You are currently viewing বারমুডা ট্রাইংগেল সম্বন্ধে বেসিক ধারণ।

বারমুডা ট্রাইংগেল সম্বন্ধে বেসিক ধারণ।

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল যা শয়তানের ত্রিভূজ নামেও পরিচিত, আটলান্টিক মহাসাগরের একটি বিশেষ অঞ্চল, যেখান বেশ কিছু জাহাজ ও উড়োজাহাজ রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হওয়ায় কথা বলা হয়।

লিখিত বর্ণনায় যে সাধারণ অঞ্চলের ছবি ফুটে ওঠে তাতে রয়েছে ফ্লোরিডার আটলান্টিক উপকূল, পুয়ের্তো রিকো, মধ্য আটলান্টিকে বারমুডার দ্বীপপূঞ্জ এবং বাহামা ও ফ্লোরিডা স্ট্রেইটস এর দক্ষিণ সীমানা যেখান ঘটেছে অধিকাংশ দূর্ঘটনা।

বারমুডা ট্রাইএঙ্গেল সম্পর্কে ইসলামী দৃষ্টিতে দুটি ধারণা প্রচলিত আছে।
১। এখানে মসিহ-উদ-দজ্জ্বাল এর বাসস্থান,
২। এটি খারাপ জ্বীনেদের বাসস্থান।
৩/ শয়তানের অবস্থান

১/ পৃথিবীর অনাবিষ্কৃত স্থানসমূহের মধ্যে বারমুডা ট্রাইএঙ্গেল একটি। দাজ্জ্বালের সম্পর্কে হযরত তামিম দারির যে ঘটনাটি রয়েছে সেটার সাথে আমরা বারমুডা ট্রাইএঙ্গেল কে তুলনা করেন তিনি সমূদ্রে হারিয়ে গিয়েছিলেন এবং একটি অচেনা দ্বিপে এসে পৌঁছেছিলেন, হতে পারে বারমুডা ট্রাইএঙ্গেল-ই সে দ্বীপ।

যদিয়ও আরব থেকে অনেক দূরে এটি অবস্থিত ।

২/ আবার বারমুডা হয়তো কোনো খারাপ জ্বীনেদের বাসস্থান যারা শয়তানকে মেনে চলে, এজন্য সেখানে কোনো জাহাজ বা প্লেন প্রবেশ করলে তার চিহ্নটুকুও থাকেনা।
বিজ্ঞান এ বিষয়ে মিথেন বুদবুদ (Methane Bubbles) এর যে থিওরি দিয়েছে তা যদি সত্যি হতো তাহলে আর যাই হোক উড়ন্ত প্লেন আর জাহাজ এভাবে উধাও হয়ে যাওয়া অসম্ভব, তাই এ থিওরি মানা কষ্টকর।
তবে যাই হোক এটা আল্লাহর একটা রহস্যময় সৃষ্টি, আমরা শুধু ধারণাই করতে পারি, কিন্তু কেউই নিশ্চিত বলতে পারবোনা যে বারমুডা ট্রাইএঙ্গেল আসলে কি? কে আছে সেখানে

৩/ মেশকাতের ৭১ নাম্বার হাদিস উল্লেখ রয়েছে, নিশ্চয় শয়তানের অবস্থান হল সমুদ্রের মাঝে । (মুসলিম / মেশকাত )
এই হাদিস অনুজায়ি বলা জেতে পারে শয়তানের অবস্থান হল সমুদ্রের মাঝে। এখান থেকে শয়তানি বুদ্ধি দিয়ে থাকে। মানে আমেরিকা / শয়তান্দের আস্তানা।

