কাদিয়ানীরা সর্বসম্মতিক্রমে কাফের!ওলামায়ে কেরামদের মধ্যে এ নিয়ে কোন মতভেদ নেই।হিয *বুত শয়তানরা সর্বসম্মতিক্রমে কাফের এ বিষয় কোন মতভেদ নেই!!এরা রীতিমতো একটা ধর্মকে বিকৃতি করে,ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং রাষ্ট্রীয় বিশৃঙ্খলাযুক্ত কাজ করার পরে-ও তারা প্রকাশ্যে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
আর অন্য দিকে একটা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম রাষ্ট্রে!হক পন্থী আলেম ওলামারা হক কথা বলার কারণে জালিমের জেলে বন্দী সময় কাটাচ্ছে।কুরআনের তাফসির,ইসলামি বইকে, এ দেশের নিতি নির্ধারণী মহল, এখন জ)* *(ঙ্গি বই বলে ইসলাম প্রিয় মানুষকে হয়রানি করতেছে।কুরআন, হাদিস প্রশিক্ষণমূলক ক্লাস গুলোকে,গোপন বৈঠক বলে,গ্রেফতার বাণিজ্য চালাচ্ছে।
শুধু তাতেই ক্ষান্ত নয়!নিরীহ মোসলমানদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিনা উস্কানিতে গুলি করে মানুষ হত্যা করা।এখন ডাল বাত হয়ে গেছে।এতো কিছুর পরেও এক শ্রেণীর আলেম-ওলামা এটাকে দারুল ইসলাম আর দারুল আমান বানাতে চায়।কতো বড় মাপের দালাল এবং জালিমের পাঁচটা গোলাম এরা তা আজ পরিষ্কার হয়ে গেছে।
যে ভূখন্ডে কাদিয়ানী শয়তানরা,হিজবুত শয়তানরা, রাষ্ট্র নিরাপত্তা নিয়ে পোগ্রাম করতে পারে।আর তা বন্ধ করার দাবিতে। শান্তি প্রিয় মুসলিমদের কর্মসূচিতে পুলিশের গুলি কি প্রমান করে?এ ভূখন্ডে কাদের শাসন চলছে,এ ভূখন্ড নিয়ে আপনার ফতোয়া কি?ভবিষ্যতের জন্য আপনার চিন্তা চেতনা কি?না-কি জোলখালাশা হয়ে বসে আছেন সব আসমান থেকে ফয়সালা আসবে।
হ্যাঁ আসমানী ফয়সালা আসবে,আর তা আপনাকে ও বাসিয়ে নিবে।বড়ো কোন গজব না আসলে এ জাতি এ জালেমরা সোজা হওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখি না।আর এ জুলুম গুলো বড়ো কোন গজবের পূর্বাভাস।দারুল ইসলাম প্রসঙ্গটা কত গুরুত্বপূর্ণ তা বুঝার জন্য এত বেশি পরিশ্রম করতে হবে না আমার কাছে মনে হয়।
হাজী শারীয়াতুল্লাহ’র পরবর্তীতে তার ছেলে মহসিন উদ্দীন ওরফে দুদু মিয়া (রহিমাহুমুল্লাহ) জুমআহ’র উদ্দেশ্যে তৈরিকৃত মিম্বরগুলো খুঁজে খুঁজে ভেঙ্গে দিতেন। কারণ, তাদের ফাহম বা দ্বীনের বুঝ ছিল যে, ‘দারুল হারবে কোনো জুমআহ নেই কোনো ঈদের জামাআত নেই’ – নয়তো দারুল ইসলামের প্রকৃত চিত্রই হারিয়ে যাবে, মানুষ এই ছাড়টুকু উপর সন্তুষ্ট হয়েই দারুল ইসলামের প্রয়োজনীয়তাকে ভুলে যাবে। যার বাস্তবতা আজ আমরা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করছি।তা স্বচ্ছ পানির মত পরিষ্কার।
যেটা বলছিলাম সত্যিকার অর্থে বড় কোন গজব বিপর্যয় আশা সময়ের দাবী হয়ে গেছে।এক শ্রেণীর মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে মার খাচ্ছে,যাঁর সংখ্যা খুবই কম!আর বেশিরভাগ মানুষ হাতে চুড়ি পড়ে বসে আছে।আর এ চুপচাপ করে বসে থাকাটা অন্যায়ের প্রতিবাদ না করাটাও বড়ো ধরনের অন্যায়।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
পাপী লোক গোত্রের নেতা হয়,
অসৎ ও নিকৃষ্ট লোক জাতির চালক হয়, ক্ষতির ভয়ে কোনো লোককে সম্মান করা হয়।গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের প্রচলন অধিক হয়।মদ্য পানের আধিক্য ঘটে, পরবর্তী সময়ের লোকেরা পূর্ববর্তী লোকদের বদনাম করে—
তখন যেন তারা অপেক্ষা করে লু হাওয়া (গরম বাতাস), ভূমিকম্প, ভূমিধস, মানব আকৃতি বিকৃতি, শিলাবৃষ্টি, রক্তবৃষ্টি ইত্যাদি কঠিন আজাবের, যা একটার পর আরেকটা আসতে থাকবে, যেমন হারের সুতা ছিঁড়ে গেলে মুক্তার দানাগুলো একটার পর একটা পড়তে থাকে। (তিরমিজি)
জাতির কপালে আজ দুর্ভোগের হাতছানি দিচ্ছে।আবারো বলছি এ দুর্ভোগ সবাইকে বাঁচিয়ে নেব।কেয়ামতের আলামতগুলো একের পরে এক বাস্তবায়ন হচ্ছে।যা দেখে স্পষ্ট প্রতিয়মান বড়ো কোনো বিপর্যয়ের সামনে দাঁড়িয়ে আছি।আল্লাহ আমাদের ঈমানী আমল জাগ্রত করার তৌফিক দিক।
সাইদুল ইসলাম সজীব
০৩/০৩/২০২৩
.