You are currently viewing আফগানিস্তানের আল্লাহর নিদর্শন–পর্ব–০৪

আফগানিস্তানের আল্লাহর নিদর্শন–পর্ব–০৪

বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, সাহিত্যিক ডঃ আবদুল্লাহ আযযাম তার “আয়াতুর রাহমান ফী জিহাদিল আফগান” নামক বইয়ে লিখেনঃ“আফগান মুজাহিদ ও শহীদদের বিস্ময়কর ও কল্পনাতীত কারামতসমূহ আমি নিজ কানে শুনে নিজের হাতে লিখেছি। এসমস্ত কাহিনীর প্রত্যক্ষদর্শীরা আমাকে বলেছেন।”

আফগানিস্তানের পাকতিয়া অঞ্চলের রমা এবং উরগুন সেক্টরের কমান্ডার উমর হানীফ ইসলামী বিপ্লবী মাের্চার নেতা মাওলানা নসরুল্লাহ মনসুরের বাড়ীতে বসে আমাকে বলেছেনঃএমন কোন শহীদ আমি দেখিনি যার লাশ বিকৃত বা দুর্গন্ধযুক্ত হয়েছে। কোন শহীদের লাশকেই কুকুর স্পর্শ করতে দেখিনি। যদিও কুকুরেরা কমিউনিস্টদের মরা লাশ নিয়ে টানাটানি করে।যুদ্ধের প্রয়ােজনে দুই-তিন বছরের পুরানাে বারােটি কবর আমি নিজে খুঁড়েছি, কিন্তু কোন একটি লাশেও পরিবর্তন দেখিনি। একবছর পরও দেখেছি শহীদের লাশের জখম হতে তাজা রক্ত ঝরছে।

ইমাম সাহেব আমাকে বলেছেনঃ শহীদ আবদুল মজীদ মুহাম্মাদের লাশ তিন মাস পরে আমরা দেখতে পাই। লাশ যেমন ছিল তেমনই, আর মিশকে আম্বরের খােশবু রয়েছে তাতে।

আবদুল মজীদ আমাকে বলেছেনঃ গ্রামের মসজিদের এক ইমামের লাশ সাত মাস পরে আমরা পাই। মনে হয় যেন তিনি মাত্র শহীদ হয়েছেন। 

জিহাদের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ মুয়াজ্জিন আমাকে বলেছেনঃ শহীদ নেছার আহমদের লাশ সাত মাস মাটির নিচে থেকেও কিছুই হয়নি।

আবদুল জব্বার আমাকে বলেছেনঃ তিন-চার মাস পর আমি চার জন শহীদের লাশ পেয়েছি। এদের তিন জনের তাে চুল-দাড়ি ও নখ পর্যন্ত বেড়েছে। অন্য একজনের চেহারার একাংশে দেখেছি একটা ক্ষত।ভাই আবদুস সালামের লাশ দু’সপ্তাহ পরে আমরা উঠাই, সে যেমন ছিলাে তেমনই আছে।

মাওলানা আরসালান খান রহমানী আমাকে বলেছেনঃ আমাদের সাথী, একজন তালেব এলেম মুজাহিদ, আবদুস সামাদ শহীদ হলে আমি আর মুজাহিদ ফতহুল্লাহ্ অন্ধকারের ভেতর সামাদের লাশ খুঁজতে বের হই।
ফতহুল্লাহ্ বলে ওঠেঃ শহীদ খুবই কাছে, আমি একটি পবিত্র খােশবু পেয়েছি। এরপর আমি নিজেও সে সুগন্ধ পেলাম। ঘ্রাণ অনুসরণ করে আমরা যখন শহীদ আবদুস সামাদের কাছে পৌছলাম,দেখি তার শরীরের জখমগুলাে হতে প্রবাহিত রক্ত অন্ধকারে চকচক করে জ্বলছে। আলাে হয়ে জ্বলছে শহীদী লহু।।

This Post Has 0 Comments

  1. আলহামদুলিল্লাহ

    সুবহানাল্লাহ, আল্লাহ যেনো আমাদের কে ও শহিদি মৃত্যু দান করেন আমিন

Leave a Reply