You are currently viewing আগামী ইসলামী বিশ্ব বিনির্মাণে, এই উপমহাদেশে আওয়ামী লীগ সমস্যা ও সম্ভাবনা

আগামী ইসলামী বিশ্ব বিনির্মাণে, এই উপমহাদেশে আওয়ামী লীগ সমস্যা ও সম্ভাবনা

আগামী ইসলামী বিশ্ব বিনির্মাণে, এই উপমহাদেশে আওয়ামী লীগ সমস্যা ও সম্ভাবনা।

প্রিয় ভাই ও বোন আমি আগে থেকেই বলতেছি।আমরা একটা মহা বিজয়ের দ্বার প্রান্তে আছি আর এ বিজয়টি হবে ইসলামের।সেটা আপনাকে নিয়ে, অথবা আপনাকে চাঁড়া।বরং সিদ্ধান্ত আপনার আপনি কার সাথে থাকবেন।জালিমের, নাকি মাজলুমানের!আপনাকে অবশ্যই মনে রাখা দরকার মুমিনরা কখনো হারে না।

ঠিক এই মুহূর্তে আপনাকে বিশ্ব ও জিও পলিটিক্সকে শুধুমাত্র রাজনীতির চোখে নয়,বরং ইসলামের চোখেও দেখতে হবে।যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক চোখ দিয়েই দেখেন তাহলে আপনারা সেই চোখ থাকার পরেও অন্ধ।চোখ খুলে তাকিয়ে দেখুন আমাদের প্রিয় নবি রাসুলুল্লাহ সাঃ এর করা আখিরুজ্জামান নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী করা সূত্রগুলো কিভাবে মিলে যাচ্ছে।আর এই ভবিষ্যৎ বাণী গুলো বাংলাদেশ ভারত, পাকিস্তান তথা এই উপমহাদেশের মধ্যে ও বিরাজমান,বরং এই ভূখণ্ডগুলো বিশ্ব পরিবর্তনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্ব পরিবর্তন নিয়ে বুঝতে হলে আগে আপনাকে বাংলাদেশ নিয়ে বুঝতে হবে!দেখেন এটা মুসলিম বিশ্বের এমন এক ভূখন্ড, যার আসে পাসে কোন ভাই দেশ অর্থাৎ মুসলিম ভূখণ্ড নেই।,৩ পাসে ভারত,এক পাসে বঙ্গোপসাগর,নদীর ওপারে আছে মায়ানমার।কি আজিব এক ভূমি,সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম হয়েও এ দেশের মোসলমানর পরাধীন।অথচ এ দেশের মোসলমানরা বিজয় দিবস পালন করতে দেখা যায়।আমি তাদেরকে বলতে চাই কোথায় আপনাদের বিজয়? আর কোথায় তার স্বাধীনতা!বরং এ ভূখণ্ডে মুসলমানদের স্বাধীনতার গোরস্থান তো ভারত-ই সংঘটিত করে দিয়েছে কোন এক সালে।তাহলে এ মাতলামির মানে কি?আমাদের জাতির ২টা সমস্যা একটা সমস্যা হলো আবেগ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত গুষ্টি।আর একটা গোষ্ঠী হলো জেনে বুঝে ইসলামের বিরোধিতা করা,শুধু মাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য।

চোখ খুলুন,প্রথমে আপনাকে চোখ খুলতে হবে।কিছু মানুষ এ ভূখন্ড,দারুল হারাবে বসে স *শ *স্ত্র জি %৳হা%-দের সপ্ন দেখে!আপনাদের নিয়ত ভালো আল্লাহ আপনাদের নিয়ত কবুল করুন।তবে এ দেশের জন্য নয়,দ্বীনের প্রয়োজনে দাওয়াত প্রয়োজন অন্য ভূখন্ডে হিজরত করেন।অযাচিত ফ্যান্টাসিতে ভুগে এদেশের মানুষকে রক্তের ভাসানোর কোন মানে হয় না।বরং আপনার এ নিয়ত,কাশ্মীরে কাজে লাগান,নির্যাতিত অন্যান্য ভূখণ্ডের পাশে দাড়ান!তাহলে কি দাড়ালো আমি কি আপনাদের বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে বলেছি,মুখ ফিরিয়ে নিতে বলেছি এদেশের লাখো নির্যাতিত,নিপিড়িত মানুষের কাছ থেকে।না অবশ্যই না!আমার বক্তব্য এটা নয়।

আপনাকে অবশ্যই তাদের জন্য কাজ করতে হবে!আর এ দেশে থেকেই।তবে তার নির্দিষ্ট কিছু এজেন্ডা আছে।আছে কিছু সময়।প্রথমত আপনাকে যা করতে হবে তা হলো এ ভূখণ্ডকে আপনি মোসলমানদের জন্য একটা সেইফ জুন বানাতে হবে।যাতে কাফের রা এখানে তাদের সেইফ জুন বানাতে না পারে।আগামীর ইসলামী বিশ্ব বিনির্মাণে তাঁরা যেন এই ভূখণ্ডকে থেকে কোন সুবিধা না নিতে পারে, তার জন্য কাজ করতে হবে।আর সেই কাজের প্রথম ধাপ হচ্ছে আওয়ামী লীগকে বিদায় করা।

