You are currently viewing মোসলমানরা নয়! চীন, রাশিয়া, ও আমেরিকার মাধ্যমে সংঘটিত হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।

মোসলমানরা নয়! চীন, রাশিয়া, ও আমেরিকার মাধ্যমে সংঘটিত হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কখনো মুসলিমরা সংঘটিত করবেনা।
আমেরিকা,রাশিয়া ও চায়না মাধ্যমে সংগঠিত হবে।

যদি একবার আমেরিকা এবং রাশিয়া যুদ্ধে জড়িয়ে যায় তাহলে সেটা পারমাণবিক হামলা পর্যন্ত পৌঁছাবে।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ রাশিয়া, ইউক্রেন দিয়ে শুরু হবে এটা স্পষ্ট বলা যাবে না ! তবে যদি চিন এই সুযোগে তাইওয়ানে হামলা করে বসে তাহলে কিছু বলা যাচ্ছে না, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা এখান থেকেই শুরু হতে পারে।কারন “দুই ফ্রন্টে” পশ্চিমারা এভাবে মার খেলে তাদের আর কেউ বিশ্বাস করবে না “গনতন্ত্র” বিলুপ্ত ঘটবে।

আরো সহজ করে বলি “স্নায়ুযুদ্ধ“ যেটি ১৯৪৭-১৯৯১ প্রযন্ত ছিলো, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশসমূহ ছিল – ( গণতন্ত্র ও পুঁজিবাদের ) পক্ষে।অন্যদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও তার মিত্র দেশসমূহ ছিল- সাম্যবাদ বা সমাজতন্ত্রপন্থী।এদের মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সাথে সাথে গণতন্ত্র- সারা বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করে। সমাজতন্ত্রপন্থীর প্রায় বিলুপ্ত ঘটে।

এখন বুঝতেই পাচ্ছেন? এখন ‍যদি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে, পশ্চিমার হেরে যায় তখন গণতন্ত্র নয় সমাজতন্ত্রপন্থীরা মাথা চারা দিয়ে উঠবে।আর এটি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশসমূহ কখনোই হতে দেবে না।
এবং তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লেগে যেতে পারে!

বেপারটা এমন হবে
(“রাশিয়া বনাম ন্যাটো জোট”) আর (“চিন বনাম কোয়াড জোট যেটি আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের) নিয়ে গঠিত )

এবার আসুন নবিজি র হাদিস থেকে জানা জাক!

নবী করীম (স:) এর ভবিষ্যদ্বাণী করা মালহামা/তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কিত হাদিসটা একটু বর্তমান পৃথিবীর সাথে মিলিয়ে নিন। আশাকরি আপনার ঈমান বৃদ্ধি পাবে।

হযরত হুজায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, বিশ্বব্যাপী অধঃপতন শুরু হবে। এমনকি মিশর অধঃপতনের সম্মুখীন হবে। আর মিশর নিরাপদ থাকতেই বসরার(ইরাক) অধঃপতন হবে। বসরা(ইরাকের) অধঃপতন হবে ডুবে যাওয়ার কারনে। মিশরের অধঃপতন হবে নিলনদ শুকিয়ে যাওয়ার কারনে। মক্কা ও মদিনার অধঃপতন হবে ক্ষুধার কারনে। ইয়েমেনের অধঃপতন হবে পঙ্গ পালের কারনে। উবলা’র অধঃপতন ঘটবে অবরোধের মাধ্যমে। পারস্যের(ইরানের) অধঃপতন হবে রিক্তহস্ত ও চোরডাকাতের মাধ্যমে। তুর্কিদের(তুরস্কের) অধঃপতন হবে দায়লামীর(কুর্দি) পক্ষ থেকে। দায়লামী(কুর্দি) অধঃপতন হবে আর্মেনিয়ার পক্ষ থেকে। আর্মেনিয়ার অধঃপতন হবে “খাযার”(রাশিয়া) পক্ষ থেকে।” খাযার”(রাশিয়া) এর অধঃপতন হবে তুর্কি(তুরস্ক) পক্ষ থেকে। আর তুর্কি(তুরস্ক) অধঃপতন হবে বজ্রাঘাতের(পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ) এর মাধ্যমে। সিন্ধ(পাকিস্তান) এর অধঃপতন হবে হিন্দুস্তান(ভারত) পক্ষ থেকে। হিন্দুস্তানের (ভারত) অধঃপতন হবে তিব্বতের (চীন) পক্ষ থেকে। তিব্বতের(চীন) অধঃপতন হবে “রমূল”(প্রাচীন রোমানদের একটি গোত্র বা, আমরিকা) পক্ষ থেকে। হাবসার (ইথিওপিয়া) অধঃপতন হবে ভূমিকম্পের মাধ্যমে। “জাওরা” (বাগদাদ) এর অধঃপতন হবে সুফিয়ানীর তান্ডবের কারনে। “রাওহা”(বাগদাদ শহরের ছোট এলাকা) এর অধঃপতন হবে ভূমিধ্বসের মাধ্যমে। আর সম্পূর্ণ কুফা(ইরাক) এর অধঃপতন হবে হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে।

গ্রন্থঃ তাজকিরাহ, লেখকঃ ইমাম কুরতুবী, আন নিহায়া ফিল ফিতান, লেখকঃ ইবনে কাসীর, আস সুনানু ওয়ারিদাতু ফিল ফিতান)

ভিডিও আলোচনা।সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল ।

উক্ত হাদিসে ইয়ামেন পঙ্গপালের কারণে অধঃপতন হয়ে গেছে। মুসলিমের আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ শহর যুদ্ধের কারণে ইরাকের অধঃপতন হয়ে গেছে। আর ইরাকের অধঃপতন শুরু মানে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু। হাদিসের আলোকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। এখন যদি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখি চীন-ভারত, ভারত-পাকিস্তান , চীন-আমেরিকা এই রাষ্ট্রগুলির মধ্যে একে অপরের প্রতি সম্পর্ক কেমন? তাহলে উত্তর পেয়ে যাব, যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কতটা নিকটবর্তী। আর এই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে মুসলমানদের দুঃখ কষ্ট দিয়ে শেষ হবে মুসলমানদের বিজয় দিয়ে। যুদ্ধের চরম এবং শেষ মুহূর্তে ইমাম_মাহদী আবির্ভূত হবেন। আর তিনি আসার পরে তজবি যেমন ছিড়ে গেলে একটার পর একটা পুঁতির দানা পড়তে থাকে তেমনিভাবে একটার পর একটা কেয়ামতের আলামত প্রকাশিত হতে থাকবে। (বিইজনিল্লাহ)

আমরা অনেকেই ভাবতেছি হয়তো করোনা শেষ হয়ে গেলে পৃথিবী আগের মত ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আসলে এমনটি হবে না কারণ পৃথিবীর রাষ্ট্রগুলো নিজেদেরকে শক্তিশালী করার জন্য একে অপরের উপরে হামলা করবেই।আর সামনে আসতেছে অর্থনৈতিক ম্যাসাকার। যার ফলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ রূপ নেবে। আল্লাহ আমাদের সকলকে হেফাজত করুন।

Leave a Reply