You are currently viewing শয়তানদের গোপন রহস্যভেদ —চতুর্থ ও শেষ পর্ব

শয়তানদের গোপন রহস্যভেদ —চতুর্থ ও শেষ পর্ব

প্রকৃতপক্ষে বারমুডা ট্রাইএঙ্গেলের ঘটনাগুলো দীর্ঘ দিন ধরে হচ্ছে।জেলেরা ভীত হয়ে পড়ে যখন তারা বারমুডা ট্রাইএঙ্গেল এলাকাটিতে প্রবেশ করে। সবচেয়ে ভয়ের বিষয়টি হল যে, যখনই কেউ এই এলাকাটিতে অনুমতি ছাড়া গবেষণা করতে প্রবেশ করার সাহস করত, তখনই সে ধরাশায়ী হত।

ইসা দাউদ – এই অনুমতিটি কি অর্জিত হত ধূপ জ্বালিয়ে?
জীন- হুম মাঝেমাঝে এভাবেই করে।
ইসা দাউদ – (আশ্বার্যন্বিত হয়ে) কিভাবে?
জীন- কেউ কেউ ইবলিশী জীনদের সাথে ক্রয় – বিক্রয় করে এবং বলে, “আমরা সকল ধরণের বিপদ থেকে রক্ষা পেতে এই এলাকার (বারমুডার ট্রাইএঙ্গেল) রাজ্যত্ববিস্তারকারী শাসকের কাছে আশ্রয় গ্রহণ করব।”
যেমনটি অন্ধকারাচ্ছন্ন জাহিলায়তের যুগে মানুষ নির্জন মরুভুমি বা যেখানে মানুষ বসবাস করে না এমন অঞ্চলগুলো অতিক্রমকালে সেখানে অবস্থানকারী ইবলিশী জীনদের সাহায্য নিত।

উক্ত এলাকা অতিক্রমকালে জাহাজ ও বিমানগুলোতে শয়তানদের সাথে চুক্তিবদ্ধ জাদুকরকেও সংগে বহন করে নেয় । নতুবা যাত্রীসহ জাহাজ ও বিমানগুলো উক্ত এলাকা অতিক্রমকালে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। অনেকসময় শুধু যাত্রীদেরকে হাইজ্যাক করে যাতে শয়তানের রাজ্যে বিভিন্ন বস্তুসামগ্রীর (শয়তানী প্রযুক্তি ) গবেষণায় ব্যবহার করা যায়। অথবা ইবলিশী জীনদের বলির শিকার হয় বা উৎসর্গীকৃত হয় কেননা ইবলিশ একজন মানুষের মৃত্যু দেখে খুবই খুশি হয় যখন সেই ব্যক্তিটি রাসুল্লাহ সাঃ এর আনিত দ্বীন ইসলাম প্রত্যাখান করে কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে।দিনের শুরুতে ইবলিশের জন্য তাদেরকে আত্মোৎসর্গকৃত করা হয়।

ইসা দাউদ – কিন্তু কেন সেইখানে অতিক্রমকারী সকল ধরণের জাহাজ ও বিমানগুলোকে আটক বা গুম করে। আমাকে বুঝিয়ে বলবে না কি?

জীন-জাহাজ এবং প্লেনগুলোকে সমুদ্রের বিশেষ জায়গায় রাখা হয়।বিশেষ আলোকরশ্মি দ্বারা এগুলোকে অদৃশ্য করে ফেলা হয় অথবা হাজার হাজার শয়তান জীনদের দ্বারা ঘেরাও করে ফেলা হয়।
যা প্রকৃতপক্ষে জাদু যা নিয়ে আসবে ইবলিশের সৈন্যরা তোমার সম্মুখে নিক্ষেপ করার মাধ্যমে (চোখে ধূলা দেয়) এবং তারা চলে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তোমার তা (প্রকৃত বিষয়টি ) দৃষ্টিগোচর হবে না।

ইসা দাউদ- আমি জানি তুমি আমাকে এর চাইতে বেশি বলতে চাচ্ছ না।
জীন- আমি এর চাইতে বেশি বলতে পারব না।
ইসা দাউদ – নতুবা আমি যা জানি তা তোমাকে বলব না। কিন্তু আমি ফান্ডে ১০হাজার ডলারেও বেশি খরচ করে এই রহস্যটি বিশ্বময় ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করি।
জীন- সেটি কি (আগ্রহের সাথে)?
ইসা দাউদ – আমি কিছু জানি এবং তুমি কিছু জান। একসময় আমরা সবকিছু বিশ্ববাসীর নিকট প্রকাশ করব।
তুমি ঐসকল লোকদের (অমুসলিম গবেষকদের) ধারণা সম্পর্কে কী মনে কর যারা বলে যে, “সমুদ্রে উপস্থিত জ্যোতিময় বা আলোকময় জাহাজগুলোর অধিকারীরা উক্ত এলাকাতে (বারমুডা ট্রাইএঙ্গেলে) বিচরণরত জাহাজ হাইজ্যাক করে থাকে ।”

জীন – তুমি কি বুঝাতে চাচ্ছ?

ইসা দাউদ – তারা বলে সেখানে অতিবুদ্ধিসম্পন্ন ভিনগ্রহী প্রাণী তথা এলিয়েন আছে। তারা এই ধরণের ক্ষতিকারক অদ্ভুত কর্মকান্ড ঘটায়। তাদের জ্ঞানে বারমুডা ট্রাইএঙ্গেল অন্যান্য গ্রহ থেকে আসা ভীনগ্রহী প্রাণী তথা এলিয়েনদের জন্য একটি গবেষণা কেন্দ্র। সেখানে কী হতে পারে বলে তুমি মনে কর?

জীন- তারা যা বলছে তা সঠিক নয়। আমি ১০০বারেরও বেশি সময় মহাশূন্যে বিভিন্ন অংশে ভ্রমণ করেছি কিন্তু কোন ভীনগ্রহী প্রাণী (এলিয়েন) এর সন্ধান পাই নি।বরঞ্চ বারমুডার ট্রাইএঙ্গেলের গোপন রহস্যের কিছু অংশ তোমাকে বলেছি।
ইসা দাউদ – তার মানে যতটুকু তুমি বলেছ তার চাইতেও তোমার কাছে আরও তথ্য আছে। ঠিক বলেছি কি?
জীন- অবশ্যই! কিন্তু এটা একটি গোপনীয় বিষয়।
ইসা দাউদ – আমরা এর জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর আমার জন্যও তা গোপনীয় হবে। চল আমরা আল্লাহর নামে বন্ধুত্বের চুক্তি করি।

জীন- আমি মহান আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমি তোমাকে আল্লাহর মানোনীত ধর্ম (ইসলাম) এর ভিত্তিতে ভালোবাসি। আমি কোন মানুষের বাসায় ততটুকু সময় থাকি না যতটুকু তোমার বাসায় অবস্থান করি (দ্বীন চর্চা ও সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য)।
ইসা দাউদ – যতদিন আল্লাহর পথে আছ ততদিন আমিও তোমাকে ভালোবাসি।

(আল্লাহ হাফেজ। ১৮০ পৃষ্ঠার দলিল ভিত্তিক ইন্দোনেশীয়ান ভাষায় লেখা বইটির মধ্য থেকে চুম্বাকংশ তুলে ধার হল।

Leave a Reply