জানি আপনি হয়তো শিরোনামটি দেখেই বুঝতে পেরেছেন আমি কি বলবো। আপনি এটিও ভাবছেন যে হ্যা কুকুরের লালা ধংস করতে একমাত্র মাটিই তা পারে। কেননা এটি আল্লাহর রাসুল সা: বলে গিয়েছেন। কিন্তু আমি আপনার বিষয়টি নিয়ে ভাবছিনা। আমি ভাবছি অন্য কিছু হ্যাঁ এটি ঠিক যে নবী আকরাম সা: এর কুকুরের ব্যাপারে যেটি বলেছেন এটি হুজুরের একটি মোজেজা। কিন্তু এই কুকুরের লালার মধ্যেই বা কি রয়েছে যে মাটিই তার ভাইরাস নষ্ট করতে পারে । আর হুজুর সা: কেনইবা মাটির কথা বলেছেন।
আসুনন না একটু গভিরে যাই।
কুকুরের লালাতে একধরনের অাঠালো ভাইরাস থাকে যেটিতে বৈজ্ঞানিক চিকিৎসা মতে বলা হয় ( functionall groups) যা কিনা অনেক প্রজাতির অনেক ভাইরাসের সাথে বন্ধন তৈরি করে যেমন ” ( HSV, HIv, ) ইত্যাদি।
এই ভাইরাসগুলি ওদের অাঠালো উপরিতল দিয়ে লেগে থাকে। এরপর এই ভাইরাসগুলি তাদের বিষ ডিম্বানু কোষ ফুটিয়ে দেয় বাচ্চার মতো । এরপর থেকে শুরু হয় ভাইরাস তৈরি হওয়ার কারখানা। আর এই ভাইরাসকে নষ্ট করার মতো কোন উপাদানই নেই। তাহলে কি এটি ধংস করার কোন পথ নেই? আসুন তাহলে বের করি এটি ধংস করার পথ্য বা সমাধান
,,হহযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুগাফফাল( রা) হতে বর্নিত রাসুল সা: বলেছেন যে তোমাদের কোন পাত্রে যদি কুকুর মুখ দেয় তাহলে তা সাতবার ধৌত করে নিবে এবং অষ্টমবার তা মাটি দ্বারা মেজে নিবে ( মুসলিম : ৫৪০ নং হাদিস।
এখন বলুন অাল্লাহর নবী মাটির কথা বলেছেন কেন?
কেননা মাটির মধ্যে এক প্রকার হিউমিক এসিড রয়েছে এই এসিডের মধ্যে এমন এক পাওয়ার বা শক্তি রয়েছে যা কুকুরের লালার এন্টিভাইরাসকে মুহুর্তেই মাটি করে ধংস করে দেয়। যা আজ হাজার বছর পর অাধুনিক বিজ্ঞান বছরের পর বছর গবেষনা করে বের করেছে। ( সুবহানাল্লাহ)
অথচ ১৪০০ বছর আগে একজন জানতেন এই রাব্যিস/জলাঙতক ভাইরাসের গোপন কথা। মাটির ভাইরাসবিরুধী ক্ষমতার কথা। তিনি নিজে মেহনত করে গবেষণা করে তা বের করেননি। বরং তাকে জানানো হয়েছিলো। কে? জানেন? যে এই ভাইরাসকে তৈরি করেছেন তিনিই
সে স্রষ্টা মহান মালিক আল্লাহ। তিনিই প্রিয় হাবিবকে জানিয়ে দিয়েছিলেন এই বিজ্ঞানময় সমাধানের কথা ।
আফসোস! অবিশ্বাসীদের কি তবুও ঈমান আসবেনা?
জ্বি ভাই , তাদের জন্য অনেক বেশি আফসোস যে তার কত বড় এক ভুল এর মধ্যে আছে ।