কেয়ামতের আলামত গুলোকে উলামায়ে কেরামগণ সাধারণত দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। বড়ো এবং ছোট আলামত।
কেয়ামতের অসংখ্য ছোট আলামত রয়েছে!যার মধ্যে ৯৯%আলামত বাস্তবায়ন হয়ে গেছে।বাকি এক পারসেন্ট ও আমি বলে দিতাম বাট কিছু আলামত নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা আছে।কিন্তু বড়ো আলামত গুলো এখনো প্রায় অনেকগুলো বাকি আছে।তবে এই আলামত গুলো একটার সাথে আরেকটি কানেকশন রয়েছে। একটা বাস্তবায়ন হয়ে গেলে বাকি সবগুলো মুক্তির মালার মত ঝরে পড়বে।বিশ্বাস করুন আমি নিজে থেকে বানিয়ে বলতেছি না!বিশ্বাস না হলে আখরুজ্জামানের হাদিস গুলো নিয়ে বসে পড়েন,এবং সময়ের সাথে মিলিয়ে দেখেন। একটি আলামত ও পাবেন না যেটি বাস্তবায়ন হয়নি(ছোট আলামত)
আজকের আলোচনায় আমি জাজিরাতুল আরব নিয়ে কথা বলবো।জাজিরাতুল আরব,ইসলামী সম্রাজ্যের প্রাণকেন্দ্র!ইতিহাস ঐতিহ্য থেকে শুরু করে এটি মুসলমানদের স্পন্দন।মক্কা,মদিনা, রাসুলের রওজা সহ, অনেক পবিত্র স্থান এখানে বিরাজমান।হাদিস শরীর থেকে জানা যায় কেয়ামতের আগে এই স্থানগুলোতে অনেক পরিবর্তন হবে!শিক্ষা,সংস্কৃতি, রাজনীতি,পরিবেশ থেকে শুরু করে অনেকগুলো পরিবর্তন এর কথা হাদিস শরীফে এসেছে।যার সবগুলোই এখন আরবে প্রায়ই বাস্তবায়ন হয়ে গেছে,বড়ো আলামত গুলো ও বাস্তবায়নের পথে, বিশেষ করে বর্তমান বাদশা মারা যাওয়ার পর,কিছুটা বুঝতে পারবেন!উল্লেখ্য আপনাদের সুবিধার জন্য জানাচ্ছি, এই আলসৌদ পরিবার খেলাফত ধ্বংসের পিছনে জড়িত ছিল।
প্রিয় ভাই ও বোন আজকে আমি আপনাদের সামনে কেয়ামতের আগে জাজিরাতুল আরবে সংগঠিত হওয়া, পরিবেশের পরিবর্তন নিয়ে কথা বলব।
সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কার আশেপাশের পাহাড়গুলো সব সময়ই ছিল শুষ্ক। এখানে থাকা পাহাড়গুলোর দিকে তাকালে মনে হতো পাহাড়গুলো রোদে পুড়ে চৌচির হয়ে গেছে। কিন্তু সেই মক্কা নগরীর আশেপাশের পাহাড়গুলো যেন এক চারণভূমিতে পরিণত হয়েছে।
মক্কা নগরীতে কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি চলছিল। বৃষ্টির প্রভাবে শুষ্ক পাহাড়গুলো এখন সবুজে পরিণত হয়েছে। দেখলে মনে হবে এ যেন মরুর দেশ মক্কা নয়। ইউরোপের কোনো এক দেশ। হারাম শরীফের ফেসবুক পেইজে ছবিগুলো শেয়ার করে এর ক্যাপশন দেওয়া হয়ছে “সাম্প্রতিক সময়ের বৃষ্টিতে মক্কায় সবুজের দৃশ্য”। আর এই পরিবর্তনের কথা হাদিসে বর্ণিত আছে।যা আজকে অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায় হয়ে গেছে।
হযরত আবূ হূরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত- রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামাত অনুষ্ঠিত হবে না যে পর্যন্ত সম্পদের প্রাচুর্য না আসবে। এমনকি কোনো ব্যক্তি সম্পদের যাকাত নিয়ে ঘুরবে কিন্তু নেয়ার মত লোক পাবে না। আরবের মাঠ ঘাট তখন চারণভূমি ও নদী-নালায় পরিণত হবে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২২২৯)
হযরত আবু হুরায়রাহ রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেন…..
‘কেয়ামত সংঘটিত হবে না, যাবৎ না (জাজিরাতুল) আরবের জমিন (আবারো) সবুজ-শ্যামলা ও নহরাদিতে রুপান্তরিত হয়ে যায়’।
[মুসনাদে আহমদ– ২/৩৭০; সহিহ মুসলীম, হাদিস ১৫৭; মুসতাদরাকে হাকিম- ৪/৪৭৭; সহিহ ইবনে হিব্বান- ১৫/৯৩ হাদিস ৬৭০০]
সাইদুল ইসলাম সজীব
লেখক ও গবেষক (আখিরুজ্জামান)
০৭/০১/২০২২