You are currently viewing বাশার আল-আসাদ ও তাকে নিয়ে করা বিশ্ব নবীর ভবিষ্যতবাণী।

বাশার আল-আসাদ ও তাকে নিয়ে করা বিশ্ব নবীর ভবিষ্যতবাণী।

পর্বঃ১

হযরত আরতাত (রাঃ) বলেন,
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন। সামে তথা সিরিয়ায় একজন শাসকের আবির্ভাব ঘটবে। সেই হবে বনুকাল্ব গোত্রের। বিশ্ব নবী রাসুলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ঐ শাসককে সুফিয়ানি নাম বলেছেন অর্থাৎ সেই হবে সুফিয়ানী বংশের। রাসুলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন শাম দেশে দুইজন সুফিয়ানের আবির্ভাব ঘটবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় সুফিয়ানী, ইমাম মাহাদী কে হত্যা করার জন্য মদিনার একটা বাহিনী প্রেরণ করবে। যার সংখ্যা ৭০ হাজার। এবং এ বাহিনীটি মদিনার বায়দা নামক স্থানে পৌঁছানোর পরপরই আল্লাহ তাদের মাটির সাথে মিশিয়ে দিবেন।

“২য় সুফিয়ানি কুফায় প্রবেশ করবে। তিনদিন পর্যন্ত সে দুশমনদের বন্দীদেরকে সেখানে আটকে রাখবে এবং সত্তর হাজার কুফাবাসীকে হত্যা করে ফেলবে। তারপর সে আঠার দিন পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে তাদের (কুফাবাসীদের) সম্পদগুলো বণ্টন করবে। তাদের (কুফাবাসীদের) মধ্যে একদল খোরাসানে ফেরত যাবে। সুফিয়ানির সৈন্যবাহিনী আসবে এবং কুফার বিল্ডিংগুলো ধ্বংস করে সে খোরাসানবাসীদেরকে তালাশ করবে। খোরাসানে একটি দলের আবির্ভাব ঘটবে, যারা ইমাম মাহদির দিকে আহ্বান করবে। অতঃপর মাহদি ও মানসুর (একজন সেনাপতি) উভয়ে উভয়ে কুফা থেকে পলায়ন করবে। সুফিয়ানি উভয়ের তালাশে সৈন্য প্রেরণ করবে। অতঃপর যখন মাহদি ও মানসুর মক্কায় পৌঁছে যাবে, তখন সুফিয়ানির বাহিনীকে ‘বায়দা’ নামক স্থানে মাটির নিচে ধ্বসিয়ে দেওয়া হবে। এরপর মাহদি মক্কা থেকে বের হয়ে মদিনায় যাবেন এবং ওখানে বনু হাশেমকে মুক্ত করবেন। এমন সময় কালো পতাকাবাহী লোকেরা এসে পানির উপর অবস্থান করবে। কুফায় অবস্থিত সুফিয়ানির লোকেরা কালো পতাকাবাহী দলের আগমনের কথা শুনে পলায়ন করবে। কুফার সম্মানিত লোকেরা বের হবে যাদেরকে ‘আসহাব’ বলা হয়ে থাকে, তাদের কাছে কিছু অস্ত্র শস্ত্রও থাকবে এবং তাদের মধ্যে বসরা’বাসীদের থেকে একজন লোক থাকবে। অতঃপর কুফাবাসী সুফিয়ানির লোকদেরকে ধরে ফেলবে এবং কুফার যে সব লোক তাদের হাতে থাকবে, তাদেরকে মুক্ত করবে। পরিশেষে কালো পতাকাবাহী দল এসে মাহদির হাতে বাইয়াত গ্রহণ করবে”।

(আল ফিতানঃ ৮৫০, মুহাক্কিক আহমদ ইবনে সুয়াইব এই হাদিসটির সনদকে ‘লাবাসা বিহা’ বা ‘বর্ণনাটি গ্রহণ করা যেতে পারে’ বলেছেন)

এবার আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে? এই সুফিয়ানী শাষকরা কারা। এবং তাদের সাথে বাশার আল-আসাদের কি সম্পর্ক। জি সম্মানিত পাঠকগণ সুফিয়ানের সাথে বাসার আল আসাদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। বিশ্ব নবী রাসুলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম। সুফিয়ানির যে বৈশিষ্ট্যগুলো বলে গেছেন। তার সাথে বাশার আল-আসাদ এবং তার পিতা হারিস আল আসাদের সাথে( তথাপি ১ম সুপিয়ানি) সাথে সম্পূর্ণ মিল রয়েছে।

সম্মানিত ভাইয়েরা বিশ্ব নবী রাসূল করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম। কখনো ভবিষ্যত বাণীতে কোনো ব্যক্তির নাম বলে যাননি তাদের বৈশিষ্ট্য গুলো বলে গেছেন। ইনশাল্লাহ আমি আগামীকাল বাশার আল আসাদ এবং তার পিতার সাথে সুফিয়ানীর বৈশিষ্ট্য গুলো মিলে কিনা তা আপনাদের সামনে দেখাবো।

ততক্ষণ পর্যন্ত একটু সবুর করুন।

Leave a Reply