You are currently viewing ২০২৩ সাল হয়তো অনাগত সম্ভাব্য এক বিপর্যয়ের বছর !আখিরুজ্জামান।

২০২৩ সাল হয়তো অনাগত সম্ভাব্য এক বিপর্যয়ের বছর !আখিরুজ্জামান।

২০২৩ সাল হয়তো অনাগত সম্ভাব্য এক বিপর্যয়ের বছর !এটা স্পষ্ট দিবালোকের মতো পরিস্কার জ্ঞানীদের জন্য। সামনে একটি ম্যাচাকার আসতেছে এতে কোন সন্দেহ নেই!কিন্তু নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না!কারণ মানুষের পরিকল্পনা আল্লাহর ও পরিকল্পনার কাছেই কিছুই না!!

আমরা অনেক আগে থেকেই আপনাদের বুঝনোর চেষ্টা করতেছি একটা গুষ্টি বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করার চেষ্টা করতেছে।এর মূল কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে বিশ্বব্যাপী পারমাণবিকুদ্ধ লাগিয়ে দেয়ার মিশন,অর্থাৎ মানুষ নিধন।

সময় যত এগুচ্ছে আমরা একটা ভয়াবহ সঙ্কটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আন্তর্জাতিক রাজনীতির দিকে লক্ষ্য করলে আপনি কিছুটা আজ করতে পারারবেন।আপনাকে মনে রাখতে হবে এটি একটি কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ এবং এ কথা একদম পরিস্কার!আর এ দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হবে আমদানি রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ।আর এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে উৎপাদন ক্ষমতা হীন রাষ্ট্রগুলো।শুধু যে উৎপাদন ক্ষমতা হিন রাষ্ট্র এ সাফার ভোগ করবে সেটি নয় বরং ধনী রাষ্ট্রগুলোর উপর ও অনেক বেশি প্রভাব পড়বে।

 

২০২৩ সাল সত্যিকার অর্থেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর।আখিরুজ্জামান এবং জিওপলিটিক্স যারা বুঝেন তার এ বছরটি নিয়ে খুব উৎকণ্ঠায়।বিশেষ করে রাসিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের নতুন মাত্রা আর এ যুদ্ধের কারণে সৃষ্টি হওয়া কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ চরম আকারে পৌঁছানো।ফোরাত নদী কেন্দ্রিক বিপর্যয়।কাশ্মীর কেন্দ্রিক দক্ষিণ এশিয়ার অস্থিতিশীল অবস্থা।বিদ্যুৎ এর মহা বিপর্যয়, খাদ্য সংকট চরম আকার ধারণ করা । বিশুদ্ধ পানির সংকট হবে,বিশেষ করে শহরের মানুষ অচল অবস্থায় পড়ে যাবে। মানবিক সংকট ভয়াবহ রুপ নিবে ।

প্রিয় পাঠক আমি কয়েক পর্বে আসন্ন সংকট নিয়ে আমার গবেষণা আপনাদের বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করবো। এবং জানানোর চেষ্টা করবো আমাদের করণীয় শীর্ষক কিছু কথা।শুরুতেই আজকের পর্বে আসন্ন দুর্ভিক্ষ নিয়ে কথা বলি।

একটা সময় আমরা আপনাদের নানান ভাবে সতর্ক করার চেষ্টা করেছি। এখন বিশ্ব নেতাদের মুখেও সতর্কতার বাণী।কারণ এমন এক মেসাকার আসতেছে যা আমাদের কল্পনার ছেয়ে অনেক ভয়াবহ। আপনারা সবাই জানেন রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে আন্তর্জাতিক বানিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আংশে।এতে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে সহ অনেক রাষ্ট্রেই নিত্য- প্রয়োজনীয় জিনিসের মুল্য দিগুন হারে বেড়েছে।

বিশ্বব্যাঙ্ক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আগাম হুশিয়ারি দিয়ে রেখেছে। কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছে আগামি বছর চেরাগ প্রজ্বলন করে কাটাবার কথা। বিশ্বব্যাপী জালানি সংকট তুঙ্গে পৌঁছাবে, বিশ্ব ব্যাপী বাজার থেকে পেট্রোল উধাও হয়ে যেতে পারে ।বাংলাদেশের অবস্থা তো এখন কিছুটা দেখতেছেন।এমন অবস্থায় পড়বে আরও অনেক গুলো রাষ্ট্র। দেশ বিদেশের সরকার প্রধান দের এমন হতাশা সুচক মন্তব্য খবরের কাগজে ছাপা হচ্ছে প্রতিদিন।যা খুবই উদ্বোকজনক।২০২০ সালে শুরু হওয়া কভিড সংক্রমন সারা দুনিয়াকে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে। তার উপর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে নাট্যোর অংশ গ্রহন এ যুদ্ধ কে কোথায় নিয়ে যাবে তা কেউ বলতে পারছেন না।

