You are currently viewing বিয়ে করুন স্বয়ং আল্লাহ রিজিকের ব্যবস্থা করে দিবেন  !!!

বিয়ে করুন স্বয়ং আল্লাহ রিজিকের ব্যবস্থা করে দিবেন !!!

আল্লাহ নিজেই যখন “বেকার যুবক”দের বিবাহের জন্যে উৎসাহ দিয়েছেন, এমনকি আল্লাহ্ প্রতিজ্ঞাও করেছেন…

বিয়ে করলেই তোমাদের ধনী করে দিবো।

তবুও মেয়ে বিয়ে দেয়ার সময় কেবলই চাকুরীজীবী ছেলে খোজাটা মূলত আল্লাহ্’র উপর অনির্ভরশীলতা’র ইঙ্গিত।

আমি তো মনে করি,

একটা ভালো চাকুরী’র পূর্বশর্তই হচ্ছে “বিয়ে”

কেননা, তখন তাকে রিজিক প্রদান করার দায়িত্ব স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা নিয়ে নেন।

পড়ুন সেই মহাপবিত্র আয়াতে কারীমা…

” ﻭﺃﻧﻜﺤﻮﺍ ﺍﻻﻳﺎﻣﻲ ﻣﻨﻜﻢ ﻭ ﺍﻟﺼﺎﻟﺤﻴﻦ ﻣﻦ ﻋﺒﺎﺩﻛﻢ ﻭ ﺇﻣﺎﺋﻜﻢ ﺇﻥ ﻳﻜﻮﻧﻮﺍ ﻓﻘﺮﺍﺀ ﻳﻐﻨﻬﻢ ﺍﻟﻠﻪ “

(তোমাদের মধ্য হতে যারা বিবাহহীন তাদের বিবাহ দিয়ে দাও এবং দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎ তাদেরকেও। তারা যদি নিঃস্বও হয়ে থাকেন তবে স্বয়ং আল্লাহ্ তাকে ধনী বানিয়ে দেবেন) – সূরা নুর। আয়াতঃ ৩২।

অবশ্য উক্ত আয়াতে বিবাহহীনদের অবিভাবকদেরকেই আল্লাহ্ এ আদেশ করেছেন। কেননা আল্লাহ্ জানেন, অবিভাবকেরা কি সব চিন্তা করেন।

অবস্থা এমন দারিয়েছে কেউ বিয়ে করতে চাওয়া সামাজিকভাবে খারাপ চোখে দেখা হয়। আপনার আরেকটা মেয়ে থাকলে তাকে খাওয়াতেন না? তাহলে মেকে বিয়ে করিয়ে, মেয়ের এখনো বিয়ে হয়নি মনে করে খাওয়াতে অসুবিধা কোথায়?? প্রতিষ্ঠিত ছেলের সাথে বিয়ে দিতে হবে এই চিন্তা বাদ দিন। আপনার মেয়ে ও সমাজে অসংখ্য ছেলেকে চারিত্রিক শুদ্ধতা নিয়ে বেড়ে উঠতে সহযোগিতা করুন।নিশ্চই এখন যে ছেলেটা বেকার সেই কয়দিন পর প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করবে।তখন কিন্তু তার চাহিদাও বেড়ে যাবে।প্রতিষ্ঠিত হয়েই যখন বিয়ে করতে হল, তখন ভাল দেখেই বিয়ে করি।তখন দেখা যায় এসকল আপুদের আর বিয়ে হয় না।আবার কোন কোন অবিভাবক লেখা-পড়া শেষ করার আগে বিয়ে দিতে চায়না,ফলে মেয়ের বয়স বেড়ে যায় প্লাস চেহারার লাবন্নতা নষ্ট হয়।বয়স্ক মেয়েকে কেউ বিয়ে করতে চায়না আরো যদি লাবন্নতা হ্রাস পায়,তাহলেতো কথায় নাই।তাই দেখা যায় অনেক আপুদের বিয়ে হচ্ছেনা বলে অবিভাবকদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।কয়েক বছর আগেও যে সকল প্রস্তাব নাকোচ করে দিয়েছি,এখন তাদের হয় বিয়ে হয়েছে তা নাহলে এখন আর আগ্রহী নয়।তো আসুন সবাই বিয়েকে তথা হালালকে সহজ করি এবং প্রেম তথা হারামকে কঠিন করি।

ছেলে-মেয়েকে বিয়ে দিন সাবালক হলেই…

আপনি যদি বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার কলুষিত দিকগুলো দেখেন তার অধিকাংশের কারণ মূলত বিয়েতে দেরি করা। তা আপনি বুঝুন আর না-ই বুঝুন!

পিতা-মাতা তথা অভিভাবকদের জন্য দুটি দিকে খুবই দায়িত্ববান হওয়া দরকার। সন্তান লালন-পালনে সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। সন্তানকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। বিয়ের উপযুক্ত বয়স হলেই বিয়ে দিতে হবে।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ‘যার কোনো সন্তান জন্ম লাভ করে সে যেন তার সুন্দর নাম রাখে এবং তাকে উত্তম আদব-কায়দা শিক্ষা দেয়। যখন সে বালেগ হয় তখন যেন তার বিবাহ দেয়। যদি সে বালেগ হয় এবং তার বিবাহ না দেয় তাহলে সে কোনো পাপ করলে, সে পাপ তার পিতার উপর বর্তাবে। (বায়হাকী, মিশকাত হা/৩১৩৮)

অর্থনৈতিক গ্যারারান্টির জন্য যদি মেয়ের অবিভাবকরা চাকরিজীবী পাত্র খোজেন, তাহলে পাত্রের মৃত্যুর গ্যারান্টি কে দেবে ?

This Post Has 0 Comments

  1. Farhana

    Massallah

Leave a Reply