You are currently viewing কালো পতাকা বাহি সংশয় নিরসন!কারা সত্যিকার অর্থে খোরাসানের এই পতাকার ধারক বাহক।

কালো পতাকা বাহি সংশয় নিরসন!কারা সত্যিকার অর্থে খোরাসানের এই পতাকার ধারক বাহক।

কালো পতাকা বাহি সংশয় নিরসন!কারা সত্যিকার অর্থে খোরাসানের এই পতাকার ধারক বাহক।

প্রিয় ভাই ও বোন।আজকে আপনাদের সামনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।আপনারা সকলেই জানেন খোরাসান একটা পবিত্র ভূমি।আর কালো পতাকার সাথে সাথে এই ভূমির একটা গুরুত্বপূর্ণ কানেকশন রয়েছে।আর এটি কি কেন্দ্র করে,কিছু সন্ত্রাসী,কিছু দুষ্কৃতিকারী নিজেদের কালা পতাকাদারি হিসেবে প্রেজেন্টেশন করে মুসলিম উম্মাহর অহংকার আমাদের যুবক ভাই ও বোনদেরকে ভুল পথে ধাবিত করার চেষ্টা করতেছে এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আ*ই* এ* স।প্রিয় ভাই ও বোন আজকের আলোচনায় আসলেই কারা এই সুসং প্রাপ্ত দল সেই বিষয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

আবদুল্লাহ ইবনে হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
রাসুলুল্লাহ(সা) বলেন “পূর্বদিক (খোরাসান) থেকে কিছু লোক বের হয়ে আসবে, যারা ইমাম মাহদির খিলাফত প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠা করবে। ( সুনানে ইবনে মাজা, খণ্ড ৩, হাদিস নং ৪০৮৮)

অপর বর্ণনায়, হযরত ছওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু (সা) বলেছেন,“যখন তোমরা দেখবে, কালো পতাকাগুলো খোরাসানের দিক থেকে এসেছে, তখন তাদের সাথে যুক্ত হয়ে যেও। কেননা
তাদেরই মাঝে আল্লাহর খলীফা মাহদি থাকবে”
(মুসনাদে আহমাদ, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ২৭৭,কানজুল উম্মাল, খণ্ড ১৪, পৃষ্ঠা ২৪৬,মিশকাত শরীফ, কেয়ামতের আলামত অধ্যায়)

 

 

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, একদা আমরা নবী করীম (সা) এর খেদমতে উপস্থিত ছিলাম। উনি বলতে ছিলেন,ঐ দিক থেকে একটি দল আসবে (হাত দিয়ে তিনি পূর্ব দিকে ইশারা করলেন)। তারা কালো পতাকাবাহী হবে। তারা সত্যের (পূর্ণ ইসলামী শাসনের) দাবী জানাবে, কিন্তু তাদেরকে দেওয়া হবে না। দুইবার বা তিনবার এভাবে দাবী জানাবে, কিন্তু তখনকার শাসকগণ তা গ্রহণ করবে না। শেষ পর্যন্ত তারা (ইসলামী শাসন ব্যবস্থার দায়িত্ব) আমার পরিবারস্থ একজন লোকের (ইমাম মাহদির) হাতে সোপর্দ করে দিবে। সে জমিনকে ন্যায় এবং নিষ্ঠার মাধ্যমে ভরে দিবে, ঠিক যেমন ইতিপূর্বে অন্যায় অত্যাচারের মাধ্যমে ভরে দেওয়া হয়েছিল। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যদি কেউ ঐ সময় জীবিত থাকো, তবে অবশ্যই তাদের দলে এসে শরীক হয়ে যেও – যদিও বরফের উপর কনুইয়ে ভর দিয়ে আসতে হয়”।
(আবু আ’মর আদ দাইনিঃ ৫৪৭, মুহাক্কিক আবু আবদুল্লাহ সাফেঈ হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন)

 

