You are currently viewing আদিপের মিশন পর্বঃ৪

আদিপের মিশন পর্বঃ৪

রাতে নামাজ পড়ে আদিপ বাসায় এসে, দেখে ফাতেমা খুব মনোযোগ দিয়ে তার ডাইরিটা পড়তেছে। আর মিট মিট করে হাঁসতেছে। চোখে মুখে খুশির আমেজ।

আদিপঃআমার ফাতেমা?
ফাতেমাঃচমকে গিয়ে আদিপের দিকে তাকায়,সুন্দর এক হাঁসি দিয়ে এই শুনুন এভাবে ডাকবেন না!আমার বুকে লাগে!
আদিপঃকই লাগে?
ফাতেমাঃ আপনি বুঝবেন না!
আদিপঃনা বুঝবো বলেন?
ফাতেমাঃআমি পারবোনা বলতে!আপনি বুঝে নেন।
আদিপঃনা বলেন বলছি?
ফাতেমাঃআচ্ছা ঠিক আছে, ঠিক আছে।কাছে আসুন শুনুন এভাবে বললে আমি যে আপনার প্রেমে পড়ে যাবো নিজকে স্থির রাখতে পারবো না।কাচুমাচু করে আদিপের বুকে লুকিয়ে যায়।

আদিপঃফাতেমার সরল কথা গুলো আদিপের খুব ভালো লাগে।আদিপ ফাতেমাকে শক্ত করে জড়িয়ে দরে বলে তাহলে তো প্রতিদিন বলতে হবে😚!

ফাতেমাঃআচ্ছা শুনেন আমি তো কখনো মেসওয়াক ব্যবহার করিনি..?

আদিপঃ আগে কখনো করেন নাই ঠিক আছে, আজ থেকে করবেন.. উম্মতের কষ্ট হবে দেখি নবীজি এটা বাধ্যতামূলক করেন নাই.. না হলে তো এটা ওযুর সময় করা বাধ্যতামূলক করে দিতেন.এখন থেকে শুরু করবেন ইনশাআল্লাহ।

ফাতেমা ঃ আজ থেকে শুরু করবো,ইনশাআল্লাহ।

আদিপঃ আর শুনুন তাকে একটি কোরআন টি রাখবেন।নিয়মিত পড়বেন কেমন!

ফাতেমাঃধন্যবাদ।
আদিপঃধন্যবাদ না বলে জাযাকাল্লাহ বলতে পারেন।কেমন?

ফাতেমাঃজাযাকাল্লাহ ❤️আপনি অনেক ভালো।
আদিপঃইয়াওয়্যাকি, আপনিও অনেক লক্ষি।

আদিপ: এই যে শুনুন না? আপনার অধিকার (মোহরানা) তো আদায় করলাম . এবার কি আমার অধিকারটুকু আমায় করতে দিবেন…??

ফাতেমা : কয়েক দিনের জন্য এই অধিকার থেকে বিরত থাকা যায় না.. (লজ্জা লজ্জা মুখে মাথা নিচু করে)

আদিপ ব্যাপারটা বুঝে ফেললো ফাতেমা এখন হায়েজরত অবস্থায়.

আদিপঃঠিক আছে, সমস্যা নেই মনি!

ফাতেমাঃরাগ করছেন?

আদিপঃ কেন রাগ করবো?

ফাতেমা:আপনি প্রথম আমার কাছে কিছু চাইলেন দিতে পারিনি।

আদিপ: শুনুন আমি আপনাকে মোহরানা দিয়ে বিয়ে করেছি. কোন নিষিদ্ধ পল্লী থেকে ১ রাতের জন্য ভাড়া করে আনি নাই যে.. আজকেই সব আদায় করে নিতে হবে… আমি আপনাকে বিয়ে করেছি ক্ষনস্থায়ী ও চিরস্থায়ী জিন্দিগিতে এক সাথে থাকার জন্য অন্য কিছুনা। এইগুলো শরীয়তের বিধান, এই সময় তো শরীয়াতে সহবাস করতে নিষেধ আছে.তাহলে কষ্ট পাবো কেন।

আদিপের প্রত্যেক কথা আচরণ ফাতেমা কে অবাক করে.ছেলেটি কত ভালো.. রিমা তার বান্ধুবিদের কাছ থেকে শুনেছে বাসর রাত্রে ছেলেরা নাকি তার জৈবিক চাহিদা মিটাতে ব্যস্তথাকে। মেয়েরা মানুষিক ভাবে প্রস্তুত কিনা বা শারিরিক ভাবে সুস্থ কিনা এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা করে না.. ছেলেদের মনে হয় উনি যেন বিয়ে করেন নাই.. একটি মেয়েকে কিনে আনছে ব্যাস… উনি উনার চাহিদা মিটাতে ব্যস্ত… কিন্তু আদিপ তার পুরাপুরি বিপরীত, মাওলার দরবারে শোকর আদায় করে রিমা. তারপর ফ্রেস হয়ে খালিদের কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ে..

চলবে ইনশাআল্লাহ………….

শিক্ষা :

**হিংস্র প্রাণীর মত স্ত্রীর উপর আপনার পুরুষত্ব না দেখিয়ে উনার শারিরিক মানষিক অবস্থা বুঝার চেষ্টা করুন।

**স্ত্রী হায়েজরত অবস্থায় স্ত্রী সহবাস শরীয়তে নিষিদ্ধ

**নিয়মিত মেসোয়াক করা সুন্নাহ।

Leave a Reply