You are currently viewing রহস্য গেরা পিরামিড ও আমেরিকার সম্পর্। পর্বঃ০২

রহস্য গেরা পিরামিড ও আমেরিকার সম্পর্। পর্বঃ০২

পিরামিড স্থাপনার দিকে লক্ষ করলে প্রথমে যে বিষয়টা লক্ষণীয়।এত বড় বড় পাথর গুলো,কোন আধুনিক প্রযুক্তি ছাড়া কিভাবে স্থাপন করা হয়েছে!!তাও কিনা যে সময় প্রযুক্তির কোন নাম গন্ধও ছিল না।হাজার বছর আগে তাহলে তা কিভাবে সম্ভব হলো?

অবাক করা বিষয় হচ্ছে। বড় পিরামিড যেটাকে খুফর বলা হয়। এটা নির্মাণ করতে ২৩ লক্ষ্য ব্লক ব্যবহার করা হয়েছিল। এর সর্বনিম্ন ছোট ব্লকটির ওজন একটা প্রাইভেট কারের সমান ও বড়টির ওজন প্রায় 40 টা প্রাইভেট কারের সমান।এক একটা ব্লকের ওজন ২৭ হাজার কিলোগ্রাম থেকে নিয়ে ৭০ হাজার কিলো গ্রাম পর্যন্ত ছিল।তাহলে এবার বলুন কি পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন থাকতে পারে,এই পিরামিড নির্মাণে!আর এত শক্তি সামর্থ্য তখনকার মানুষ কোথায় পেলো?

তা-ও এমন একসময় যে সময় কি-না ন্যূনতম কোন প্রযুক্তি ছিল না।তাহলে এবার বলুন যদি প্রযুক্তি না হয়ে থাকে তাহলে মানুষ কিভাবে এই অসাধ্য সাধন সম্পূর্ণ করতে সক্ষম হলেন।আপনার কি মনে হয় এটা কি মানুষের দ্বারা সম্ভব?

অবশ্যই এটা মানুষ তৈরি করতে পারেনি।তাহলে কে তৈরি করলো আর কেনইবা তৈরি করল!এখন আপনি বলতে পারেন এলিয়েন অথবা ভিনগ্রহের কারো সাহায্য নেয়া হয়েছে। এ বিষয়টা বারবার আলোচনায় আসতেছে!আসলে পুরো বিষয়টা ভুল। মানুষ এ স্থাপনা তৈরি করেনি এটা সত্যি,কিন্তু এলিয়েন ও করেনি এটাও শতভাগ সত্যি । এলিয়েনের বিষয়টা পুরোটাই প্রোপাগান্ডা এটা নিয়ে আমার ব্লগে এবং আমার ওয়ালে অনেকবার ধারাবাহিক লিখেছি।কমেন্ট বক্সে লিংক দেয়া থাকবে চাইলে পড়তে পারেন ।

পিরামিড নির্মাণের জন্য ব্যবহারিত পাথরগুলোর দিকে লক্ষ্য করলে বুঝা যায়!এটা মানুষের দ্বারা অসম্ভব।তাহলে কাদের দ্বারা এটি নির্মাণ হয়েছে, এ বিষয়ে আমার ধারাবাহিক আলচনার শেষ পর্বে সিদ্ধান্ত জানাবো।বাকি কথা থাকে সেখানে এখন কি হচ্ছে?এ বিষয় ও আপনাদের জানানোর চেষ্টা করবো।আল্লাহ তৌফিক দান করুন।

দ্বিতীয়ত পিরামিড স্থাপনার দিকে লক্ষ্য করলে যে বিষয়টা চোখে পড়বে তা হচ্ছে ।

এখানে ব্যবহারিত ব্লক বা পাথরের টুকরাগুলো যেভাবে ফিনিশিং করা হয়েছে, কাটা হয়েছে এটা অত্যাধুনিক জামানার লোহা কাটা মেশিন এর মাধ্যমেও সম্ভব নয়।যা আপনাকে সত্যি বিস্মিত করবে।আপনি পিরামিড নিয়ে যদি বিস্তারিত পড়েন এ বিষয়টা সত্যি আপনাকে অবাক করে দিবে।এত নিখুঁত করে কে করলো এ কাজ? বিষয়টা আপনার কিরিসিটি অনেক বেশি বাড়িয়ে দিবে।আমি শুরু থেকেই বলছি মানুষ চাড়া ও পৃথিবীতে বিস্ময়কর স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছিল যার দলিল কোরআন এবং হাদিসে আছে।

তৃতীয়ত পিরামিড স্থাপনার যে বিষয়টি লক্ষণীয়।এবং বিস্ময়কর লাগে তা হচ্ছে জ্যামিতিক ব্যবহার!

জ্যামিতির আবিষ্কার হয়েছে আজ থেকে ৫০০ বছর আগে।অথচ অত্যন্ত সুনিপুণ হাতে জ্যামিতি ব্যবহার করে পিরামিডগুলো নির্মাণ করা হয়েছে ।খুফুর পিরামিডের সাথে তিনটি পিরামিড তিনটি তারকাকে লক্ষ্য করে।

খুফুর পিরামিডের ওজন ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টন। যেখানে বর্তমানের সবচেয়ে উঁচু ভবন দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার ওজন ৫ লাখ টন। ধারণা করা হয় ২.৩ মিলিয়ন পাথরের বিশাল বিশাল টুকরা দিয়ে পিরামিড বানানো হয়েছে।এবার বলেন এতবড় স্থাপনায় এত সুন্দর জামিতিক হিসাব করলটা কে?

পিরামিডের নির্মাতা কে হতে পারে এটা আমাদের মাথায় আসার আগে পিরামিড টা কিভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল এ সম্পর্কে আমাদের ধারণা মাথায় থাকা দরকার।
আর এটি কে এবং কাদের মাধ্যমে নির্মাণ হয়েছে কথা বলব শেষ পর্বে।ইনশাআল্লাহ

চলবে,,,,,

সাইদুল ইসলাম সজীব
লেখক ও গবেষক (আখিরুজ্জামান)

Leave a Reply