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ)থেকে বর্ণিত, একদিন আমরা রাসুলুল্লাহ (সা) নিকট উপস্থিত হলাম। এ সময়ে বনু হাশিমের কয়েকজন যুবক এসে হাজির হল। তাদের দেখার পর রাসুল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চোখদুটো লাল হয়ে গেল এবং চেহারার রং বদলে গেল। বর্ণনাকারী বলেন, এই অবস্থা দেখে আমি বললাম, ‘আমরা আপনার চেহারায় অপ্রীতিকর কিছু দেখতে পাচ্ছি যে! রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,“আমরা আহলে বাইতের জন্য আল্লাহ দুনিয়ার পরিবর্তে আখিরাতকে নির্বাচন করেছেন। আমার পরিবারের সদস্যরা আমার অবর্তমানে বিপদ, দেশান্তর ও অসহায়ত্বের শিকার হবে। এমনকি পূর্ব দিক থেকে এমন কিছু লোক আগমন করবে, যাদের পতাকা হবে কালো। তারা কল্যাণ (নেতৃত্ব) প্রার্থনা করবে; কিন্তু এরা (বনু হাশিম) দেবে না। অগত্যা তারা যুদ্ধ করবে ও জয়লাভ করবে। এবার তারা যা (নেতৃত্ব) প্রার্থনা করেছিল, (বনু হাশিম) তা প্রদান করবে। কিন্তু এবার তারা তা (নেতৃত্ব) গ্রহণ না করে আমার বংশের এক ব্যক্তি (ইমাম মাহদি) কে তা (নেতৃত্ব) ফিরিয়ে দিবে। সেই ব্যক্তি (ইমাম মাহদি) পৃথিবীটাকে ন্যায়নীতি দ্বারা এমনভাবে ভরে দিবে, যেমনটি পূর্বে তা অবিচারে পরিপূর্ণ ছিল। তোমাদের যে লোক সেই সময়টি পাবে, সে যেন উক্ত বাহিনীর সাথে যুক্ত হয়ে যায় বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে গিয়ে হলেও”।(সুনানে ইবনে মাজা, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১৩৬৬)

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,“যখন কালো পতাকাগুলো পূর্ব দিক (খোরাসান) থেকে বের হবে, তখন কোন বস্তু তাদেরকে প্রতিহত করতে সক্ষম হবে না। এমনকি এই পতাকাকে ইলিয়ায় (বাইতুল মুকাদ্দাসে) উত্তোলন করা হবে (খেলাফত প্রতিষ্ঠা করবে)”।
(সুনানে তিরমিজি, হাদিস নং ২২৬৯,মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং ৮৭৬০)

প্রতিহত করতে না পারলেও সম্ভাব্য প্রতিবন্ধকতা তৈরির ব্যাপারে বর্ণনা এসেছে। ইমাম জুহরি বলেছেন, আমার কাছে এই বর্ণনা পৌঁছেছে যে,

“খোরাসান থেকে কালো পতাকা বের হবে। সেটি যখন খোরাসানের ঘাঁটি থেকে অবতরণ করবে, তখন ইসলামের খোঁজে অবতরণ করবে। কোন বস্তু তাদের মাঝে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারবে না অনারবদের পতাকাগুলো ব্যতীত, যেগুলো পশ্চিম দিক থেকে আসবে”।(কানাজুল উম্মাল, খণ্ড ১১, পৃষ্ঠা ১৬২)

ইমাম যুহরি বলেছেন,“পূর্ব থেকে কালো পতাকা এগিয়ে আসবে, যাদের নেতৃত্ব দেবে এমন এক দল লোক, যারা হবে ঝুলপরিহিত খোরাসানি উস্ট্রীর মতো, লম্বা চুল ও দাঁড়ি বিশিষ্ট। তাদের বংশ হবে গ্রামীণ আর নাম হবে উপনাম। তারা দামেস্ক নগরীকে জয় করবে। তাদের থেকে তিন ঘণ্টার জন্য রহমত প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে”। (আল ফিতান, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ২০৬)

