You are currently viewing বিয়ে নিয়ে  আপনার স্বপ্ন ও আল্লাহর প্রদত্ত পরিকল্পনা!!

বিয়ে নিয়ে আপনার স্বপ্ন ও আল্লাহর প্রদত্ত পরিকল্পনা!!

বিয়ে না হওয়া নিয়ে ডিপ্রেশন একটা কমন সমস্যা। আশেপাশে প্রচুর বোনদের দেখি দুশ্চিন্তায় আছে, ‘কেন বিয়ে হচ্ছে না’।

বয়স বেশি হয়ে গিয়েছে, গায়ের রঙ, বাবা-মায়ের চয়েজের ভীড়, দুনিয়াবি পথে চলতে চলতে হঠাৎ হিদায়াত পাওয়া যার ফলে তার মন মানসিকতা চেঞ্জ হলেও পরিবারের তো আর চেঞ্জ হয় না, সেটা নিয়ে যুদ্ধ। আবার দেখা যায় সব ঠিক থাকলেও এই প্রযুক্তির যুগেও হাতের নাগালে অনেক ম্যাট্রিমনির ভীড়েও দ্বীনদার পাত্র না পাওয়া। সব মিলিয়ে দেখা যায় অনেক বোনেরা বিয়ে নিয়ে দারুণ হতাশায় ভোগে।
ওয়েট!!
আচ্ছা বোনেরা আমার, আমরা কি দুনিয়াতে শুধু বিয়ে করতে আসছি?
হ্যাঁ অবশ্যই বিয়ে দ্বীনের অর্ধেক। কারো কারো জন্য বিয়ে আবার ফরজও হয়ে গিয়েছে।

কিন্তু বিয়ে হচ্ছে না বলে দুশ্চিন্তায় থাকলে কি তাড়াতাড়ি বিয়ে হয়ে যাবে?

দুশ্চিন্তা, হতাশা ইত্যাদি এগুলো শয়তানের ফাঁদ। সময় অপচয় ছাড়া কিছুই না। শয়তান তো চাইবেই আল্লাহর মু’মিন বান্দাদের ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাইতে। আল্লাহ তা’য়ালা বলেন —

“শয়তান তার বন্ধুদের দিয়ে তোমাদের ভয় দেখায়, তোমরা তাদেরকে দেখে ভয় করো না, আমাকে ভয় কর যদি তোমরা মুমিন হও।
(সূরা ইমরানঃ ১৭৫)

এরপরও কি আমরা শয়তানকে জিতিয়ে দিবো?

“যে আল্লাহ তা’য়ালার উপর ভরসা করে, তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট”। (সূরা আত-তালাকঃ ০৩)

কত ভরসার একটা আয়াত। যার অভিভাবক আল্লাহ তার আবার এত দুশ্চিন্তা, হতাশার কি আছে!
তাকদীর তো লিখা হয়েই গিয়েছে আপনি দুনিয়াতে আসার বহু আগেই। আল্লাহ বলেছে দুনিয়া পরীক্ষাকেন্দ্র। আল্লাহ তা’য়ালা কাউকে তাড়াতাড়ি দিয়ে পরীক্ষা করে, কাউকে দেরিতে দিয়ে আর কাউকে না দিয়ে। হয়তোবা আল্লাহ আপনাকে পরীক্ষা করছে, সবরের পরীক্ষা।
আপনি কি জান্নাত লাভের আশায় একটু সবর করতে পারবেন না, বোন?

আল্লাহ আপনার বিয়ে বিলম্ব করছে, এর মধ্যেও অনেক নিয়ামত আছে। আপনি একটু নিজেকে নিয়ে ভেবে দেখুন বোন। হয়তো আপনি এর পরে ব্যস্ত হয়ে যেতে পারেন তাই আপনি এই অবসর সময় গুলো শয়তানকে না দিয়ে একটু ধৈর্য্য ধরে, আল্লাহ তা’য়ালা উপর ভরসা করে সবর করুন বোন। কারণ আল্লাহ তো বলেছেনই আল্লাহ সবরকারীদের সঙ্গে আছেন।
তাহলে চিন্তা কিসের?

আর সবরের ফল? এই যে দেখুন আপনার রব আপনাকে কি বলছে –
“আল্লাহ তোমায় এত দেবে যে তুমি খুশি হয়ে যাবে।”
(সূরা দোহাঃ ০৫)

সময়কে কাজে লাগান বোন। হতাশায় থেকে শয়তানকে জিতিয়ে দিবেন না। সেদিন একটা বই পড়তে পড়তে একটা চমৎকার দু’আ চোখে পড়লো –
“হে আল্লাহ, নিশ্চয় আমি আপনার কাছে দুশ্চিন্তা, পেরেশানি, অক্ষমতা, কার্পণ্য, ভীরুতা, ঋণের ভার এবং মানুষের প্রভাব বিস্তার থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।” (সহিহ্ বুখারী ২৮৯৩)

প্রচুর দু’আ আর ইস্তিগফার করুন বোন। উঠতে, বসতে, শুতে ইস্তিগফার করুন।
দু’আ কবুলের মহূর্ত গুলো খুঁজে খুঁজে দু’আ করুন, আপনার কেমন জীবনসঙ্গী চাই একদম সেভাবেই বলুন যে আমার এমন এমন চাই, এমন এমন চাই না ইত্যাদি। চাওয়ার মত করে চাইলে আপনার রব কিভাবে আপনার দু’আ গুলো ফিরিয়ে দিবে বোন?
আপনার রব তো বড়ই দয়ালু।
আল্লাহু আকবার।

Leave a Reply