You are currently viewing বারমুডা ট্রায়াঙ্গল ও দাজ্জাল রহস্য-পর্বঃ৪

বারমুডা ট্রায়াঙ্গল ও দাজ্জাল রহস্য-পর্বঃ৪

ইবলীসের/শয়তানের আরশ সমূদ্রের উপর”————————————————————————– গতপর্বে বলেছিলাম তামিমদারির হাদিসের কথা আসুন আরো একটু গভীরে যা-ই।

জাবের বিন আব্দুল্লাহ্ (রাদিঃ) হতে বর্ণিত হয়েছেঃ তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ ইবলীশের আরশ হচ্ছে সমূদ্রের উপরে, সে তার দলবলকে (অনুচরদেরকে) প্রতিদিন প্রেরণ করে মানুষকে ফেতনায় ফেলার জন্য। আর তার (ইবলীশের) নিকট তাদের (সহচরদের) মধ্য হতে সেই বেশী বড় মর্যাদার অধিকারী তাদের যে লোকদেরকে বেশী বড় ফেতনায় ফেলতে পারে। ***মুসনাদে আহমাদঃ ১৪৮৫৬, ১৪৮১৪; সহিহ মুসলিমঃ ৭২৮৩-৭২৮৫।

অন্য বর্ণনায়ঃ আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’আমর বিন্ ’আস (রাদিঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ অর্থাৎ সাগরের মধ্যে অনেকগুলো শয়তানকে বেঁধে রাখা হয়েছে। যাদেরকে শক্ত করে বেঁধে রেখেছেন সুলাইমান (আ.)। অচিরেই তারা সাগর থেকে বের হয়ে মানুষকে কোরআন পড়ে শুনাবে অথচ তা কোরআন নয়।” (মুসলিম,ভূমিকা,হাদীস ৭ এর অধীন)

আটলান্টিক মহাসাগর বা অতলান্ত মহাসাগর (ইংরেজি: Atlantic Ocean) পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাসাগর। এর আয়তন ১০৬.৪ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার (৪১.১ মিলিয়ন বর্গমাইল); এটি পৃথিবীপৃষ্ঠের প্রায় এক পঞ্চমাংশ এলাকা জুড়ে অবস্থিত। আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিমে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ এবং পূর্বে ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশ অবস্থিত। উত্তরে উত্তর মহাসাগর এবং দক্ষিণে দক্ষিণ মহাসাগর। এবার বারমুডার অবস্থান বিশ্লেষণ করুন। বারমুডা ট্রায়াঙ্গল অঞ্চলটা আটলান্টিক মহাসাগরের কিউবার আগে পোর্টিরেকুর সন্নিকটে অবস্থিত। অর্থাৎ বারমুডা থেকে আমেরিকার দূরত্ব বেশি নয়। আর আমেরিকাই এখন বিশ্বের শীর্ষ সাম্রাজ্যবাদী বরফাচ্ছন্ন রাষ্ট্র। বারমুডা অঞ্চলটা সম্পর্কে নিত্যদিন অনেক বিরল ও বিস্ময়কর কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু ব্যাপক অনুসন্ধান সত্ত্বেও আজ অবধি কোন অনুসন্ধানের ফলাফল পুরোপুরি জনসম্মুখে প্রকাশিত হয়নি। এতেই অঞ্চলটার রহস্যময়তার প্রমান পাওয়া যায়। এ পর্যন্ত এখানে অসংখ্য জাহাজ অদৃশ্য হয়ে গেছে। হারিয়ে যাওয়া জাহাজের অনুসন্ধানে বিমান পাঠানো হলে উক্ত অঞ্চলে প্রবেশ করা মাত্র সেই বিমান ও অদৃশ্য হয়ে গেছে। অদৃশ্য হয়ে যাওয়া প্রতিটা জাহাজের কাহিনী শুনবার মতো বিষয় । সেই কাহিনীগুলো পরের কোন পর্বে জানাবো।

সর্বপ্রথম যে ঘটনাটা বহিঃজগতের সামনে এসেছিল, সেটা ছিল ১৮৭৪ সালে অদৃশ্য হওয়া জাহাজ। তাতে অবস্থানরত তিনশোরও বেশী লোক ক্যাপ্টেন সহ লাপাত্তা হয়ে গিয়েছিল এবং জাহাজটা ক্যাপ্টেন ছাড়াই নিরাপদ অবস্থায় কূলে পাওয়া গিয়েছিল। একবার জাহাজের সব কজন যাত্রীকে মাতাল অবস্থায় কূলে পাওয়া গিয়েছিল এবং তাদের জাহাজ উক্ত অঞ্চলে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল। যাত্রীদের ভাষ্যমতে জাহাজটা যখন উক্ত অঞ্চলে প্রবেশ করে, তখন মস্তিষ্কে একটা ধাক্কার মতো লাগে। তারপর কীভাবে কূলে পৌছায় তার কিছুই তারা জানে না।

