You are currently viewing কাশ্মীরকে ঘিরে খুব দ্রুত বদলে যাবে দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি।। দুই মেরুকরণে বিশ্ব অবস্থা চেঞ্জ হওয়ার শেষ পর্ব।

কাশ্মীরকে ঘিরে খুব দ্রুত বদলে যাবে দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি।। দুই মেরুকরণে বিশ্ব অবস্থা চেঞ্জ হওয়ার শেষ পর্ব।

কাশ্মীরকে ঘিরে খুব দ্রুত বদলে যাবে দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি।

প্রিয় পাঠক গত পর্বে আমি আপনাদেরকে বলেছিলাম।কাশ্মীরকে ঘিরে খুব দ্রুত বদলে যাবে।দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি। কিন্তু কিভাবে চলুন আলোচনায় ফিরে যাই।

কাশ্মীর একটি স্বাধীনতাকামী ভূখন্ড।এবং এ ভূখণ্ডের জনসংখ্যার অধিকাংশই মুসলিম।ভারতের জনসংখ্যার দিক থেকে মুসলমানরা সংখ্যালঘু,কিন্তু কাশ্মীরে মুসলমানরা সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ হাওয়াই ভারত সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাশ্মীর পৃথিবীর অন্যতম এক নির্যাতিতা মুসলিম জনগোষ্ঠী।ভারতের মালাউন সরকার নানা কায়দায় বছরের-পর-বছর নির্যাতন করে আসছে কাশ্মীরের জনগণকে।যা দেয়ালে বুক ঠেকে যাওয়ার মত।কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে জুলুম চিরস্থায়ী নয়।আধারের বুক চিরে ই একদিন আলো বের হয়ে আসে।

জুলুমের সমাপ্তি ঘটে বিপ্লবের মাধ্যমে এবং তা কেউ ঠেকাতে পারে না।ইতিহাস তার জ্বলন্ত সাক্ষী। বছরের-পর-বছর নির্যাতিত হওয়া কাশ্মীরি জনগণের মাঝেও তৈরি হয়েছে বিপ্লব এবং সেটি অনেক আগ থেকেই। যার চূড়ান্ত রূপ দেখিনি এখনো গোটা বিশ্ব।দেখবে খুব তাড়াতাড়ি এ বিষয় পরিস্কার।

প্রিয় বন্ধুগণ আমি আমার পূর্বের অনেক আলোচনায় বলার চেষ্টা করেছি।আমরা এখন শেষ জামানার স্টেশনে আছি।আর এই যুগে ঘটবে বড়বড় সব ঘটনা। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ, গাজওয়াতুল হিন্দ, সহ বড় বড় সব কেয়ামতের আলামত।ফিরে আসবে মুসলমানদের সেই সোনালী খেলাফত।সূচনা হওয়ার কথা ছিল আফগান ছাত্র ভাইদেরকে দিয়ে এবং তা হয়ে গেছে।আর সেটা ছড়িয়ে যাবে পুরা বিশ্বে ইমাম মাহাদী নেতৃত্বে।আল্লাহর রাসূল বলেছেন প্রতি ১০০ বছরের বেশি আল্লাহ মুসলিমদেরকে লাঞ্চিত করেন না।যার প্রমাণ কিছুদিন আগেই পেয়েছি।

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ এই উম্মাতের জন্য প্রতি একশত বছরের শিরোভাগে এমন লোকের আবির্ভাব ঘটাবেন, যিনি এই উম্মাতের দীনকে তার জন্য সঞ্জীবিত (পুনরূজ্জীবিত) করবেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘আবদুর রহমান ইবনু শুরাইহ আল-ইসকান্দারানীও এ হাদীস বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তিনি শারাহীল-এর অতিরিক্ত বর্ণনা করেননি।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪২৯১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস।

