প্রিয় ভাই ও বোনেরা!
আজ আমি আপনাদের এক কঠিন বাস্তবতার সামনে তুলে ধরবো! কথা গুলো কষ্টের হলেও বাস্তব। সিমাহিন নজির বিহীন এক ফেতনার সময় আমরা পার করতেছি। যায় কোন নজির নেই। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, আমাদের বলা এবং করা কাজগুলো বড়োই ভিন্ন।
আফসোস ও পরিতাফের বিষয়, সারারাত নগ্ন হয়ে শুয়ে থেকে ইয়াবা সেবন করা মেয়েটি ফেসবুকে স্ট্যটাস দিচ্ছে ঘুমের চেয়ে নামাজ উত্তম।মাথায় জেল দিয়ে চুল খাড়া করে দেওয়া ভাইটি স্ট্যাটাস দিচ্ছেন আজকাল পর্দাশীল নারী পাওয়া খুব কঠিন।। অথচ, তার ফিচার ফটোতে নেলপালিশ পড়া মেয়ের কোন অভাব নেই!
বুক টান টান করে ঠোঁট কামড়িয়ে ইনস্টাগ্রামে পিক আপ্লোড করা মেয়েটি ক্যাপশন দিচ্ছে আল্লাহ সব কিছুর মালিক।
মাথায় বাঁধাকপির মতো হিজাব পড়া মেয়েটি কড়া লাল লিপস্টিক দিয়ে ছবি আপ্লোড করে বলছে পর্দা করা ফরজ ইবাদাত। আসুন পর্দা করি!
অবৈধ উপার্জন করা মানুষটা টাকা হাতে পেয়ে বলছে হে পরওয়ারদিগার! আপনি আমার প্রতি যে করুণা করেছেন।নিশ্চয়ই আমি তার মুখাপেক্ষী। সুদখোর চাচাটা মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে পড়তে কপালে বেহেশতের চিহ্ন অঙ্কিত করে ফেলেছে।। অথচ হাদিসে আছে, অবৈধ উপার্জন দ্বারা গঠিত শরীরের রক্ত মাংস দোজখে যাবে।এবং সে টাকা দিয়ে হচ্ছে বড়ো বড়ো মসজিদ এবং মসজিদ গুলোর সভাপতি হচ্ছে বড়ো বড় সব সুদখোর।
ছেলেটা সারারাত পর্নোগ্রাফি দেখে দিনে বলছে ইসলামী নামাজি একজন মেয়েকেই বিয়ে করব।পর্দার লংঘন করা ফেসবুকে চবি দেয়া মেয়েটির কমেন্টে লিখিতেছে মাশাআল্লাহ।
নাই নামাজ, নাই বন্দেগী, মেয়েটি স্টেটাস দিচ্ছে এই সূরা এতবার পড়লে বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
আসলে আমরা অনেকেই সভ্য। কিন্তু সভ্যতার মুখোশের আড়ালে আমাদের মাঝে আরেকটি রূপ বাস করছে যেটি আমি কিংবা আপনি…
আপনার কি খবর অবস্থা?