You are currently viewing অদৃশ্য ইবলিশ জগত! অমীমাংসিত রহস্যের  সমাধান। পর্ব ০১

অদৃশ্য ইবলিশ জগত! অমীমাংসিত রহস্যের সমাধান। পর্ব ০১

“ফ্লাইং সোসার এবং গোপন রহস্য” নামক বইয়ের লেখক ফেবিও থেরেবা একটি রোমাঞ্চকর ঘটনা প্রকাশ করেছেন। যা তার বইয়ের বিভিন্ন আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে একটিতে উল্লেখ ছিল। রহস্যপূর্ণ রোমাঞ্চকর কাহিনীটি ছিল কার্লোস পালভিডারস নামক আমেরিকান একজন যুবককে নিয়ে; যিনি আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সে বসবাস করতেন।

একদিন যুবকটি তার ঘর থেকে বের হয়ে লেক সংলগ্ন বাগানের দিকে পায়চারী করছিল। হঠাৎ তার চোখে পড়ল বাগানের জমিনের উপর স্থাপিত কুটিরের অদুরে লেকের পানির উপর অনেকটাই মানুষের আকৃতির ন্যায় তিনটি অদ্ভুত প্রাণী (লোকে যাকে এলিয়েন বলে) চলাচল করছিল লেকের পানির কোনরূপ আন্দোলিত করা ছাড়াই।

মনে হচ্ছিল অদ্ভুত প্রাণী গুলো বাতাসের উপর ভর করে চলছে। পালভিডারস তাদের থেকে প্রায় ৮০মিটার দূরত্বে অবস্থান করছিল।তিনটি অদ্ভুত দেহের মধ্যে দুইটি ছিল ছেলে এবং একটি ছিল মেয়ে। পালভিডারস তাদেরকে ডাকতে গেলে তারা দিক পরিবর্তন করে দ্রুতগতিতে ছুটে লেকের অন্য অংশে আত্মগোপন করল। তারা প্রায় ৩০০মিটার দূরে সরে গেল।

পালভিডারস আশ্চর্য হয়ে গেল, তাদের দ্রুতগতিতে এই পথ অতিক্রমের ঘটনা দেখে! মেয়েটি ছিল প্রায় ১৬০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং তার পোশাক ছিল কালোবর্ণের এবং তার চুলগুলো ছিল তুলনামূলকভাবে অনেক লম্বা এবং কালোবর্ণের।সে যখন দ্রুতগতিতে ছুটল তখন তার পায়ের তলায় পাখির পাখনার ন্যায় একজোড়া পাখনা যুবকটির দৃষ্টিগোচর হল। ছেলে দুইটি মেয়েটির চাইতে আকারে কিছুটা খাটো ছিল। যখন তিনটি দেহ পাশাপাশি দাড়াল তখন ছেলে দুইটিকে একই উচ্চতায় মনে হল।

অদ্ভুত ছেলে দুইটি একধরনের শক্ত কাপড় পরিধান করেছিল বলে মনে হল ;যা শরীরের সাথে ঢিলেঢালাভাবে সজ্জিত ছিল । ছেলে দুইটির চুলগুলো ছিল বাদামী বর্ণের এবং সেগুলো মনে হচ্ছিল মাথার চামড়ার সাথে আঠার ন্যায় জট পাকানো।
তিনজনের গায়ের চামড়াই ছিল সাদা বর্ণের।তাদের চোখগুলো ছিল ছোট এবং কপাল ছিল চওড়া।দ্রুতগতিতে বাতাসে ভেসে ছুটে চলার সময় হাত-পাগুলো নাড়াচাড়া না করেই এমনভাবে ছুটতে পারত যেন মনে হচ্ছিল যে অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো দেহের সাথে আঁটসাঁট হয়ে লেগে আছে।

পালভিডারস নামক যুবকটি দীর্ঘক্ষণ ধরে এই বিস্ময়কর প্রাণীদেরকে দেখতে লাগল। সময়ের দিকে তার কোন খেয়াল ছিল না। হঠাৎ তার চোখে একটি বিস্ময়কর বৈদ্যুতিক যান (যাকে ufo বা ফ্লাইং সোসার নামে পাশ্চাত্যরা বলে থাকে) ধরা পড়ল। সে দেখতে পেল অত্যন্ত উজ্জ্বল আলোর একটি ফ্লাইং সোসার যার দৈর্ঘ্যে প্রায় ৬মিটার, প্রস্থে প্রায় ৫মিটার এবং উচ্চতায় ২-৩মিটার মাটিতে অবতরণ করেছে।

