You are currently viewing মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নাও হে  মৃত্যু পথযাত্রী

মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নাও হে মৃত্যু পথযাত্রী

আমি মৃত্যুকে দেখেছি। সে কিভাবে লুকিয়ে থাকে। মানুষের ভিড়ে।
আমি মৃত্যুকে দেখেছি রাস্তার মধ্যখানে দাড়িয়ে থাকতে।

আমি মৃত্যুকে দেখেছি হাসপিটালের সিটে সিটে
আমি মৃত্যুকে দেখেছি উৎ পেতে দাড়িয়ে থাকতে।

আমি মৃত্যুকে দেখেছি মুমূর্ষু রোগীর কন্ঠনালীতে
আমি মৃত্যুকে দেখেছি হাজারো মানুষের প্রাণ বের করে নিতে

আমি মৃত্যুকে দেখেছি। জিবনের সাথে তর্ক করতে।
আমি মৃত্যুকে দেখেছি তার সাথে সবাই হেরে যেতে।

আমি মৃত্যুকে দেখেছি গভির রাতের বিছানার পাশে।
আমি মৃত্যুকে দেখেছি নিরবে দেহ থেকে বেরিয়ে যেতে

আমি মৃত্যুকে দেখেছি রাস্তার মোড়ে মোড়ে
আমি মৃত্যুকে দেখেছি হঠাৎ মানুষকে খাবলে ধরতে।

আমি মৃত্যুকে দেখেছি যুবকের চিবুক ছিড়তে
আমি মৃত্যুকে দেখেছি বৃদ্ধের ফুসফুসের ভেতরে

মৃত্যু পিছনে ঘুরে আমার
আমি ও যে মৃত্যুপথ পথিক
আমি গ্রহন করবো সেই মৃত্যুর স্বাদ

সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানে।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা প্রত্যেক প্রাণীকে ই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে ই হবে। আল্লাহ রব্বুল আলামীন কুরআনুল কারিমে বলেন।

নিশ্চয়ই মৃত্যুর সময় নির্ধারিত। আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কারো মৃত্যু হতে পারে না। কেউ পার্থিব পুরস্কারের জন্যে কাজ করলে তাকে তার পুরস্কার ইহকালে দান করবো। আর যদি কেউ পরকালের জন্যে কাজ করে তবে তার পুরস্কার সে পরকালে পাবে। শোকরগোজার বান্দাদের কাজের ফল আমি নিশ্চয়ই দেবো।’ [সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১৪৫]

হায় কতো মানুষ পৃথিবী থেকে কবর বাসি হয়ে গেছে।কত স্বপ্ন নিয়ে তারা বেঁচে ছিল।ছিলো স্ত্রী-সন্তান অজস্র বন্ধুবান্ধব।তারা আজ কোথায়?এ জমিনে অনেক প্রতাপশালী ছিলো, ছিলো কতো দাম্বিক তারা আজ কোথায়? অনেক জালিম ছিলো যাদের জুলুমে মাজলুমের চোখের পানি বের হয়ে পড়তো।তারা আজ কোথায়? এ জমিনে অনেক সাম্রাজ্যবাদী শাসক ছিল তারা আজ কোথায়?প্রিয় ভাই ও বোন মৃত্যু আজ তাদের আর আমাদের মধ্যে এক অপ্রতিরোধ্য দেয়াল সৃষ্টি করে দিয়েছে।আপনি আমিও মৃত্যুবরণ করবো।মৃত্যু
সুনিশ্চিত এটি থেকে পালানোর কোনো সুযোগ নেই।আপনি যতই পালানোর চেষ্টা করেন না কেন ঠিক মৃত্যু আপনাকে স্মরণ করে নিবে।পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকেন না কেন।

দুনিয়ার মরীচিকাময় অন্ধ হয়ে যাওয়া প্রিয় ভাই ও বোন। দুনের সংক্ষিপ্ত সময়ে মরীচিকা ছাড়া আর কিছুই নয়।এ মরীচিকা ময় জিবন আপনাকে কি ভাবে প্রতারিত করল। অথচ আমার আল্লাহ সুরা আল আন আমের ৩২ নং আয়াতে বলেন

আর দুনিয়ার জীবন খেলাধুলা ও তামাশা ছাড়া কিছু না। আর যারা তাকওয়া অবলম্বন করে তাদের জন্য আখিরাতের আবাস উত্তম। অতএব তোমরা কি বুঝবে না?

প্রিয় ভাই ও বোন পৃথিবী এক পান্থশালা-পুতুল, কাঁচের রঙ্গমঞ্চ। এখানে কেউ স্থায়ী নয়। দুদিনের প্রবাসে এখানে কেউ আসে, আবার চলে যায়। এ মায়াবী পৃথিবী মানুষের যত হাসি-গান, যত যশ-খ্যাতি, জয়, প্রাচুর্য, আবিষ্কার, ত্যাগ-তিতিক্ষা ইত্যাদি সব গ্রহণ করে। কেবল মানুষকে গ্র্রহণ করে না। মারা যাওয়ার সাথে সাথে সে হয়ে যায় পচা লাশ। সে লাশের কানাকড়িও মূল্য থাকে না। তার ঠিকানা হয় গোরস্থানে, না হয় শ্মশানে।

কবর হয় ঠিকানা, মাটি হয় বিছানা। গাড়ি-বাড়ি, টাকাকড়ি, ক্ষমতা-যশ, প্রাচুর্য, আপনজন ইত্যাদি তার সঙ্গী হয় না। সব ফেলে তাকে খালি হাতে কবরে যেতে হয়। তখন সে বড় একা, বড় অসহায়। একাকী অজানা দেশে পাড়ি দেয়| পৃথিবীর বড় মহলের জলসাঘরে মানুষের আসার একটা সিরিয়াল আছে। কিন্তু যাওয়ার কোন সিরিয়াল নেই। এখানে আসার অমোঘ বিধান হলো, দাদার পর বাবা, বাবার পর নাতি আসবে। কিন্তু এখান থেকে যাওয়ার কোনো সিরিয়াল নেই। অতঃপর বৃদ্ধ দাদার আগে দুঘণ্টার মধ্যে নাতি চলে যায়। আবার বাবার আগে চলে যায় ছেলে।

Leave a Reply