You are currently viewing কখন  সিরিজ ভূমিকম্প  শুরু হবে!!

কখন সিরিজ ভূমিকম্প শুরু হবে!!

সিরিজ ভূমিকম্প কখন শুরু হবে!!

ইন্নাল হামদা লিল্লাহ,ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসূলিল্লাহ,আম্মা বা’দ।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা আজ আমি আপনাদের সামনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে কথা বলব।আজ আমি কথা বলব সামের বিস্ময়কর কিছু ভবিষ্যৎবাণী ও সিরিস ভূমিকম্প নিয়ে।

প্রিয় ভাই-বোনেরা সাম তথা (সিরিয়া) একটি পবিত্র ভূমি।এর ইতিহাস বৃস্তিত!রাসুল করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম সামের মানুষের জন্য দোয়া করে গেছেন!! এবং করে গেছেন কিছু ভবিষ্যদ্বাণী।ইসলামের ইতিহাসে সাম একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে রেখেছে।কেয়ামতের আগ মুহূর্তে সাম কেন্দ্রিক ঘটবে কিছু বড় বড় ঘটনা।আমরা আজকে এ বিষয় গুলো নিয়ে কথা বলবো।

আবদুল্লাহ ইবনু হাওয়ালা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, হে ইবনে হাওয়ালা তুমি যখন দেখতে পাবে যে, খেলাফত পবিত্র ভূমিতে অবতরণ করেছে। ( পবিত্র ভূমি বলতে শাম বা সিরিয়া প্রধান এর বাইরে ফিলিস্তিন জর্ডান কিছু অংশকে বুজানো হয়েছে )

তখন মনে করবে যে কেয়ামত-পূর্ববর্তী ভূমিকম্প এবং ঐতিহাসিক বিপর্যয় ও বড় বড় ঘটনাবলি প্রকাশের সময় নিকটবর্তী হয়ে গেছে। আমার এ দুই হাত তোমার মাথার যত কাছাকাছি, তখন কেয়ামত তার চেয়েও নিকটবর্তী হয়ে যাবে। (মুসনাদে আহমাদ : ২২৪৮৭, আবু দাউদ : ২৫৩৫)।

খেলাফত এখন পবিত্র ভূমিতে মানে সিরিয়া তারপর ফিলিস্তিনে অবতরণ- কেয়ামত নিকটবর্তী হয়ে যাওয়া সময় এসে গেছে কতটা রাসুল (সাঃ) বলেন।
আমার এ দুই হাত তোমার মাথার যত কাছাকাছি, তখন কেয়ামত তার চেয়েও নিকটবর্তী হয়ে যাবে,
আর এই ফিতনা চূড়ান্ত বয়ে আনবে ভূমিকম্প ও ফেতনা-ফ্যাসাদ; আর শয়তানের শিং।এখানে শয়তানের সিং মানে দাজ্জাল কে বুঝানো হয়েছে।

ভূমিকম্প ও ফেতনা-ফ্যাসাদ; আর শয়তানের শিং

ইবনু উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা). বলেন, হে আল্লাহ! আমাদের শামে (সিরিয়া) ও ইয়ামেনে বরকত দান করুন। লোকেরা বলল, আমাদের নজদের। তিনি পুনরায় বললেন, হে আল্লাহ! আমাদের শাম দেশে ও ইয়ামেনে বরকত দান করুন। লোকেরা আবারও বলল, আমাদের নজদের। তখন তিনি বললেন, সেখানে তো রয়েছে ভূমিকম্প ও ফেতনা-ফ্যাসাদ; আর শয়তানের শিং সেখান থেকেই বের হবে (তার উত্থান ঘটবে)। (সহি বুখারি খারি : ১০৩৭)

হযরত সুলাইমান ইবনে হাতেব হিময়ারী (রহঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, জনৈক লোক প্রায় চল্লিশ বৎসর হতে হযরত কা’ব (রাঃ) থেকে শুনে আসছে যে, তিনি বলেন যখন ফিলিস্তিন দেশে ফিৎনা ব্যাপক আকার ধারন করবে, তখন কূপ বা কলসিতে পানি গড়িয়ে পড়ার ন্যায় শামের (সিরিয়ার) দিকে বিভিন্ন ধরনের ফিৎনা ধেয়ে আসবে। অতঃপর তাদের সামনে সবকিছু উম্মোচন হয়ে যায়, অথচ তখন তোমরা খুবই লজ্জিত ও নগন্য জাতি হবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ৬৭৫ ]

হযরত কা’ব (রহঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, প্রতিটি ফিৎনা প্রাথমিক অবস্থায় থাকবে, যতক্ষন পর্যন্ত সেটা শাম(সিরিয়ায়) দেশে প্রকাশ হবেনা। যখনই শাম(সিরিয়ায়) দেশে উক্ত ফিৎনা দেখা দিবে তখন বুঝতে হবে, সেটা চুড়ান্ত রুপ নিয়েছে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ৬৬০ ]

বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্নিত, তিনি এরশাদ করেন, প্রত্যেক ফিতনা বড়ই কঠিন। এবং সেই ফিতনাই একদিন প্রকাশ পাবে, শাম(সিরিয়া) নামক দেশটিতে। আর যখন উক্ত শামদেশে ফিতনার উদ্ভব হবে তখনই চতুর্দিকে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যাবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ৬৫৯ ]
প্রতি দেশে অরাজকটা ফিতনা ছড়িয়ে পড়ছে

Leave a Reply