এটি প্রায় ৪০ মিটার ব্যাসার্ধের সীমা পর্যন্ত উজ্জ্বল বিশেষ ধরণের এক আলোর বিচ্ছুরণ ঘটাচ্ছিল যেন মনে হচ্ছিল সিনেমার থিয়েটারের প্রজেক্টর থেকে আলোকরশ্মির আভা চারদিকে আপতিত হচ্ছে।উজ্জ্বল আলোকরশ্মি যুবকটির মুখমণ্ডলে ঠিকরে পড়ছিল এবং তার দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাচ্ছিল। ফলশ্রুতিতে সে তার চোখে সাময়িক অন্ধত্ব অনুভূত করছিল। ফ্লাইং সোসার যানটির আলোকচ্ছটা তাকে রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য সেটির কাছে ঘেঁষতে নিরুৎসাহিত করছিল । সে উপয়ান্তর না দেখে লেকের পানিতে ঝাঁপ দিল।

পালভিডারস চেষ্টা করল লেকের পানি দিয়ে সাঁতরিয়ে বিস্ময়কর প্রাণীদের নিকটে যেতে ।মানুষের আকৃতিতে অদ্ভুত প্রাণী তিনটি যুবকটির অবস্থান থেকে প্রায় ১৫০মিটার দূরত্বে অবস্থান করছিল। কিন্তু সে সাঁতরিয়ে তাদেরকে ধরতে পারল না বরং তার সামনে একটি অদৃশ্য দেওয়ালের বাঁধা অনুভূত হল যা তার সামনে অগ্রসর হওয়ার সমগ্র প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিচ্ছিল।

বারবার চেষ্টার পরেও অদৃশ্য বাঁধাটি তাকে পিছনের দিকে ঠেলে দিচ্ছিল।পালভিডারস দূর থেকে দেখল যে, অদ্ভুত প্রাণী তিনটি ফ্লাইং সোসার থেকে প্রায় ৩০-৪০মিটার দূরত্ব বজায় রেখে চলছিল। মেয়েটিকে মনে হচ্ছিল তাদের নেতা যে সবসময় অপর দুইজনের সামনে চলছিল।

পালভিডারস দেখল যে, এক সময় সেই মেয়েটি ফ্লাইং সোসারের দিকে ইশারা করে অপর দুইজনকে কিছু বলল। তখন ছেলে দুইজনের একজন ফ্লাইং সোসারটিতে ঢুকে সেটিকে প্রায় ৩০মিটার দূরত্বে সরিয়ে নিল। প্রাণী তিনটি কথা বলার সময় নিজেদের সাথে এমন এক অপরিচিত ভাষায় কথা বলছিল যার সাথে সাধারণ রেডিওর তরঙ্গদৈঘ্যের সাথে কোন মিল যুবকটি খুঁজে পেল না।

তাদের কণ্ঠস্বরগুলো ছিল স্পষ্ট যদিও তখনকার আবহাওয়াতে তেমন কোন বায়ুপ্রবাহ অনুভূত হচ্ছিল না পালভিডারসের কাছে ।যুবকটি দেখল যে, প্রাণী তিনটি নিজেদেরকে অন্য আকারে পরিবর্তন করছে যা তার নিকট স্পষ্টভাবে দৃষ্টিগোচর হল না। তারপর ঐ অদ্ভুত প্রাণী তিনটি ফ্লাইং সোসারে করে দ্রুত চলে গেল এবং মাটির উপর তিনটি লাইন দৃশ্যমান হল। যুবকটি দেখল যে,লেকের পাড়ে তার খামারের শূকরগুলো ভয়ানকভাবে চেঁচামেচি করছে।

আর বৈদ্যুতিক যান তথা ফ্লাইং সোসার্সটি মাটিতে ধাক্কা দিয়ে উপরের দিকে এমন দ্রুতগতিতে ছুটল যার গতিটি অনুমান করা তার বুঝার সাধ্য হল না। এরপর যুবকটি লেকের পানি থেকে তীরে উঠে এসে পড়ল এবং সে এমন এক সুগন্ধি অনুভব করল যার ফলে সে কিছুক্ষণের জন্য নিস্তেজ হয়ে ঘুমিয়ে পড়ল।

চলবে ””

Leave a Reply