 

খোরাসান থেকে বের হওয়া এই কালো পতাকাবাহী এই বাহিনী ইমাম মেহেদীর হাতে বাইয়াত গ্রহণের পূর্বে ইরাকের কুফা নগরীতে সিরিয়ার বনু কাল্ব গোত্রীয় কুরায়শি শাসকের (হাদিসের বর্ণনাগুলোতে ‘সুফিয়ানি’ হিসাবে এসেছে) মোকাবিলা করবে।

আরতাত (রাঃ) বলেন,“সুফিয়ানি কুফায় প্রবেশ করবে। তিনদিন পর্যন্ত সে দুশমনদের বন্দীদেরকে সেখানে আটকে রাখবে এবং সত্তর হাজার কুফাবাসীকে হত্যা করে ফেলবে। তারপর সে আঠার দিন পর্যন্ত আঠার দিন পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে তাদের (কুফাবাসীদের) সম্পদগুলো বণ্টন করবে। তাদের (কুফাবাসীদের) মধ্যে একদল খোরাসানে ফেরত যাবে। সুফিয়ানির সৈন্যবাহিনী আসবে এবং কুফার বিল্ডিংগুলো ধ্বংস করে সে খোরাসানবাসীদেরকে তালাশ করবে। খোরাসানে একটি দলের আবির্ভাব ঘটবে, যারা ইমাম মাহদির দিকে আহ্বান করবে। অতঃপর মাহদি ও মানসুর (একজন সেনাপতি) উভয়ে উভয়ে কুফা থেকে পলায়ন করবে। সুফিয়ানি উভয়ের তালাশে সৈন্য প্রেরণ করবে। অতঃপর যখন মাহদি ও মানসুর মক্কায় পৌঁছে যাবে, তখন সুফিয়ানির বাহিনীকে ‘বায়দা’ নামক স্থানে মাটির নিচে ধ্বসিয়ে দেওয়া হবে। এরপর মাহদি মক্কা থেকে বের হয়ে মদিনায় যাবেন এবং ওখানে বনু হাশেমকে মুক্ত করবেন। এমন সময় কালো পতাকাবাহী লোকেরা এসে পানির উপর অবস্থান করবে। কুফায় অবস্থিত সুফিয়ানির লোকেরা কালো পতাকাবাহী দলের আগমনের কথা শুনে পলায়ন করবে। কুফার সম্মানিত লোকেরা বের হবে যাদেরকে ‘আসহাব’ বলা হয়ে থাকে, তাদের কাছে কিছু অস্ত্র শস্ত্রও থাকবে এবং তাদের মধ্যে বসরা’বাসীদের থেকে একজন লোক থাকবে। অতঃপর কুফাবাসী সুফিয়ানির লোকদেরকে ধরে ফেলবে এবং কুফার যে সব লোক তাদের হাতে থাকবে, তাদেরকে মুক্ত করবে। পরিশেষে কালো পতাকাবাহী দল এসে মাহদির হাতে বাইয়াত গ্রহণ করবে”।(আল ফিতানঃ ৮৫০)

‘মানসুর’ সম্পর্কে হযরত হিলাল ইবনে আমর বর্ণনা করেন, আমি হযরত আলী (রাঃ) কে বলতে শুনেছি,রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,“এক লোক মা-আরউন্নহর (নদীর ওপার) থেকে রওনা হবে, যার নাম হবে হারছ হাররাছ। তার বাহিনীর সম্মুখ অংশের সেনাপতির নাম হবে মানসুর, যে (খেলাফত বিষয়ে) মুহম্মদ বংশের জন্য পথ সুগম করবে বা শক্ত করবে, যেমনটি কুরাইশ আল্লাহর রাসুলকে ঠিকানা দান করেছিল। তার সাহায্য সহযোগিতা করা কিংবা তার ডাকে সাড়া দেওয়া প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য বলে বিবেচিত হবে”।(সুনানে আবী দাউদ, হাদিস নং ৪২৯০)

