You are currently viewing কাশ্মীর গাজওয়াতুল হিন্দ এর অন্যতম চেঞ্জ মেকার

কাশ্মীর গাজওয়াতুল হিন্দ এর অন্যতম চেঞ্জ মেকার

end time শেষ জামানা নিয়ে আপনার জানাশোনা থাকলে অবশ্যই আপনাকে ২ টা স্থানের দিকে নজর রাখতে হবে!আর এ ২টি স্থানকে কেন্দ্র করে পাল্টে যাবে পুরা বিশ্বব্যবস্থা।

১.ফোরাত নদী
২.দক্ষিণ এশিয়ার প্রাকৃতিক ভূস্বর্গ কাশ্মীর

ফোরাত নদী নিয়ে এর আগে আমি অসংখ্য লেখা লিখেছি! অনেক আগে থেকেই আপনাদের বলে আসছি ফোরাতের পানি হাটুর নিচে এসে চলে এসেছে।এবং পানির স্তর দিন দিন আরও কমতেছে!!এ বিষয় আমার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি তাত্ত্বিক পর্যালোচনা রয়েছে। ফোরাত নদী সাম্রাজ্যবাদীদের গোরস্থান নামক একটি আলোচনায়।আপনারা চাইলে আলচনাটি শুনতে পারেন আশাবাদী আপনারা হতাশ হবেন না।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা আজকে আমি আপনাদের সামনে কাস্মীর নিয়ে কয়েকটি কথা বলবো। বহুবছর থেকে দখলদার ভারতীয় বাহিনীর হাতে নির্মম নির্যাতিত হচ্ছে কাশ্মিরী জনগণ এবং ধর্ষিত হচ্ছে কাশ্মীরি মা ও বোনেরা। কিন্তু এত এত জুলুমের পরেও বন্দুকের নলের হুমকি থাকা সত্ত্বেও বসে নেই কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলন কারী বীর মুজাহিদরা।এবং একদিন এ চেষ্টা সফল হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। প্রতিটি জুলুমের সমাপ্তি কেমন হয় তা আপনারা জানেন।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এ পজ্জন্ত যতগুলো পদক্ষেপ ভারতীয় বাহিনীর কাশ্মিরী জনগণের বিরুদ্ধে নিয়েছে। তার মধ্যে গত কয়েক বছর উল্লেখযোগ্য।এর কারণ হচ্ছে পাকিস্তান কেন্দ্রীক সশস্ত্র সংগঠন গুলোর সক্রিয় অবস্থান।স্থানীয় সংগঠন গুলোর শক্তি বৃদ্ধি।এবং এ বিষয় আরও জোরালো প্রমাণ দেয় সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় বাহিনী খুবই কোনঠাসা অবস্থায় আছে স্বাধীনতাকামিদের হামলায় প্রায় মা-রা যাচ্ছে ভারতীয় সেনারা। এবং ভারত সরকারের জন্য আরও বড়ো হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে আপগানের বিজয়। জার জন্য কখনোই প্রস্তুত ছিলেন না তারা।কিন্তু এটাই আল্লাহর পরিকল্পনা এবং এটাই ইসলামের বিজয়ের শতাব্দী ইনশা আল্লাহ।

কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী কাস্মীরে এই মুহূর্তে খুবই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী! প্রতিজন কাস্মীরী জনগণের বিপক্ষে ২ জন করে সম্ভবত সেনা মোতায়েন করা আছে। আপাতত দৃষ্টিতে আপনার কাছে এটি সফল পরিকল্পনা মনে করলেও আমি মনে করি এটাই তাদের সবচেয়ে বড়ো ভুল এবং দুর্বলতা।কারণ আপনাকে সেভেন সিস্টার কথা ভুলে গেলে চলবে ন। অর্থাৎ কাশ্মীরের মতো আরো সাতটি অঙ্গ রাজ্য ভারত থেকে স্বাধীনতা চায়!আর এটি তাদের জন্য সবচেয়ে বড়ো দুর্বলতা।

 

ভারত জখন কাস্মীর নিয়ে ব্যস্ত ঠিক সেই সময় অন্য রাজ্যগুলির স্বাধীনতাকামীরা সুযোগ নিতে চাইবে এবং হামলা করে বসতে পারে।এবং আরও একটা পরিকল্পনা মুজাহিদরা নিতে পারে সেটি হচ্ছে সিন্দ বিজয়ের সময় জখন ভারতীয়রা এক সাথে মুজাহিদদের আক্রমণ করেছে তখন কৌশলি মুজাহিদরা তাদের প্রতিহত না করে।বিচ্ছিন্ন ভাবে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা গুলোতে হামলা শুরু করে!এবং এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে তখন তারা তাদের সেনাদের কমিয়ে ফেলে অন্য রাজ্য গুলোর নিরাপত্তার জন্য। আর এখন ও ঠিক সেইম কন্ডিশনে আছে ভারত। এক দিকে কাস্মীর সমস্যা অন্য দিকে বাকি রাজ্য গুলোর স্বাধীনতা আন্দলন। এই মুহূর্তে যদি বাকি রাজ্যগুলিতে হামলা শুরু হয় তাহলে কাশ্মীর থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে ভারতীয় সরকার বাধ্য।আর সেটি করলে কাস্মীরী স্বাধীনতা কামিদের মাইরের দোপে বেশিদিন কাস্মীরকে টিকিয়ে রাখতে পারবে না।আর যদি তা না করে বাকি রাজ্য গুলো হুমকিতে পড়বে এতে কোন সন্দেহ নেই ।

আর এ জন্য ভারতীয়রা যে বাড়তি সেনা নিয়োগ দিবে সে পরিমাণ অর্থের মুরোদ বর্তমানে তাদের নেই।করোনা পরবর্তী ভারতের যে অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটছে যা বলা বাহুল্য।টোটাল কথা হচ্ছে এখন সময় এসেছে বিজয়ের! পুরো বিশ্বে ইসলামে যে উত্থান হতে যাচ্ছে তা ঠেকানো৷ দুনিয়ার কারো পক্ষে সম্ভব নয় ইনশাআল্লাহ।

আর কাস্মীর বিজয়ের সাথে সাথে বদলে যাবে দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি। সংগঠিত হবে গাজওয়াতুল হিন্দ।আর এটাই মোসলমানদের জন্য আল্লাহর পক্ষ হতে থাকবে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার।রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন

রসূলে করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার খাদিম হযরত ছাওবান রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলে করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক আমার উম্মতদের দু’টি দলকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দান করেছেন। আর সেই দুটি দল হচ্ছেন, এক. যাঁরা হিন্দুস্তান বা ভারতের মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করবেন। দুই. আর অপর দলটি হচ্ছেন, যাঁরা হযরত ঈসা ইবনে মারইয়াম আলাইহাস সালাম-উনার সাথে থাকবেন।” সুবহানাল্লাহ!
√ নাসাঈ শরীফ- কিতাবুল জিহাদ- বাবু গাযওয়াতুল হিন্দঃ হাদীস নম্বর ৩১৭৫।
√ মুসনাদে আহমদ ৫/২৬৮।
√ আল তারীখুল কাবীর লিল বুখারী ৬/৭৩।
√ তাহযীবুল কামাল ৩৩/১৫২।
√ সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১০/৮০।
√ মুখতাছারে তারীখে দিমাশক্ব ৬/৪৬৭।

আল্লাহ আমাদের এ বিজয় দেখার তাওফিক দিক।

Leave a Reply