You are currently viewing তালেবানের সাথে চীনের বৈঠক ও একটি পর্যালোচনা।

তালেবানের সাথে চীনের বৈঠক ও একটি পর্যালোচনা।

চীনের নির্যাতিত উইগর মুসলমানদের দেশ ইস্ট তুর্কিস্তান (বর্তমানে শিনজিয়াং প্রদেশ) এর সাথে আফগানিস্তানের ৭৬ কিলোমিটার লম্বা সীমান্ত আছে। এই অঞ্চল খুবই দূর্গম।

আমেরিকা যখন আফগান সরকারকে বাদ দিয়ে কাতারের দোহায় শুধুমাত্র আফগান ছাত্রদলের (তা-লে-বা-ন) সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করছিল, তখন থেকেই মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া গেছিল আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা চলে যাবে। আর এটা সহজেই অনুমেয় যে, ২০০১ সালে বুশ প্রশাসন আফগানিস্তান দখলের পর থেকে হামিদ কারজাইকে ক্ষমতায় বসানোর মাধ্যমে সেখানে যে মার্কিন পুতুল সরকারের সূচনা ঘটেছিল, সেটার সমাপ্তি ঘটতে চলেছে। আমেরিকা চলে গেলে তাদেরকে ক্ষমতায় রাখার মত কেউ থাকবে না। আর ‘আফগান ছাত্রদল’ খুব সহজেই ক্ষমতা দখল করে নেবে।

ঠিক এই সময়ে এসে চীনের মাথা ব্যথার শুরু। উইগর মুসলমানদের জন্য সারা পৃথিবীর মুসলমানদের একটা সফট কর্ণার আছে। ‘আফগান ছাত্রদল’ যেহেতু ক্ষমতা দখল করতে পারলে ইস-লামিক এমি-রেট অব আফগানিস্তান বা আফগানিস্তান ইসলামী আমী-রাত প্রতিষ্ঠা করবে, তারা স্বাভাবিকভাবেই উইগরদের সাহায্য করবে।

‘আফগান ছাত্রদল’ সাধারণত কাউকে কেয়ার করেনা। বিশ্ব কী করলো, না করলো তাতে তাদের কিছু যায় আসেনা। এই কারণে তারা চীনের মাথা ব্যথা হয়ে দাঁড়ায়।

শিনজিয়াং নিয়ে চীন তার আশঙ্কা প্রকাশ করে এবং জাতিসংঘের কাছে প্রস্তাব দেয় আফগানিস্তানে চীনের ‘শান্তিরক্ষী’ পাঠানোর কথা। শিনজিয়াংয়ে ‘আফগান ছাত্রদল’ কোনো হুমকি সৃষ্টি করলে সেখানে চীনা সেনাবাহিনী পাঠানোর কথা প্রকাশ্যেই বলে চীন।

আফগানদের কাছে সে সময়ের পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়ন পরাজিত হয়েছে, বর্তমান পরাশক্তি মেরিকাও সেখানে টিকে থাকতে পারেনি। এই থেকে ধরে নেয়া যায় চীনও সেখানে টিকতে পারবে না।

চীন সম্ভবত এই ক্যালকুলেশন করে এইদিকে না গিয়ে বরং ‘আফগান ছাত্রদল’ এর সাথে মিত্রতা করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর থেকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির উচ্চতর কয়েকজন ব্যক্তি সরাসরি ‘আফগান ছাত্রদল’ এর সাথে সাক্ষাৎ করার কথা শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে চীন আর ‘আফগান ছাত্রদল’ সেটা প্রকাশ্যে এনেছে।

চীন সেখানে ভারত এবং ইউএস বিরোধী একটা কোয়াডও গঠন করার কথা শোনা যাচ্ছে, যেখানে থাকবে চীন, রাশিয়া, ইরান এবং পাকিস্তান।
যদিও মেরিকা চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তের সাথে সাথে সেখানে ভারতের বিপর্যয় ঘটেছে।

‘আফগান ছাত্রদল’ আর চীন নানা বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছে সেটা বুঝা যাচ্ছে। এমনকি উইগরদের জন্য যেটুকু আশা ছিল, সেটাও আপাতত শেষ বলে মনে হচ্ছে। কারণ ‘আফগান ছাত্রদল’ ঘোষণা দিয়েছে
আফগানিস্তানের মাটি চীনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না.

কার্টেসী : কেউ একজন 🙂

আসলে কি জানেন ভাই মুক্তি আসলে
কি জানেন ভেঙে চুড়ে আসার জিনিস না
মুক্তি সর্বাত্মক

মূল পয়েন্টের জায়গাটা হলো ফিল্ডএর কোণাকানি না বুঝে, বাস্তব পরিস্থিতি না বুঝে আসলে শুধু আদর্শ দর্শক হওয়া যেতে পারে।
প্রকৃত বিষয় হচ্ছে দূরদর্শিতা ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ যেটা ছাড়া খিলাফাহ আলা মিনহাজিন নবুওয়াহ, কুফফারদের সাথে বসবো না এইসব কথার ভ্যালিডিটি নাই।

Leave a Reply