আমু নদীর ওপারে অবস্থিত মধ্য এশিয়ার দেশগুলোকে ইসলামের পরিভাষায় ‘মা-আরউন্নহর’ বা ‘নদীর ওপার’ বলা হয়। উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান,কাজিকিস্তান এর অন্তর্ভুক্ত যা কিনা বৃহত্তর খোরাসানের একটি অংশ।

উমর বিন মুররাহ আল জামালী (রাঃ) বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,“নিশ্চই খোরাসান থেকে একদল কালো পতাকাবাহী লোকের আবির্ভাব ঘটবে এবং তাঁদের একদল তাঁদের ঘোড়াগুলো দড়ির সাহায্যে বাইতাল লাহ্যিয়া (গাজা, ফিলিস্তিন) এবং হারাস্তার (দামেস্ক, সিরিয়া) মধ্যবর্তী স্থানে জাইতুন গাছের সাথে বাধবে”।
আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, ‘সেখানে কি কোন জাইতুন গাছ আছে’?
তিনি বলেন,যদি সেখানে জাইতুন গাছ নাও থাকে তাহলে শীঘ্রই সেখানে জাইতুন গাছ জন্মাবে এবং খোরাসান থেকে কালো পতাকাবাহী দল বের হয়ে আসবে এবং তারা তাঁদের ঘোড়াগুলো এইসব জাইতুন গাছের সঙ্গে বাঁধবে”।(কিতাব আল ফিতানঃ ৮৬১, পৃষ্ঠা ২১৫)

এবার বিশ্লেষণ করা যাক ইনশা-আল্লাহ)

হাদিস পর্যবেক্ষণ করলে প্রতীয়মান হয়ঃ

খোরাসানের যে বাহিনীটি বের হবে তাদের পতাকা হবে কালো।তাদের পাগড়ীগুলো কালো এবং জামা সাদা বর্ণের হবে।তাদের পোশাক ঢিলে ঢালা এবং চুল ওয়ালা হবে,পাশাপাশি গ্রাম থেকে তাদের আবির্ভাব হবে।মুল নামের পরিবর্তে তারা উপনামে পরিচিত পাবে।

তাদের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে পশ্চিমা শক্তি।
তারা এ সকল প্রতিবন্ধকতাকে বিজয় করে খোরাসান থেকে ইরাকের দিকে যাবে।এক পর্যায়ে এই কালো পতাকাবাহী খোরাসানিদের সঙ্গে ইমাম মাহদি (যদিও তার আত্মপ্রকাশ হয়নি) নিয়েই মক্কাতে পৌছবে।
সেখানে কোন এক খলীফার তিনপুত্রের দ্বন্দের প্রেক্ষিতে যখন হজ্জ মৌসুমে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটবে, তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে তার আত্মপ্রকাশ ঘটবে। এবং তার সাথে উপস্থিত থেকে এই খোরাসানের কালো পতাকাবাহীরাই প্রথম বাইয়াতের সৌভাগ্য অর্জন করবে।
পরে তিনি সিরিয়ার অভিমুখে যাত্রা করে বনু কাল্ব গোত্রীয় কুরায়শি শাসক এর সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে দেবে। (যা হাদিসে ‘কালবের যুদ্ধ’ নামে পরিচিত)।
যেহেতু এই বাহিনী ইমাম মাহদির নেতৃত্বাধীন থাকবে, হাদিসে বর্ণিত সকল যুদ্ধেই এই কালো পতাকাবাহী খোরাসানি বাহিনীর সকল যোদ্ধা ইরাক, বৃহত্তর সিরিয়া (সিরিয়া, জর্ডান, লেবানন, প্যালেস্টাইন, বাইতুল মাকদিস) তে কাল্বের যুদ্ধ, পেছন দিককার শত্রুর সাথে যুদ্ধ, রোমানদের (পশ্চিমা খ্রিস্টানদের) সাথে মহাযুদ্ধ থেকে শুরু করে ইস্তাম্বুল বিজয় পর্যন্ত সব যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করবে। কারণ, তারা ইমাম মাহদির খেলাফত প্রতিষ্ঠাকে সহজ করে দিবেন। এবং সর্বশেষে সকল বিজয়ের পর যখন জেরুজালেমে খেলাফত প্রতিষ্ঠা হবে, তখন তারা সেখানে এই কালো পতাকা উড়িয়ে তাদের ঘোড়াগুলোকে জাইতুন গাছের সাথে বেধে তারা ক্ষান্ত হবে।