ধারনা করা হচ্ছে এখান থেকে দাজ্জাল / শয়তান সমুদ্র কে আমেরিকা মুল রহস্য আরাল করে রাখছে। গভিরতা / স্রোত , বলয় এই সব কারনে এই খানে কোন জাহাজ বা প্লেন গেলে হারিয়ে যায় এমন ধারন জনগণের ভিতর এয়া হয়েছে । কিন্তু আসল রহসশ ধারনা করা হয়, এখান থেকে দাজ্জালি পরিকল্পনা করে আমেরিকাকাএ দেয়া হয় সেখান থেকে নানা কুট কওশৌল মাধ্যমে পৃথিবীর নানা প্রান্ত নিয়ন্ত্রন করা হয়। কারন এই জায়গাটি আমেরিকা থেকে খুব বেশি দূরে নয় ।

আমেরিকা যে দজ্জালি ফিতনা বাস্তবায়ন করছে সকলের কাছে পরিস্কার । দাজ্জাল /শয়তান শক্তি এখানে কাজ করছে

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল যা শয়তানের ত্রিভূজ নামেও পরিচিত, আটলান্টিক মহাসাগরের একটি বিশেষ অঞ্চল, যেখান বেশ কিছু জাহাজ ও উড়োজাহাজ রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হওয়ায় কথা বলা হয়।

নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা

১৯৪৫ সালের ডিসেম্বর মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫টি যুদ্ধ বিমান প্রশিক্ষণ নেবার জন্য উড্ডয়ন করে। কিছুক্ষণ পরেই তারা সেই ভয়ংকর বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের কাছে চলে যায় এবং কেন্দ্রে ম্যাসেজ দেয় যে তারা সামনে আর কিছুই দেখতে পারছে না, যতদূর চোখ যাচ্ছে শুধুই কুয়াশা। অদৃশ্য হবার শেষ মুহূর্তে তাদের শেষ কথা ছিল “আমাদের বাঁচাও, উদ্ধার কর এখান থেকে

বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের আরেকটি বিখ্যাত ঘটনা হলো ১৯৪৫ সালের ৫ ডিসেম্বর অন্তর্ধান হওয়া ফ্লাইট নাইনটিন। US নেভির ফ্লাইট ১৯, ৫টি টিভিএম আভেঞ্জার টর্পেডো বোমারু বিমানের একটি, যেটি প্রশিক্ষণ চলাকালে ১৯৪৫ সালের ৫ ডিসেম্বর আটলান্টিক মহাগারে নিখোঁজ হয়। বিমানবাহিনীর ফ্লাইট পরিকল্পনা ছিল ফোর্ট লডারদেল থেকে ১৪৫ মাইল পূর্বে এবং ৭৩ মাইল উত্তরে গিয়ে, ১৪০ মাইল ফিরে এসে প্রশিক্ষণ শেষ করা। বিমানটি আর ফিরে আসেনি। বিমানটি অনুসন্ধান এবং উদ্ধারের জন্য পাঠানো বিমানের মধ্যে একটি বিমান পিবিএম ম্যারিনার ১৩ জন ক্রুসহ নিখোঁজ

আরেকটি নিখোঁজ হওয়া বিমান হল ডগলাস ডি সি-৩(Douglas DC-3) । ১৯৪৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর একটি ডগলাস ডিসি – ৩ (ফ্লাইট নাম্বার NC16002) পুয়ের্তো রিকো থেকে মিয়ামি যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। বিমান থাকা ৩২ জনসহ বিমানটির কোন হদিস পাওয়া যায়নি। কাহিনী এখানেই শেষ নয়, ১৯৪৯ সালের ১৭ জানুয়ারী স্টার এরিয়েল নামের একটি বিমান লন্ডন থেকে জ্যামাইকা যাচ্ছিল। সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে এটি বারমুডার আকাশে উড়ল।তখন আবহাওয়া ছিল স্বাভাবিক ও সুন্দর। আর সমুদ্র ছিল শান্ত। ওড়ার ৫৫ মিনিট পর বিমানটি অদৃশ্য হয়ে গেল। এ নিয়ে অনেক অনুসন্ধান হলো । কিন্তু সমুদ্রের কোথাও বিমানটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া গেল না

Leave a Reply