You are currently viewing আমি কেন গোপনে বিয়ে করতে সহায়তা করি।

আমি কেন গোপনে বিয়ে করতে সহায়তা করি।

আমি কেন গোপনে বিয়ে করতে সহায়তা করি।

প্রিয় ভাই ও বোন!ক্যাপশন দেখে চমকে না গিয়ে, একটু সময় নিয়ে আমার কথা গুলো শুনুন।আজ আমি আপনাদের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলবো,বলবো কিছু হতাশার,কিছু না পাওয়ার বেদনা ও কিছু সম্ভাবনার উপাখ্যান।

প্রিয় ভাই ও বোন! আপনারা জানেন আমরা এক বিপর্যয়কর ফিতনার সময় পার করতেছি।আমার রিসার্চ অনুযায়ী বলতে পারি!আদম আলাই সালাম থেকে শুরু করে, প্রিয় নবী রাসূল করীম সাঃ এর জন্মের আগে যাকে বলা হয় আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগ।সব মিলিয়ে যতগুলো ফিতনা দুনিয়ায় এসেছে।সব ফিতনা গুলো বর্তমান ফিতনার সাথে মিলান!দেখবেন যুগে,যুগে যতগুলো ফিতনা এসেছে, সবগুলো পিছনে ফেলে,এক অপ্রতিরোধ্য ফিতনার জামানায় এসে আমরা পড়েছি।

এটি এমন এক সময় যে সময়,ঈমানদার ভাই বোনদের চোখের হেফাজত করতেই দিনরাত হিমসিম খেতে হয়।প্রিমিক্সিং,ইন্টারনেট,আজকে আমাদের মগজ দখল করে নিয়েছে।রাস্তায় বের হলে অর্ধ উলঙ্গ নারীদের অবাদ চলাফেরা,ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজলভ্য চোখের জেনা।এ যেন কাফের বেইমান রা,মুসলমান তরুণ তরুণীদের চরিত্র হনন করার জন্য।ভিডিও প্রজেক্ট চালু করে রেখেছে,ফেসবুক, ইউটিউব,টুইটার ইমু,রাস্তায়,নিরবে নিবৃত্তি,আপনি না চাইলেও,উলঙ্গ ফনার বিজ্ঞাপন আপনার চোখকে বর্ষ করে দিবে।

প্রিয় ভাই ও বোন!ব্যথিত হৃদয় নিয়ে আজ আমি আপনাদেরকে একটি প্রশ্ন করতে চাই!প্রতিটি হাতে থাকা স্মার্ট ফোন,ও প্রিমিক্সিং এর এই চোখ ধাঁধানো আয়োজনে!ইচ্ছায়, অনিচ্ছায়, চোখের হেফাজত কি আদৌও সম্ভব?যদি সম্ভব হয়ে থাকে! আপনার সাক্ষাৎ আমাকে দিন, আমি আপনার হাতে দোয়া নি!যদি সম্ভব না হয়ে থাকে,তাহলে কেন এ নিরবতা?অথবা নিজকে স্বাদুর লেবাসে আবৃত করে,প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিয়ে চুপ করে বসে থাকা!এগুলো আপনাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে, আপনি বুঝতেছেন?যদি আপনার বোধগম্য না হয়! তাহলে ইতিহাস পড়ুন রাসুলের সাহাবী সালাবাতুল আনসারির কথা।যিনি অনিচ্ছাকৃতভাবে এক মহিলার গোসলের দৃশ্য দেখে ফেলেছিলেন!এবং তার জন্য আল্লাহর ভয়ে কান্না করতে করতে,অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।আর আপনি?

তওবা নেই,অনুশোচনা নেই,নেই কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা!দিনের পর দিন চোখের খেয়ানত করে যাচ্ছেন!কিন্তু এর থেকে মুক্তির পথ খুজচেন না!তাহলে আমি সেই অন্তরে কুঠারাঘাত করি!হে পাপিষ্ট অন্তর(ইত্তাকিল্লাহ)আল্লাহ কে ভয় করো!আল্লাহর আজাবকে ভয় কর!আল্লাহর রাগকে কে ভয় করো!অতি দুঃখের বিষয় হচ্ছে,উম্মাহর বিশাল এক অংশ আঙ্কেল টম হয়ে বসে আছে।গুনা করতে করতে এদের অন্তর এমন হয়েছে যে আল্লাহ মোহর মেরে দিয়েছে।

আরেক অংশ প্রতিনিয়ত জায়নামাজে চোখের পানি ফেলতেছে!তওবার অশ্রু গলিত পানি,বারবার পিছুটান দিচ্ছে।ইচ্ছায় অনিচ্ছায় সেই মরি চিকা!নেই কোন যুগান্তকার পদক্ষেপ।যার পার্মানেন্ট সলিউশন ছিলো, একমাত্র, কেবলমাত্র বিয়ে।বিয়ে করলেই পুরো সমাধান তা বলছিনা, কিন্তু আল্লাহর শপথ! ইচ্ছাকৃত খেয়ানাতগুলো তো বন্ধ হতো!কিন্তু না সেই পথ ও বন্ধ! আবু জাহেল বাবা-মা,সমাজ ধর্মের কাছে,প্রতিনিয়ত হেরে যাচ্ছে দিন পালন করা তরুন তরুনীরা।