প্রতি ১০০ বছর পর পর বিশ্ব মুসলিম উম্মার নেতৃত্তের জন্য এমন এক ব্যক্তি কে আল্লাহতালা পাঠান যার মাধ্যমে মুসলমানদের “ঈমান” সেই চৌদ্দশ বছর আগের ঈমানে রূপান্তরিত হয়। সেই হিসেবে মুসলমানরা বিশ্ব নেতৃত্বের হারিয়েছে ১৯২৪ সালের মার্চ মাসে উসমানীয় খিলাফতের পতনের মাধ্যমে। আবার ১০০ বছর পর বিশ্ব নেতৃত্বের ফিরে পাবে ইনশাআল্লাহ!! নিশ্চয়ই আল্লাহ এবং তার রাসুলের প্রতিশ্রুতি সত্য!! সূচনা খোরাসানের ছাত্র ভাইদের দিয়ে( হাদিসে যাদের ইমাম মাহদীর সৈনিক হিসেবে ইংগিত আছে) আর শেষ হবে ইমাম মাহদীর নেতৃত্বে!!

আর ছাত্র ভাইদের বিজয়,কাশ্মীরের আজাদের সম্ভাবনা প্রবল বাড়িয়ে দিয়েছে।যা বিশ্বাস করেন খোদ ভারত সরকার ও।তাইতো তাদের এমন দৌড়ঝাঁপ। অমিত সাহা কাশ্মীর সফর এবং সেখানে স্বায়ত্তশাসন ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা।পরবর্তীতে আবারও সেখানে দ্বিগুণ সেনা মোতায়েন।দাদাবাবুদের পায়জামা খুলে পড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে ।কারণ ইসলামের ইতিহাস হচ্ছে। মুসলমানরা যখন একটা সেফ ল্যান্ড তৈরি করতে পেরেছে।তখন দুর্বার গতিতে ইসলাম বিভিন্ন ভূখন্ড জয়লাভ করেছে। রাসুলুল্লাহর (সাঃ) যুগে মদিনা দিয়ে ইসলামের জয়যাত্রা শুরু হয়েছিল। আর শেষ জামানায় হয়তো আপগান দিয়ে। আমার এমন ধারনার কারণ হচ্ছে,ছাত্র ভাইয়েরা জাতীয়তাবাদী না।রাসূলের দেখানো ইসলামের মধ্যেও ছিলনা কোন জাতীয়তাবাদ। ইসলামী রাষ্ট্রের কখনো বর্ডার হয়না, পুরো পৃথিবী এক আল্লাহর।

যদি এমনটি হয়ে থাকে তাহলে ভূখন্ড প্রশস্ত হবে।যেমনটা মদিনায় রাষ্ট্র গঠন করার পর মু জা হি দ ভাইয়েরা হিজরতের মাধ্যমে একের পর এক বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল বিভিন্ন ভূখণ্ডে।তার মানে কি দাড়ালো ছাত্র ভাইয়েরা কি হিজরত করবে? না-কি করে ফেলেছে!! সেটা বলবো না!! দাদাবাবু দের দৌড়ঝাঁপ আপনি বুঝে জাওয়ার কথা।

কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামীদের অলরেডি বিপ্লব সূচনা হয়ে গেছে।এখন সুদু দরকার মুহাম্মদ বিন কাসিমের সেই পুরনো টেকনিক গেরিলা হামলা।ইনশাআল্লাহ বিজয় অতি নিকটে।

খোলাসা করে লিখতে চেয়েছি কিন্তু লেখা হয়নি। সময় ভালো নাহ।কষ্ট করে বুঝে নিন অথবা পড়াশোনা করেন।শেষ কথা বলি!! বাংলাদেশ নিয়ে উল্টো পাল্টা ভাববেন না। ভেবে থাকলে আমার লেখা আপনার পড়ার দরকার নেই।মনে রাখবেন ভূখন্ডগত দিক থেকে কাশ্মীর এবং আফগানিস্তানের সাথে বাংলাদেশের তফাৎ আকাশ পাতাল।

তাই আসুন আবেগ মুক্ত জীবন গড়ি।

Leave a Reply