’ মনে করে থাকেন। এই ধারনা ঠিক না, ভাগ্যরজনী বা ক্বদরের রাত রমাদানের শেষ ১০ বিজোড় রাতের এক রাত।

 

দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে চলে যাওয়াটাই সবচেয়ে বড় সত্য। একদিন যেতেই হবে। আমাদেরকে মালিক দুনিয়াতে পাঠালেন উনার ইবাদাত করার জন্য এবং অন্যদের দাওয়াহ দেয়ার জন্য। আমরা আজকে জমিনের উপরে আছি, আল্লাহ তাআ’লার হুকুম আহকামগুলো মেনে চলার তাওফিক চেয়ে নেই রব্বুল আ’লামীনের দরবারে। কাল জমিনের নিচে এইটুকুই সাথে থাকবে একমাত্র সঙ্গী হিসেবে।

 

মুসলিম উম্মাহকে  দুয়াতে মনে রাখার অনুরোধ রইলো।

Leave a Reply