প্রিয় পাঠকগণ,আমাদের বর্তমান সমাজে এখন যে বিষয়গুলো আমাদের সামনে বারবার আসে। যেমন,
ধর্ষন, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং, ডিভোর্স, মিলনে অক্ষমতা, পরকীয়া, সংসারে ভাঙ্গন, অশান্তি….!!! চারিদিকে এসব বৃদ্ধির পেছনে অসংখ্য ছোট ছোট কারণ থাকলেও বর্তমানে এর মূল কারণ “পর্ণোগ্রাফি..!!!
গত শতকের যেকোন এক যুগে হওয়া মোট ধর্ষণ সংখ্যা একত্রে যোগ করলেও গত এক বছরে হওয়া মোট ধর্ষণ সংখ্যার সমান হবে না !কি বিশ্বাস হচ্ছে না তাই তো?
কিছু খবর পড়ি চলুন…।
📻কুমিল্লায় প্রথম শ্রেণী পড়ুয়া চাচাতো বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র গ্রেপ্তার !
📻১১ ও ১২ বছরের শিশু কর্তৃক চার বছরের মেয়েশিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা !
এদুটি খবর মিডিয়ার পর্যন্ত পৌছালেও এসব ঘটনার কটিই বা মিডিয়া পর্যন্ত আসে, এবার একটু চিন্তা করুন…।
📻 সাত-আট বছরের দুধের শিশুগুলো কিভাবে প্রেম-সেক্স, চোদাচুদি-প্রেগনেন্ট, মাগী-খানকি, ধর্ষণ-নিপীড়ণ এর পয়েন্টগুলো বুঝে ফেলেছে ! কিভাবে তারা এতো আগেই সেক্সুয়ালি ম্যাচিউরড হয়ে যাচ্ছে ???
উত্তর সহজ, পর্ণোগ্রাফির কল্যাণে…!!!
📻 বৈশ্বিক পর্নোর সঙ্গে প্রথম পরিচিত হওয়ার গড় বয়স এখন ১১ ! আর সর্বনিম্ন বয়স ৪-৫ !
📻 ভেবে দেখুন, এসব শিশুদের মধ্যে পর্ণের কি মারাত্মক প্রভাব পরে থাকে ! আর এবিষয়টিকে প্রকাশ্যে বুঝাও যায় না, যাতে করে অভিভাবকেরা সতর্ক হতে পারে !
📻’মোবাইলে অশ্লীল রেপ পর্ণ ভিডিও দেখে উত্তেজিত হয়ে চার বছরের নাবিলাকে ডেকে নিয়ে আসে ধর্ষণ করার জন্য, পরে মেয়েটি চিৎকার-চেঁচামেচি করে বাঁচার চেষ্টা করলে সে তাকে গলা টিপে হত্যা করে সে।’ —স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানায় কুমিল্লার শিশু নাবিলা হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি মেহরাজ !
📻 ধর্ষণ বিষয়ে মানবাধিকারকর্মী ও আইনজীবী মমিনুল ইসলাম বলেন, “নৈতিক অবক্ষয়, বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও অনলাইলে অশ্লীল ভিডিও বা পর্ণ ধর্ষন বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ।”
📻খুলনা মেডিকেল কলেজের ড. অঞ্জন রায় এর ভাষায়, “অনলাইনে পর্ণের সহজলভ্যতা বর্তমান সময়ে ধর্ষন বাড়ার সবচেয়ে বড় কারণ।”
📻 সকল পর্ণ আসক্তরা ধর্ষন করে না…। তবে সব ধর্ষক, শিশুকামী, সমকামী, পশুকামীই পর্ণের সাথে সরাসরি যুক্ত, কেননা ৯৪% ক্ষেত্রে তারা পর্ণ দ্বারা সাইকলজিক্যালি প্রভাবিত।
📻 শিশুনিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ফ্রিডা ব্রিগস বলে, “ইন্টারনেট পর্ণ শিশুদের পর্দার যৌননিপীড়কদের একদম কার্বন কপি বানিয়ে ফেলছে। পর্দায় তারা যা দেখছে, তাই বাস্তবে করার চিন্তা করছে ও এক সময় করছে তার বাস্তবায়ন।” [তার কথাতেও খুজে পাওয়া যায় বর্তমান সময়ে ধর্ষণ, যৌন অপরাধ যৌন ও আগ্রাসন বৃদ্ধির কারণ…।]
📻রেপ-পর্ণ আসক্তি নারীদের প্রতি সহিংসতায় পুরুষদের চরমমাত্রায় উৎসাহিত করে, ধর্ষন ও যৌন আগ্রাসন বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ এই কম বয়সীদের মধ্যে রেপ-পর্নের প্রসার।
📻উল্লেখ্য, ডিপ ওয়েব বা ডার্ক ওয়েব প্রয়োজন নেই, গুগলে কেবল দুটো শন্দ দিয়ে সার্চ করলেই এখন যে পরিমাণে হার্ডকোর বা রেপ-পর্নের ট্যাগে ফ্রি ধর্ষণের ভিডিও দেখা যায়, তা আমাদের চিন্তাশক্তিকেও হার মানাবে ! আস্তাগফিরুল্লাহ !
