You are currently viewing যে জীবন কবর মুখী।সে জীবন করে নাকো অন্যায়।

যে জীবন কবর মুখী।সে জীবন করে নাকো অন্যায়।

গতকাল কথা হচ্ছিল এক ভাইয়ের সাথে। ভাইটা একটা হসপিটাল বিজনেসের সাথে জড়িত। এসেছিলো পরামর্শ করার জন্য। আমাদের মধ্যে যে কথা গুলো হয়েছে , আমি কয়েকটি তুলে ধরার চেষ্টা করতেছি।

–সজীব –ভাইয়া একটা হসপিটালের মালিক। আমি এ যায়গা আসতে আমার অনেক চড়াই-উতরাই পার করা লাগছে। আমার বয়স এখন দাড়িয়েছে ৩৫ বছর। ৩৫ বছর বয়সে আমি সফলতার মুখ দেখছি। হসপিটাল নানান রকম রুগী আসে, গরিব, ধনী, বড়োলোক। কেউ তো নিজের সর্বোচ্চ সম্বল বাড়ি, গাড়ি বিক্রি করে দেয় চিকিৎসার জন্য। এ বিষয় তোমার পরামর্শ কি হবে আমার জন্য।

প্রিয় ভাই একজন মানুষ সর্বোচ্চ গড় আয়ু এখন ৭০ বছর বা কমবেশি। ভাই আমার, একটা কথা মনে রাখবেন। আমারা যাঁরা ইসলামি আন্দোলন করেছি।ময়দানে কাজ করার সময় আমাদের সুর ছিলো দরবেশের মতো। বিদায় নেয়ার পর এ ভাইদের চরিত্র কিভাবে যে প্রত্যাবর্তন হয়।নিজের চোখকে বিশ্বাস করা যায়না।

প্রিয় ভাই আমার!! আপনি সফলতার মুখ দেখছেন জীবনের অর্ধেক সময় পার হওয়ার পর।দরুন আপনি আর বাঁচবেন সর্বোচ্চ ৩৫ বছর। তা-ও অনিশ্চিত। আপনি আজ , কাল অথবা ১ বছর পরে ও মারা যেতে পারেন। তাহলে কি কারণে মাত্র ৩৫ বছর অথবা কম বেশি সময়ের জন্য টাকার নেশায় পাগল হয়ে যাবেন।বাড়ি,গাড়ি, সম্পদ, এগুলো কার জন্য করছেন? কাল মরে দেখুন, আপনার সন্তান, প্রিয়তম স্ত্রী, কেউ আপনার টাকায় গড়া এসি রুমে আপনাকে রাখবেনা।ঠিক কাঁধে করে আপনার লাশটা কবরে সেঁতসেঁতে যায়গা রেখে আসবে। আপনার বসবাস হবে পোকামাকড়ের সাথে।দুনিয়ায় যাদের দেখলে খাওয়া উঠে যেতো। আহ কি হবে সেদিন, যেদিন আমার মৃত্যু হবে!!

একটা জিনিস সবাই মনে রাখবেন এখন যাঁরা বৃদ্ধ!যারাঁ মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে!!এ মানুষ গুলো একদিন আমার আপনার মতো সুস্থ ছিলো। যৌবন ছিলো তার দেখার মতো, তাকে ঘিরে ছিলো অনেকের জীবন। কিন্তু নির্মম বাস্তবতা সে এখন অন্যের বোঝা হয়ে গেছে। এ জমিনে আপনার -আমার মতো অনেক সজীব,অনেক ধনী ব্যক্তি ছিলো, কিন্তু তাঁরা এখন মাটির স্তুপের ভিতরে। কেউ তাদের খোঁজ নেয় না!! জিগ্যেস করেনা ও কবর বাসি কেমন আছো?

শেষ কখা ভাই, জীবন খুব অল্পসময়ের। এমন কিছু করবেন না।যাতে আপনার মৃত্যুর সংবাদ, কাউকে আনন্দিত করবে!!!ব্যবসা করেন আল্লাহর রাসূল ব্যবসাকে হালাল করেছেন। কিন্তু এমন কিছু করবেন না। যা রহমানের বান্দা দের কষ্ট দেয়

This Post Has One Comment

  1. Farhana

    Masallah

Leave a Reply