যেহেতু খোরাসানেত বাহিনী ইমাম মাহদির সাথে Related সো এটা আখেরী জামানার হবে

এবার আমরা খোরাসানের দিকে তাকাই। আশির দশকে খোরাসানের কেন্দ্রস্থল আফগানিস্তান তৎকালীন পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়নের দ্বারা আক্রান্ত হয়। দীর্ঘ দশ বছরের (১৯৭৯ – ১৯৮৯) যুদ্ধের পর পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়ন শুধু পরাজিতই হয়নি, কয়েক বছরের মাথায় সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেজ্ঞে যায়।

১৯৮৯ সালে রাশিয়ানরা ফিরে গেলে তাদের দালালদেরকে কাবুল থেকে হটিয়ে ১৯৯২ সালে ইসলামিক স্টেট অফ আফগানিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয় এবং জাতীয়তাবাদের উপর ভিত্তি করে একটি রঙ্গিন পতাকা গ্রহণ করা হয়। অবশেষে গ্রাম্য এক মাদ্রাসার শিক্ষক (মুল্লা মুহাম্মাদ গুটি কয়েক দরিদ্র ছাত্রদের নিয়ে শুরু হয় জি*হা*দ ফি ছাবিলিল্লাহ তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসলেন অনেক মু*জা*হি*দ একের পর এক প্রদেশ তাদের নিয়ন্ত্রণে আসতে থাকে। অবশেষে ১৯৯৬ সালে কাবুলের নিয়ন্ত্রন নেওয়ার পর তারা দেশের আনুষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রনের ঘোষণা দেয়। জাতীয়তাবাদের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত রঙ্গিন পতাকা হটিয়ে উড়িয়ে দেয় ইসলামিক ভূখণ্ডের সত্যিকার পতাকা ‘লিওয়া’ – সাদার ভিতরে কালো রঙ্গের কালিমা খচিত। আর সেনাবাহিনীর পতাকা হল ‘ আর রায়া’ – কালোর ভিতরে সাদা রঙ্গের কালিমা খচিত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও যুদ্ধের সময় কালো পতাকা ব্যবহার করতেন, যা ‘উকাবা’ নামে পরিচিত।

শুরু হল খোরাসানের কেন্দ্রস্থলে কালো পতাকাবাহী দলের যাত্রা। পশ্চিমা বিশ্ব হারালো তাদের পরোক্ষ নিয়ন্ত্রন। শুরু হল দাজ্জালি মিডিয়ার প্রচার যুদ্ধ। মিডিয়াতে দেখাতে লাগলো এই দলকে। কিন্তু এ কারা। জামা সাদা বর্ণের আর পাগড়ীগুলো কালো বর্ণের। পোশাক ঢিলে ঢালা , অনেকেই চুল ওয়ালা, পশ্চিমা মিডিয়াই বিশ্বকে জানিয়ে দিল এরা সব পশ্চাৎপদ গ্রামীন। মাদ্রাসার ছাত্র। পশ্চিমা মিডিয়া বিশ্বের সামনে এদেরকেে উপনামে পরিচয় করিয়ে দিল (হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী তাদের নামের পরিবর্তে তারা উপনামে পরিচিত হবে)।

