You are currently viewing পৃথিবীর সর্বত্র জেগে উঠেছে ঈমানের নূর। সাইদুল ইসলাম সজিব

পৃথিবীর সর্বত্র জেগে উঠেছে ঈমানের নূর। সাইদুল ইসলাম সজিব

সময় সম্ভবত ঘনিয়ে এসেছে।লক্ষ্য করে দেখুন পৃথিবীর প্রতিটি কোনায় যেন আগুন জ্বলতেছে। এ আগুন জেগে উঠার, জালেমের জুলুমের থামাতে ঈমানের নুরের প্রজ্জ্বলিত আগুন। হকপন্থীরা এখন প্রকাশ পেয়েছে।

সম্ভবত গাজার পাশাপাশি কাশ্মীরের জন্য ও আমাদের জোরালো দোয়া করার সময় এসেছে।শেষ শতাব্দীর গুরুত্বপূর্ণ দুটি স্থান। আল্লাহর হাবিব সা : এর গুরুত্বপূর্ণ দুটি ভবিষ্যৎ বাণী এ জায়গাগুলো থেকেই বাস্তবায়ন হবে। আপনারা সবাই জানেন। আমরা খেলাফত থেকে বঞ্চিত। কিন্তু আল্লাহর দয়াতে কিছু ভূখণ্ডে শরিয়াহ কায়েম আছে আলহামদুলিল্লাহ। আর এ জন্যই আমরা খেলাফতের স্বপ্ন দেখি।আর তাও বাস্তবায়ন হবে শীঘ্রই। আর এই শেষ খেলাফতের রাজধানী হবে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড। হিন্দুস্তানের শাসকদের মুসলমানরা বন্দী করে জেরুজালেম নিয়ে যাবে। যার কাছে নিয়ে যাবেন তিনি হচ্ছেন ইমামুল মাহদি।

আমি বলতে চাচ্ছি। হিন্দুস্তানে যে যুদ্ধের কথা,অর্থাৎ আল্লাহর রাসূল যে যুদ্ধ কে গাজোয়াতুল হিন্দ বলে উল্লেখ করেছেন। তার সূচনা কিন্তু কাশ্মীরি থেকে হবে।আর কাস্মীর কিন্তু তার সঠিক মালিকানায় ফিরে যাচ্ছে। প্রতিদিন নীরবে মার খেয়ে যাচ্ছে দখলদার জালেমরা । এ বিষয় আমাদের হয়তো খবর নেই।কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানদের এই ভূখণ্ডের প্রতি খেয়াল রাখা উচিত। কেন না এ ভূখণ্ড থেকে যে আগুন প্রজ্বলিত হবে তার সমগ্র ভূখন্ডে ছড়িয়ে পড়বে। মুক্তকামীরা সেখানে ভালো প্রতিরোধ চালাচ্ছে। এত নিরাপত্তার মধ্যেও এমন সংবাদ গুলো নিশ্চয়ই আল্লাহর গায়েবী সাহায্য। যে সাহায্য এসেছিল বদরেরর প্রান্তরে।

 

কাশ্মীরে বড় ধরনের সংঘাত লাগার অপেক্ষায়। প্রতিদিন নিহত হচ্ছে সেখানে ভারতীয় সেনা।তাহলে এখন গাজওয়াতুল্লা হিন্দ কি কেউ ও ঘোষণা দিয়ে শুরু করবে? চিন্তা করার আছে অনেক কিছু। এমন চিন্তা তো বৈরজ্ঞবাদী চিন্তা। যার যে যোগ্যতা তা দিয়ে লড়াই করা উচিত। যোগ্যতার বাহিরে কিছুই করাই উচিত নয়।কিন্তু চিন্তাশীল হওয়া যায়। জ্ঞান অর্জন করা যায়।

সাওবান (রা.) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের দুটি দল এমন আছে, আল্লাহ যাদেরকে জাহান্নাম থেকে নিরাপদ করে দিয়েছেন। একটি হল তারা, যারা গাজওয়াতুল হিন্দ (হিন্দুস্তানের যুদ্ধ) করবে, আরেক দল তারা যারা ঈসা ইবনে মারিয়ামের সঙ্গী হবে। (সুনানে নাসায়ী, খ- ৬, পৃষ্ঠা ৪২)

আল্লাহু আকবার।

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, “আমি যদি সেই গাযওয়া পেতাম, তাহলে আমার সকল নতুন ও পুরাতন সামগ্রী বিক্রি করে দিতাম এবং এতে অংশগ্রহণ করতাম । যখন আল্লাহ আমাদের সফলতা দান করতেন এবং আমরা ফিরতাম, তখন আমি একজন মুক্ত আবু হুরায়রা হতাম; যে কিনা সিরিয়ায় হযরত ঈসা (আ.) কে পাবার গর্ব নিয়ে ফিরত। ও মুহাম্মাদ (সা.)! সেটা আমার গভীর ইচ্ছা যে আমি ঈসা (আ.) এর এত নিকটবর্তী হতে পারতাম, আমি তাকে বলতে পারতাম যে আমি মুহাম্মাদ (সা.) এর একজন সাহাবী”। বর্ণনাকারী বলেন যে হযরত মুহাম্মাদ (সা.) মুচকি হাসলেন এবং বললেনঃ ‘খুব কঠিন, খুব কঠিন’। (আল ফিতান, খ- ১, পৃষ্ঠা ৪০৯)

লা গালিবে ইল্লাল্লাহু।

সাইদুল ইসলাম সজীব
২৬/১২/২০২৩

Leave a Reply