You are currently viewing আল-আকশা মসজিদ কি ভেঙ্গে ফেলা সম্ভব!

আল-আকশা মসজিদ কি ভেঙ্গে ফেলা সম্ভব!

আল-আকসা নিয়ে ষড়যন্ত্র সেই বহু বছর আগে থেকেই! ইসরাইল রাষ্ট্র গঠন থেকে শুরু করে,খেলাফত পতন,সব কিছুতে কতটা নিখুঁত ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এই অভিশপ্তরা।আর এ সুযোগ করে দিয়েছে কিছু স্বার্থন্বেষী মুনাফিক মুসলিমরা।শুরুটা ছিল সুলতান দ্বিতীয় আব্দুল হামিদকে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে জেরুজালেমে জমি ক্রয় করতে চাওয়া! কিন্তু এ মোহান সুলতান রাজি তো হয়নি বরং ফিলিস্তিন রক্ষায় নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন।আর এ জন্য এ অভিতপ্তরা সুলতান কে ক্ষমতাচ্যুত পর্যন্ত করেছিলো।তার পরের ইতিহাস সবার জানা।

ওরা মুলত দাজ্জালের প্রাসাদ বানাতে চায় আল-আকসায়।
সত্য আজ দিবালকের মত সামনে আসতেছে । ইহুদিরা বিশ্বাস করে তাদের মাসিহা ততদিন সামনে আসবেনা, যতদিননা থার্ড টেম্পল তৈরি হচ্ছে। আর সেই থার্ড টেম্পল তৈরি হবে আল-আকসা মসজিদে।এখন টেম্পল মাউন্ট বানানোর পালা আর দাজ্জাল এসে সেই টেম্পলে বসবে।

আর এ কাজটা তাঁরা খুব শীঘ্রই করতে চাইবে এতে কোন সন্দেহ নেই।এরা যে কোন একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে,মানুষের মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে কাজ সেরে ফেলতে পারে।প্রয়োজনে পারমানু যুদ্ধ পর্যন্ত সংগঠিত করতে পারে!এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই!বিশ্বে বড় বড় সব ঘটনা ঘটবে এতে এই অভিশপ্তদের হাত থাকবে না এটা ভাবা যায়? রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বলেন,ক্যাথলিক অথ্রোডক্স সমস্যার কথা বলেন! সিরিয়া থেকে আফগান, খাদ্য ,শিক্ষা, চিকিৎসা, সংস্কৃতি,সামরিক ক্ষেত্, রাজনীতি সবকিছুতেই এদের ষড়যন্ত্রের থাবা আছে।বাতাসে বাতাসে ও এদের ষড়যন্ত্র খুঁজে পাওয়া যায়।

রাশিয়া আর আমেরিকার যুদ্ধ। পৃথিবীর দুই পরাশক্তির যুদ্ধের মাধ্যমে পুরো পৃথিবী আজ হুমকির মুখে পড়বে। ই*স*রা*ই*ল কি করলো না করলো। ফিলিস্তিন এর কি হলো। কিংবা মুসলিমদের কি হলো। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর কি হলো এসব দেখার সময় পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশের থাকবেনা। অতএব, ইসরাইল সহজেই থার্ড টেম্পল তৈরি করতে পারবে। কেউ তাদের আটকাবেনা। কারন পৃথিবী ব্যস্ত থাকবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে।

আর সেই অস্থির পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখিয়ে দাজ্জালের আগমন হবে। খুব শিঘ্রই সে আসবে। থার্ড টেম্পল তৈরি হলেই। সে তার মিথ্যা ক্ষমতা দেখিয়ে মানুষকে বলবে তাকে ইশ্বর মানতে। সে দেখাবে সে চাইলে পুরো পৃথিবীতে শান্তি আনতে পারে। সে বলবে শান্তি আনতেই এই পৃথিবীতে তার আগমন।

খ্রিস্টানদের বিশ্বাস অনুযায়ী জেসাস ইশ্বর পুত্র। পরবর্তীতে সে বলবে আমার পিতা আমাকে পরবর্তী ইশ্বর হিসেবে নিযুক্ত করেছে৷ অতএব আমি তোমাদের রব এখন থেকে। তোমরা আমার ইবাদত কর। এখন কি বুঝতে পারছেন কেনো ইসা (আঃ) কে আল্লাহ তায়লা তুলে নিয়েছেন আর উনাকে শেষ জামানায় দাজ্জাল*কে হত্যা করার জন্য এবং সত্যি প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রেরণ করবেন? কেনো ইসা (আঃ) একমাত্র দাজ্জালকে হত্যা করবেন? কারন দাজ্জাল হলো জেসাস। যেই জেসাসকে খ্রিস্টানরা তাদের মাসিহা মানে আল্লাহর পুত্র মানে। ইসা ( আঃ) দাজ্জালকে হত্যা করবেন নিজের হাতে এটা প্রমাণ করতে যে সত্যিকারের নবী কে ছিলো। সত্যিকারের ইসা (আঃ) কে ছিলেন। সত্য ধর্ম কি ছিলো?

এখন আপনি বলতে পারেন! কুরআন-হাদিসে এমন কোনো বক্তব্য নেই, যাতে বুঝা যায় মসজিদে আকসা ভেঙে ফেলা সম্ভব। এটি ঘটবার জন্য ফিতনা বিষয়ক হাদিসে আলোচনা থাকতে হবে, তা জরুরি নয়। কুরআন হাদিসে উল্লেখ নেই এমন অনেক ঘটনাও পৃথিবীতে ঘটে গেছে। ভবিষ্যতের প্রত্যেক বড় ঘটনার সংবাদ দিতেই হবে, এটা কুরআন-হাদিসের কাজও নয়।

মসজিদে আকসা ভেঙে ফেলা কেন অসম্ভব হবে? হাজ্জাজ বিন ইউসুফের জামানায় কাবাঘর কি শহিদ হয়নি? অথচ তার উল্লেখ কুরআন হাদিসে নেই। বাতেনী চরমপন্থীরা হাজরে আসওয়াদ ছিনিয়ে বাহরাইনে নিয়ে গেল। পাথরটি তাদের হাতে কয়েক বছর ছিল। কুরআন-হাদিসে এসবের উল্লেখ নেই! অতএব কুরআন-হাদিসে উল্লেখ না থাকায় সেটা ঘটা অসম্বব, এমন ফতোয়া কারো দেওয়া উচিত নয়।

আসল প্রশ্ন হলো মসজিদকে যারা শহিদ করতে চায়, তাদের প্রস্তুতি ও উপায় উপকরণ কতটুকু? বাস্তব পরিস্থিতি ও ঘটনাচক্রের পর্যবেক্ষণ থেকে জানা যায় যে, ইহুদি খ্রিষ্টানেরা বিগত শতাব্দীতে যে ধারাবাহিকতায় উপায়-উপকরণ আয়ত্তে এনেছে এবং যেভাবে আটঘাট বেঁধে এগোচ্ছে, তার শতভাগের এক ভাগ প্রস্তুতিও কি মুসলমান রাজা-বাদশাদের মধ্যে নেই।

আল্লাহ একমাত্র অভিভাবক!আল্লাহ ফিলিস্তিন ও আল-আকসা কে হেফাজত করুন। মোসলমানদের আসল চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার তৌফিক দিক।

সাইদুল ইসলাম সজীব
০৬/০১/২০২২

Leave a Reply