You are currently viewing বাবা মায়ের কাছে একজন কন্যা সন্তানের দাবী!সাইদুল ইসলাম সজীব

বাবা মায়ের কাছে একজন কন্যা সন্তানের দাবী!সাইদুল ইসলাম সজীব

বাবা মায়ের কাছে একজন কন্যা সন্তানের দাবী কি?কন্যা সন্তানের জন্য পিতামাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য কি?

দুটি প্রশ্নের জবাব খুজতে গিয়ে দেখা যায়। যুগের সাথে উত্তর গুলো ভিন্ন হয়ে গেছে,তবে তা অধিকাংশ মানুষের কাছে।কখনোই হকের দারক বাহক দের ক্ষেত্রে নয়।

যখন আমাদের শোনালি দিন ছিলো! ইসলাম সর্বদা বিজয়ী ছিলো। আর আমাদের বাবা-মায়েদের হৃদয় ছিল হেরার আলোয় আলোকিত।একজন বাবা-মা তার কন্যা সন্তানের জন্য! যা কি-না বাবা মায়ের থেকে পাওনা কন্যা সন্তানের সবচেয়ে বড়ো হক এবং অধিকার। আমাদের বাবা মায়েরা তখন সে অধিকার টা সন্তানকে যথাযথ বুঝিয়ে দিত।বাবা মায়েরা কন্যা সন্তানের সঠিক দাবী থেকে কখনোই বঞ্চিত করতো না।

আর সে দাবী, আর অধিকার টুকু ছিলো। কন্যা সন্তান উপযুক্ত হওয়ার পরে তার জন্য, তাদের বাবা মা জান্নাতের সাথী খুঁজে আনা।আল্লাহর সপথ করে বলছি ওয়াল্লাহি,এ অধিকার যতদিন পর্যন্ত সঠিকভাবে আদায় করা হয়েছে। ততদিন মোসলমানরা সারা বিশ্বে বিজয়ী ছিলো।আমাদের বোনদের ঘরে থেকে তখন জন্ম নিয়েছিল জালালুদ্দিন রুমি,সুলতান নুর উদ্দীন, সালাউদ্দিন আইউবি, আল্প আর সালান,আরতুগুল গাজী, ওসমান সহো অগণিত যুগের বির সেনানিরা,যারা সমগ্র বিশ্বে পৌঁছে দিয়েছিল কালিমাতুল্লাহ শাহাদাতের দাওয়াত।

আর এ অধিকার থেকে যখন থেকে আমাদের বাবা মায়েরা কন্যা সন্তানকে বঞ্চিত করা সুরু করেছেন ।বেছে নিয়েছেন ওহানের আগুন। দুনিয়া, দুনিয়া, ক্যারিয়ার, তখন থেকে সুরু হয়েছে আমাদের লাঞ্চনার নতুন ইতিহাস, তা আর শেষ হয়নি। সালাউদ্দিনরা কার ঘরে আলোকিত করে আসবে?যাদের ঘরে ইতিমধ্যে অবাধ্যতা আর ফিতনার ভয়াবহ আলো ঝলমল করছে তাদের!!

বাস্তবতা কি জানেন, এখন অনেক আলোচনা হচ্ছে, দাওয়াতি কাজ ও চলমান!কিন্তু হেদায়েতের সংখ্যা খুবই নগন্য। যে দুএকজন হেদায়েতের স্পর্শ পায়। কিন্তু পরিবার ও অধিকাংশ খারাপ মানুষের আচর ও চাপের কাছে একটা সময় তারা ও হারিয়ে যায়।

একজন বাবা মায়ের কাছে এর ছেয়ে বড়ো পাওয়া আর কি হতে পারে!তার মেয়েকে এমন কারো হাতে তুলে দেয়া যে তাকে দুনিয়া ও আখেরাতে আগলে রাখবে।জান্নাতের পথটা তার জন্য সহজ করে দিবে!!কিন্তু নাহ এতে তাদের মন ভরে না।মেয়ের বিয়ে বন্ধ করে দিয়ে তাকে পড়াশোনার দোহাই দিয়ে ফিৎনার মাঝে ছুড়ে ফেলে।ও বাবা মা আপনার আদরের মেয়ের ও কি মন চায় না একজন সালাউদ্দিন কে জন্ম দিবে।জিজ্ঞেস করছেন কখনো তার মনে কি চলছে। আল্লাহ আপনাদের হেদায়েত দিক এতোটুকুই মুনাজাত।

যাঁরা বুকে লালন করে আমার ঘরে জন্ম নিবে যুগের ওসমান গাজীরা।তারা কিভাবে সারাদিন অবাধ্যতায় থাকা চাকরিজীবী মেয়েকে বিয়ে করবে। সে তো নিজের স্বামী কে সময় দিতে পারে না,সন্তান কে সময় দিবে কখন?আল্লাহর খুব ঠেকা পড়ছে এমন কারো ঘরে নাকি পাঠাবে যুগ শ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদদেরকে।শেষ পরিণাম তাঁরা অনেক অনেক কোটি টাকা কামায় ঠিক। কিন্তু মরার সময় কিছু অপদার্থ আর কুলাঙ্গার সন্তান রেখে যায়।এরা হয় প্রতিবন্ধী না হয় ছন্নছাড়া এমন হাজারো উদাহরণ আপনার আসেপাশে আছে খোঁজ নিয়ে দেখুন।

আল্লাহর সপথ করে বলচি। অবাধ্যতা এখন এমন পর্যায় পৌঁছেছে। শুধুমাত্র দাওয়াত দিয়ে এ অবাধ্যতা মোকাবেলা করা অসম্ভব হয়ে গেছে। পরক্ষণে দেখা যায় দাওয়াত দেয়া লোক গুলোর ও যথেষ্ট হেদায়েতের ঘাটতি আছে। সত্যি বলতে বড় কোন আজাব ও গজব ছাড়া সামগ্রিক হেদায়েত সত্যি অসম্ভব মনে হচ্ছে।আর ইতিহাস ও তা-ই বলে,,আল্লাহ এভাবে ভেঙ্গে সভ্যতাকে আবার নতুন করে গড়েছেন।

কথা গুলো কষ্ট থেকে লিখেছি। লিখতে লিখতে চোখের পানি মুছেছি। রব আমাদের উনার রহমত দিয়ে ঘিরে রাখুন।

শেষ কথা বলি বোন আমার। চিন্তা করে দেখো কে তুমি কি তোমার পরিচয়❤️🥀🥀🥀

  1. সাইদুল ইসলাম সজীব
    ২৬/০৫/২০২৩

Leave a Reply