সময় গড়িয়ে এল ২০০১। এবার সরাসরি প্রতিবন্ধকতার পালা। (হাদিসের অনুয়ায়ী যদিও তাদের কেউ প্রতিহত করতে পারবে না, কিন্তু যদি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে পশ্চিমা শক্তি)।

২০০১ এ যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সমগ্র পশ্চিমা জোটের স্থল ও আকাশ যোগে আক্রমণ। জোট ও তাদের মিত্রদের (জাতীয়তাবাদী) পতাকার সংখ্যা ২০১১ সালে এক পর্যায়ে ৪৯ এ এসে ঠেকলঃ আলবেনিয়া, আরমেনিয়া, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, আজারবাইজান, বাহরাইন, বেলজিয়াম, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, বুলগেরিয়া, কানাডা, ক্রোয়েশিয়া, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক, এল সালভাদর, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জর্জিয়া, জার্মানি, গ্রীস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, জর্ডান, রিপাবলিক অব কোরিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবারগ, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া, মন্তেনিগ্রো, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, প্রাক্তন যুগোস্লাভিয়া রিপাবলিক অফ মেসিডোনিয়া, টোঙ্গা,, ইউক্রেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।

এখন পর্যন্ত ৪৯ টি দেশের অনেকেই চলে গেছে আফগানিস্তান ছেড়ে। যুক্তরাষ্ট্র ২০১৯ সালের শেষ পর্যন্ত সকল সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ব্যক্ত করেছে। এবং অবশেষে?আবারো প্রতিষ্ঠা হল এমারতে ইসলামীয়া অপ আফগানিস্তান।

খেয়াল করার বিষয় হল, বর্তমানে ঠিক সিরিয়াতে যখন বনু কাল্ব গোত্রের শাসক বাশার আল আসাদ আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা’আর সাথে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত খোরাসানের এই যোদ্ধাদের পক্ষ থেকে জুন ২০১৩ তে ১২০জন যোদ্ধা সিরিয়াতে যোগ দেয়। (সূত্রঃ ডন, জুলাই ১৪, ২০১৩)।

আর এই বাহিনী যদি ইমাম মাহদি আগমনের পূর্বে আত্মপ্রকাশকৃত সেই বাহিনী হয়, তবে তাদেরকে আর একটি শর্ত পূরণ করতে হবে। হযরত ইয়াজিদ ইবনে সানাদি বর্ণনা করেন, হযরত কাব (রাঃ) বলেছেন,“মাহদির আত্মপ্রকাশের একটি লক্ষণ হল, পশ্চিম দিক থেকে পতাকা আসবে। বনু কানদা’র এক খোঁড়া ব্যক্তি সেই বাহিনীর নেতৃত্ব দেবে”। (আস সুনানুল ওয়ারিদাতুল ফিল ফিতান)

অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় হল, ২০০১ সালে যখন পশ্চিমারা খোরাসানের এই কালো পতাকাবাহী বাহিনীটিকে আক্রমণ করে তখন তাদের জয়েন্ট চীফ কমান্ডার ছিল এয়ার ফোর্স জেনারেল রিচার্ড মাইয়ের (Richard Myers)। তার এক পা খোঁড়া।কি কাকতালীয় বিষয় চিন্তা করে দেখেন।

সে জন্ম গ্রহণ করে কানসাস শহরে যার কিনা কানাডার সাথে সীমানা এবং এই শহরের বেশির ভাগ অধিবাসী কানাডা থেকে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে সেই শুরু থেকে। আর কানাডাকে আরবীতে ‘কানদা’ (كندا) বলে। বাকিট আল্লাহই ভালো জানেন।

উপরক্ত হাদিসের সকল নিদর্শন বাস্তবায়ন করে কালো পতাকাবাহী সেই দন ইমাম মাহদীর আগমনের অপেক্ষায়।

চলবে…

সাইদুল ইসলাম সজীব
লেখক ও গবেষক (আখিরুজ্জামান)
৩০/১১/২০২২

Leave a Reply