📻 অতিমাত্রায় ডিভাইস আসক্তি ও পর্ন আমাদের ব্রেনের ফ্রন্টাল লোবের মারাত্মক ক্ষতি করে, ফলে আমরা সুস্থ-স্বাভাবিক যৌনতার প্রতি আগ্রহ হারাই ও বিকৃত যৌনাচার বা প্যারাফিলিয়ায় লিপ্ত হতে থাকি, অর্থাৎ বর্তমান সময়ে পশ্চিমাদের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের উপমহাদেশে সমকামিতা, শিশুকামিতা বা পশুকামিতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ এই পর্ণ আসক্তি, বিশেষ করে ‘এনিমেল পর্ন’ বা ‘বেস্টালিটি’ আর সমকামী গে-পর্ন ! তাই এর প্রতি অভিভাবকদের কতোটা সাবধান হওয়া উচিত, আশা করি কিছুটা হলেও আঁচ পাচ্ছেন।
📻গবেষণায় জানা যায়, “পর্ন আসক্ত পুরুষদের দ্বারা নারীরা তুলনামূলক বেশি নির্যাতন ও প্রতারণার স্বীকার হয়।” এমনকি ২০১৫ সালে ৭টি দেশে ২২টি ভিন্ন ভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, “যারা অতিরিক্ত পর্নে বুদ হয়ে থাকে, তাদের কেউ কেউ যৌন নির্যাতনকে সমর্থন করে, এমনকি সুযোগ পেলে, বাদ ধরা খাওয়ার সুযোগ না থাকলে, নিজেরাও এতে অংশগ্রহণ করে থাকে।”
📻সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমে পর্ণ আসক্তি নিয়ে লেখা বেস্টসেলার একটি বইতে দাবি করা হয়, “কম বয়সী ছেলে-মেয়েদের আচরণকে রুক্ষ-মেজাজী করে তোলে পর্ণ আসক্তি। একজন পর্ণ আসক্ত যুবক, তরুণ বা কিশোরের আচরণ আগ্রাসী-মারপিটে, আক্রমনাত্মক বা উগ্র হবে না… এটাই বরঞ্চ অস্বাভাবিক। পশ্চিমে তৈরি হওয়া গ্যাং কালচার এর পিছনেও মনস্তাত্ত্বিক একটি কারণ হচ্ছে পর্ণ আসক্তরা !”
📻অর্থাৎ ছেলে-মেয়েদের আগ্রাসী আচরণ, অপরাধমূলক মাস্তানি-কার্যক্রম, উগ্র ব্যবহার থেকে শুরু করে অন্যান্য নেতিবাচক বিষয়’গুলোকে এই পর্ন আসক্তি কতোটা উস্কে দেয়, তা নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার প্রয়োজন নেই…।
ধর্ষণ বৃদ্ধির পেছনে পরোক্ষ নয়, বরং প্রত্যক্ষ একটি বিশাল কারণ এই পর্ন ! ,