মানুষের ইবাদাত বন্দেগি কমে গেছে,হত্যা বেড়েছে মানুষের লোভ দুর্নীতি বেড়েছে সময় তাড়াতাড়ি চলে যাচ্ছে।ঈমানদারদের জন্য বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে পৃথিবী।
🖋️আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,
‘ক্রমেই যুগ ছোট সংকুচিত হবে,মানুষের(ইবাদাত-বন্দেগি) আমল কমে যাবে, মানুষের কৃপণতা ও লোভ বাড়বে,
ফিতনা ব্যাপকভাবে প্রকাশ পেতে থাকবে এবং হারজ বৃদ্ধি যাবে।
সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হারজ কী জিনিস হে আল্লাহর রাসুল (সঃ)?নবী (সা.) উত্তরে বললেন ,
হত্যাকাণ্ড, হত্যাকাণ্ড।’
(বুখারি, হাদিস নং : ৭০৬১)
প্রিয় ভাই-বোনেরা কুরআন-হাদিসের মানদন্ডে যখন আপনি বর্তমান বিশ্বকে স্ক্যানিং করবেন, গবেষণা করবেন তখন আপনি বুঝতে পারবেন গোটা বিশ্বটাই ফ্যাসাদময়।ফিতনার রমরমা অবস্থা।
শিক্ষা বলেন, চিকিৎসা বলেন, খাদ্য বলেন, রাজনীতি বলেন, অর্থনীতি বলেন এমন কোনো সেক্টর নেই যার মধ্যে ফ্যাসাদের বিষ প্রবেশ করে নাই।
হারাম, কুফর, শিরকের মধ্যে আমরা হাবুডুবু খাচ্ছি।প্রকাশ্য আমরা অপরাধ করে বেড়াচ্ছ। ধর্মীয় মূল্যবোধ ধর্মীয় জ্ঞান
দিন দিন উঠে যাচ্ছে।
সমকামিতা, পতিতাবৃত্তি, ধর্ষণ , ফ্রি মিক্সিং, ,পর্নোগ্রাফির মত মানববিধ্বংসী ধারালো অস্ত্র আজ উম্মাহর যুবকদের ক্ষত-বিক্ষত করে দিচ্ছে।
যখন আপনি এই বিষয়গুলি আইডেন্টিফাই করতে পারবেন তখন আপনি রাসূল (ﷺ) এর কথাগুলোর যথার্থতা ও গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারবেন।
যেমন – রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ঈমান ধরে রাখা হাতে জ্বলন্ত কয়লা ধরে রাখার ন্যায় কঠিন হবে। তিনি (ﷺ) আরো বলেছেন, মুমিন ব্যক্তির উত্তম সম্পদ হবে কিছু বকরি/মেষ, যেগুলি নিয়ে সে পাহাড়ে বা দূরে কোথাও পলায়ন করবে ফিতনা থেকে নিজের দ্বীন, ঈমানকে বাঁচানোর জন্য আর যারা ময়দানে ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরবে তারা ফিতনা থেকে রেহাই পাবে।
রাসূল (ﷺ) এর এই কথাগুলোর গুরুত্ব তারাই বুঝতে পারবে যারা কিনা চলমান বিশ্বের প্রতারণা, ফ্যাসাদ, শিরক ও কুফরকে চিনতে পারবে এবং সত্যি সত্যিই মনে হবে ঈমান ধরে রাখা জ্বলন্ত কয়লা হাতে ধরে রাখার ন্যায় কঠিন।