আগামী নিকট সময়ে কাস্মীর আজাদ হবে, ভারতীয় জালিমরা ছারখার হবে,ইনশাআল্লাহ।আর সেই বিজয়ের জন্য আপনাকে, জান দিয়ে, মাল দিয়ে সাহায্য করতে হবে,আর তার জন্য যা করতে হবে,তা হলো এ দেশ থেকে ভারতিয় দোসর দের থেকে মুক্ত করতে হবে।আর এই দেশবিরোধী ইসলাম বিরোধীরা ক্ষমতায় টিকে থাকলে,আপনি এ ভূখন্ড থেকে কোন সাহায্য তো পাবেনই না, বরং কাফের রা, এ দে-শ ব্যবহার করে বহু মাজলুমানের রক্ত ঝরাবে।আমি আবারও বলতেছি।
এই ভূখণ্ডকে জাস্ট একটা সেইফ জোন চাড়া অন্য কিছু আমি ভাবতে পারিনা।তবে একটা কাজ করা যেতে পারে। তা হলো এ ভূখন্ডে কাফের রা যাতে সেইফ জোন করতে না পারে, তার জন্য চেষ্টা করা যেতে পারে।আর এই চেষ্টার প্রথম ধাপ হচ্ছে আওয়ামী লীগকে যে কোন ভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা ।তা না হলে আসন্ন মোসলমানদের উত্থানে এ ভূখন্ড কোনভাবেই সাহায্য করবে না।বরং কাফের দের সেইফ জোন হিসাবে ইসলাম পন্থিদের আতংক হিসাবে কাজ করবে!

সবার মনে রাখা দরকার মানচিত্রের মারফেসে আমরা ৭১ পরাজিত হয়েছি।এখন গ্লোবাল চেঞ্জের দিকে তাকিয়ে থাকা চাড়া উপায় নেই। আর তা শীঘ্রই ঘটবে ইনশাল্লাহ।হাদিস অনুযায়ী আমরা চতুর্থ স্টেপে আছি। আর সামনেই বিজয় ইনশাআল্লাহ।

আগামীর বাংলাদেশ হোক তাওহীদ পন্থীদের অন্যতম এক সেইফ জুন আল্লাহর কাছে সেই কামনা।যাতে এখানে থেকে সময়ের প্রয়োজন আগমন বিয়োজন, করা যেতে পারে।আল্লাহ আমাদের বিজয়ী করুন।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,“নবুওয়াত ব্যবস্থা তোমাদের মাঝে ততদিন থাকবে, যতদিন আল্লাহ তাআলা মঞ্জুর করেন। অতঃপর যখন ইচ্ছা, তখন তিনি তা উঠিয়ে নিবেন। তারপর (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাতের পর) তোমাদের মাঝে নবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত ব্যবস্থা কায়েম হবে এবং তা আল্লাহ তাআলা যতদিন ইচ্ছা ততদিন থাকবে (খুলাফায়ে রাশিদিন এর যুগ)। অতঃপর তিনি তা উঠিয়ে নিবেন।

তারপর হানাহানির রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তা আল্লাহ তাআলার যতদিন ইচ্ছা ততদিন থাকবে (রাজতন্ত্র)। অতঃপর আল্লাহর ইচ্ছায় তার বিলুপ্তি ঘটবে। তারপর জবর দখল তথা আধিপত্য বিস্তারের রাজত্ব কায়েম হবে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় দুনিয়াতে কিছুকাল বিরাজমান থাকবে (নানা ভূখণ্ডে বর্তমান একনায়কতন্ত্র ও রকমারি বাদ ও তন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত স্বৈর শাসকগণ) । তারপর যখন আল্লাহ ইচ্ছা করবেন, তখন এরও অবসান ঘটবে। অতঃপর নবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত রাষ্ট্র-ব্যবস্থা কায়েম হবে। এ বলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চুপ রইলেন”(মুসনাদে আহমদঃ ৪/২৭৩)

হাদিসদ্বয় ক্রমান্বয়ে আলোচনা করলে :

প্রথমে নবুওয়াত
তারপর খেলাফত(খিলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়ত)
তারপর রাজতন্ত্র(খিলাফা+বাদশাহি)
তারপর স্বৈরতন্ত্র(কোথিত গন-তন্ত্র+ বাদশাহি)
*তারপর আবার খেলাফত(খিলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়ত)

আমরা আছি স্বৈরশাসকের যুগে। সামনে বিজয় কোন সন্দেহ নেই ইনশা আল্লাহ।

সাইদুল ইসলাম সজীব
২৯/১২/২০২২

Leave a Reply