একদিকে চোখ ঝলসানো ফিতনা,তার উপর ক্যারিয়ার, ক্যারিয়ার করে,পশ্চিমাদের মগজ দোলাই ঠিকই,সেট হয়ে গেছে আমাদের অভিভাবকদের মাথায়!একটা মেয়ে SSC পাস করার পরে,তার মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ম্যাচরোটি চলে আসে!ছেলেদের ও তার কাছাকাছি!মেয়েদের যৌবনের শুরুটার সময়. ১৬ বছর থেকে,ছেলেদের ১৮/১৯ দরা যায়।কিন্তু দেখেন একটা মেয়ের বিয়ে হচ্ছে, ২২/২৫/৩০তার ছেয়ে বেশি বয়সে,ছেলেদের কথা না-ই বললাম!তাহলে এবার আমার প্রশ্ন, বিয়ে যদি এতো লেটে হয়, এর আগের বছর গুলো এই মেয়েটা,এই ছেলেটা কিভাবে কাটিয়েছে!তা-ও ফিতনার এ জমকালো সময়ে।

আপসোস তার পরেও এখন আমাদের বাবা-মারা মেয়েদের পড়াশোনার কথা বলে, ছেলেদেরকে স্টাবলিশ হওয়ার কথা বলে!বিয়ে দিতে বাঁধা দিচ্ছেন।তাদের বলি, প্রিয় বাবা মা, সচেতন হোন!আল্লাহর আজাবকে ভয় করুন। না হয় এসব হটকারিতার কারণে,জাহান্নামের দড়ি আপনাদের গলায় পড়বে।সেদিন কেউ আপনাদের বাঁচাতে পারবে না।

আর এ জন্য, আমার ভাই বোনদের প্রতি আমার আহবান।

আপনার যদি কারোর সাথে সম্পর্ক থাকে আর আপনি যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি মনে করেন বিয়ে করলে সাধ্যমতো চালাতে পারবেন তাহলে.. আপনাদের সম্পর্কর কথা পরিবারের মধ্যে জানিয়ে দেন। ছেলে জানাবে ছেলের পরিবারের কাছে আর মেয়ে জানাবে মেয়ের পরিবারের কাছে।ছেলে কিংবা মেয়ে যদি পরিবারের জিজ্ঞেস করার পর.. পরিবারের রিয়াকশন নরমাল আসে তাইলেতো আলহামদুলিল্লাহ।আর‚ জিজ্ঞেস করার পর.. যদি পরিবারের রিয়াকশন এমন আসে… ‘তোর এত্ত বড় সাহস! নিজের মুখে বিয়ের কথা বলিস.. বেয়াদব কোথাকার.. তোর পড়াশোনা শেষ হইছে!?

তাহলে আর বাবা মা নামক আবু জাহেল দের জন্য বসে থাকবেন না!গোপনে বিয়ে করে ফেলেন, কে কি বললো দেখার সময় নেই!মনে রাখবেন আপনার কবরে আপনি একাই যাবেন, আপনার বাবা-মা, আপনার পরিবার আপনার হিসেব দিতে যাবে না।মনে রাখা উচিত আকাশের উপরেও আকাশ রয়েছে।আর এমন ভিকটিমদের বিয়ে করতে সাহায্য করুন।এর মতো অতুলনীয় সওয়াব আর কিছু হতে পারেনা।

শেষ কথা বলি!আমার কথা যাদের পছন্দ হয়নি!তাদের কে আমার ২টি প্রশ্ন!

*যদি রাসুল বেছে থাকতেন!
*যদি একজন আবু বকর,একজন ওমর, একজন আলি বেছে থাকতেন!কিংবা বেছে থাকতেন একজন মোসলমানদের খলিফা!

তখন একটা মেয়ে যদি অভিযোগ করতো!আমার বাবা-মা,আমার মতের বিরুদ্ধে, আমার পছন্দের বিরুদ্ধে,বিয়ে দিচ্ছেন। আমার বিয়ের বয়স হয়ে গেছে, কিন্তু আমাকে বিয়ে দিচ্ছে না।হে মানবতার অভিভাবকগণ।আমাকে এর সমাধান দিন।

একটা ছেলে এসে যদি বলতো,আমি দরিদ্র, আমার বিয়ে করা দরকার, ওমুক মেয়ে আমাকে পছন্দ করে আমি ও তাকে পছন্দ করি।কিন্তু মেয়ের বাবা-মা তাকে মারধর করতেছে, ঘরে আটকে রাখতেছে,হে রাসুল আমার সামর্থ্য আছে কিন্তু আমার পরিবার আমাকে বিয়ে করতে দিচ্ছে না!আমাকে এ থেকে মুক্তির পথ বলে দিন।

তাহলে আমাদের প্রিয় নবি রাসুলুল্লাহ সাঃ এর উত্তর কি হতো?আমিরুল মুমিনিনদের উত্তর কি হত?একজন খলিফার উত্তর কি হতো?

হারাম রিলেশন শুধু ছেলে মেয়ের কারণে হয় না!বেশিরভাগ আবু জাহেল বাবা মার কারণে ও হয়!হে আল্লাহ এমন অন্তর গুলো আপনি পরিবর্তন করে দিন, হেদায়েত দিন,আর না হয় আপনার ফয়সালা নাজিল করুন।

সাইদুল ইসলাম সজীব
০২/০১/২০২২
লেখক ও গবেষক  (আখিরুজ্জামান)

Leave a Reply