অনুরূপভাবে অন্য বহু উড়োজাহাজের ক্ষেত্রেও অনেক বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটা ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু কোন কমিটিরই রিপোর্ট জনসম্মুখে আসতে দেয়া হয়নি। মজার ব্যাপার হচ্ছে মুসলমানরা যেমন এই বারমুডা ট্রাইএ্যাঙ্গেলকে গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন, কেননা এর সত্যতা ও মহানবী (সাঃ) এর কিছু ভবিষ্যৎ বানীর সাথে মিল রয়েছে। কিন্তু ইহুদী ও খ্রিষ্টানরা বরং বিশ্বের দৃষ্টিতে প্রকৃত সত্য থেকে সরিয়ে রাখার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক প্রতারকরা গল্পকারদের মাধ্যমে এমন কাল্পনিক উপন্যাস প্রচার করছে।
ইউটিউবে সার্চ দিলেই, মুসলিম ও তাগুতি গোষ্ঠী দুই পক্ষেরই বারমুডা ট্রাইএ্যাঙ্গেল নিয়ে নিজ নিজ মতামত জানা যায়। এবং স্পষ্টভাবেই এবং স্বাভাবিক ভাবেই, মুসলিমদের মতামত, ব্যাখ্যাগুলো, বেশী শক্তিশালী। এবং তাগুতি গোষ্ঠী বিষয়টাকে যথারীতি ধামাচাপা এবং লুকিয়ে রেখে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে যাচ্ছে।

এই অঞ্চলের ব্যাপারে একটি কথা প্রচলিত আছে যে, এলাকাটার বেশিরভাগ জায়গার পানির মধ্য থেকে আগুন নির্গত হয় এবং পুনরায় আগুন ভিতরে ঢুকতে দেখা যায়।
ইবলিসি শক্তিগুলোর গোপন তৎপরতা ও আন্তর্জাতিক ধোঁকাবাজদের যদি পরিসংখ্যান নেয়া হয়, তাহলে যথেষ্ট তথ্য প্রমান পাওয়া যায় যে, উক্ত অঞ্চল আন্তর্জাতিক কুফরিশক্তির গোপন ঠিকানা। এখানে অবস্থান করেই তারা তাদের গোপন তৎপরতা পরিচালনা করছে।

কোন কোন হাদিসে আছে, “ইবলিস সমুদ্রে তার সিংহাসন পাতে” । এতেও প্রমাণিত হচ্ছে, ইবলিসের সিংহাসন বা কেন্দ্র এমন একটা অঞ্চলে হবে, যেখানে কুফরির রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত থাকবে। তাছাড়া কুরআন-হাদিস দ্বারা এ বিষয়টাও প্রমানিত যে, ইবলিস তার মানুষ বন্ধুদের পরামর্শ দিয়ে থাকে। এমনকি যখন প্রয়োজন হয়, তখন মানুষের আকৃতিতে এসে তাদের সাথে যুক্ত হয়ে যায়। বদর যুদ্ধে ইবলিস বনু কিনানার নেতা সুরাকা ইবনে মালিকের আকারে আবুজাহলের সঙ্গে উপস্থিত ছিল এবং আবুজাহলকে যুদ্ধ করার জন্য অনবরত উসকানি দিচ্ছিল।

ইবলিসের কেন্দ্র সমুদ্রের কোথাও এমন এক অঞ্চলের কাছাকাছি হওয়া দরকার, যেখান থেকে বর্তমান সকল ইবলিসি পরিকল্পনা প্রস্তুত হচ্ছে। বারমুডা ট্রাইএ্যাঙ্গেল আমেরিকার কাছাকাছি একটা দ্বীপ এবং বর্তমানে আমেরিকা বিশ্ব কুফরিশক্তির কেন্দ্র। তাই হতে পারে, বারমুডা অঞ্চলটা ইবলিসের একটা কেন্দ্র এবং এখান থেকেই সে তার জিন ও মানুষ শয়তানদের সে তার পথনির্দেশনা দেয়, তার তাই বিশ্ববাসী থেকে অঞ্চল টাকে দূরে রাখার জন্যই এলাকাটাকে আতঙ্কের প্রতিমূর্তি বানিয়ে রাখা হয়েছে। যে তথ্য প্রমান পাওয়া গেছে, তাতে স্পষ্ট যে, আন্তর্জাতিক শক্তির ইচ্ছা ব্যতিত তা বাইরে আসতে পারবে না।

আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ বলেছিলেন,” আমার কাছে সরাসরি খোদার কাছ থেকে নির্দেশনা আসে।” ইরাক আক্রমণের পূর্বে বুশ বলেছিলেন-“এই যুদ্ধের পর তাদের প্রতিশ্রুত মাসীহ (দাজ্জাল) আবির্ভূত হবে। এরপর বুশ ইসরাইল সফর করেন। মস্কো টাইমস এর রিপোর্ট অনুযায়ী এই সফরের সময় এক বৈঠকে (যেখানে ফিলিস্তিনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ আব্বাস ও হামাস নেতারাও উপস্থিত ছিলেন) বলেছেন -” বর্তমান পদক্ষেপে আমি সরাসরি খোদা থেকে শক্তি অর্জন করেছি। খোদা আমাকে আদেশ করেছেন আল কায়েদার উপর আঘাত হানো। সেজন্যই আমি তার উপর আঘাত হেনেছি। তারপর তিনি আদেশ করেছেন সাদ্দামের উপর আক্রমণ কর। ফলে আমি সাদ্দামের উপর আক্রমণ করেছি। এখন আমার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা হল আমি মধ্যপ্রাচ্যের সমস্যার সমাধান করবো। তোমরা (ইহুদীরা) যদি আমাকে সাহায্য কর আমি সম্মুখে অগ্রসর হব। অন্যথায় আমি আসন্ন নির্বাচনের প্রতি মনোযোগী হতে চাই।”

কি বুঝলেন?হালকা কিছু কি বুঝতে পেরেছেন? রহস্য মনে হচ্ছে তাই না? পুরো রহস্যেগেরা।চোখ রাখুন আগামী পর্ব আবার কথা হবে ইনশাআল্লাহ!!

চলবে,,,,,,,,,

Leave a Reply