এবং এ কথা জলের মতো পরিস্কার। পূর্বের অনেক গুলো পর্বে বলেছি এসব কিছুর পিছনে একটা বিশেষ গুষ্টি আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে। আর ইউক্রেন সেই দাবার গুটির চাল।যদিও বড়ো কিছুর আশায় বড় কোরবানি তারা ইউ ক্রেনের মত একটা রাষ্ট্রকে।উদ্বেগ জনক বিষয় হচ্ছে দিন দিন এ লেজ বড় হচ্ছে!নেটো তো আছেই আর এ দিকে রাশিয়ার সাথে অঘোষিত যোগ দিয়েছে ইরান এবং যদি এভাবে চলতে থাকে থাকে দিন দিন আরো অনেক রাষ্ট্রই এ যুদ্ধে জড়িয়ে যাবে ।

এ যুদ্ধ দীর্ঘ ৯ মাস ধরে চলছে! কিন্তু যুদ্ধ বন্ধের জন্য কেউ কোন ভুমিকা নিতে সক্ষম হচ্ছ্বেন না। অতবা বৃহৎ শক্তিরা চাচ্ছে না যুদ্ধ বন্ধ হউক । হয়তো তারা চাচ্ছে খেলা আরো কিছুদিন চলুক এবং এতে ওইসব দেশ সমুহের মারনাস্ত্র কোম্পানি গুলি প্রচুর অস্ত্র বিক্রী করে মুনাফা অর্জন করুক। এতে বিশ্বের লোকজন ক্ষুধায় মারা গেলেও তাদের কি আসে যায় ?

আর এই যদি হয় অবস্থা। তাহলে পরিস্থিতি হাতের নাগালের বাহিরে চলে যাবে এতে কোন সন্দেহ নেই।করোনার কারণে আমদানি রপ্তানি ব্যর্থ হওয়ার কারণে ,আগে থেকেই একটা খাদ্য সংকটে ছিলো পুরো বিশ্ব। আর এখন যদি রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হয় তাহলে খাদ্য সংকট চরমে পৌঁছাবে।উল্লেখ্য পৃথিবীর অর্ধেকের ও বেশি খাদ্যের মজুদ অর্থাৎ গম এবং সূর্যমুখী তেল সাপ্লাই দেয় রাশিয়া এবং ইউক্রেন।আর এ যুদ্ধের পলে তা ব্যাহত হচ্ছে এবং এটি আরো দীর্ঘায়িত হলে খাবার সংকট চরম মাত্রায় পৌঁছাবে!

এর সাথে যোগ হবে জালালি ও বিদ্যুৎ সমস্যা।জালানির ছেয়ে আমি বিদ্যুৎ সমস্যা কে বড়ো করে দেখি।কারন ইট,পাথর, দালানের শহরের মানুষ গুলো দৈনন্দিন কাজের আশি শতাংশই বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল। আর বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়বে লাখ লাখ মানুষ। সাথে তো খাবার সংকট আছেই।অন্য দিকে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উদ্যোগদীতে ফিস্ট হবে গরীব অসহায় মানুষ। আহ কি এক বিপর্যয় আসতেছে!

এ শহর গুলো খুব শীঘ্রই যে অচল হবে,তার একটা বাস্তব উদাহরণ! দরুন কোন কারনেই সাত থেকে আট দিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন!এবার কল্পনা করুন কি হবে!আর সামনে যে অবস্থা অনুমান করা জায় বিদ্যুৎ সমস্যা লাগামহীন সীমায় পৌঁছে যেতে শুধু সময়ের ব্যাপার।

আজকের পর্বে কয়েকটি পরামর্শঃ
১.প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবেন না,খাবার অপচয় একদম করবেন না।
২.মিতুব্যয়ি হওয়ার চেষ্টা করুন,প্রয়োজনের অতিরিক্ত খরচ করা থেকে বিরত থাকুন।
৩.গ্রাম মুখি হওয়ার চেষ্টা করুন,একান্ত দরকার না হলে শহর থেকে গ্রামে চলে আসুন।
৪.জমিনগুলো খালি না রাখে কৃষি কাজে, কাজে লাগান।
৫.আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করুন।

আসলে গ্রামের যে কোনো বিকল্প নেই সামনে তা পরিস্কার বুঝতে পারবেন।

আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন। চলবে,,,

সাইদুল ইসলাম সজীব
১০.১১.২০২২

Leave a Reply