You are currently viewing বারমুডা ট্রায়াঙ্গল ও দাজ্জাল রহস্য পর্বঃ ৫———————————-

বারমুডা ট্রায়াঙ্গল ও দাজ্জাল রহস্য পর্বঃ ৫———————————-

আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ বলেছিলেন,” আমার কাছে সরাসরি খোদার কাছ থেকে নির্দেশনা আসে।” ইরাক আক্রমণের পূর্বে বুশ বলেছিলেন-“এই যুদ্ধের পর তাদের প্রতিশ্রুত মাসীহ (দাজ্জাল) আবির্ভূত হবে। এরপর বুশ ইসরাইল সফর করেন। মস্কো টাইমস এর রিপোর্ট অনুযায়ী এই সফরের সময় এক বৈঠকে (যেখানে ফিলিস্তিনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ আব্বাস ও হামাস নেতারাও উপস্থিত ছিলেন) বলেছেন -” বর্তমান পদক্ষেপে আমি সরাসরি খোদা থেকে শক্তি অর্জন করেছি। খোদা আমাকে আদেশ করেছেন আল কায়েদার উপর আঘাত হানো। সেজন্যই আমি তার উপর আঘাত হেনেছি। তারপর তিনি আদেশ করেছেন সাদ্দামের উপর আক্রমণ কর। ফলে আমি সাদ্দামের উপর আক্রমণ করেছি। এখন আমার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা হল আমি মধ্যপ্রাচ্যের সমস্যার সমাধান করবো। তোমরা (ইহুদীরা) যদি আমাকে সাহায্য কর আমি সম্মুখে অগ্রসর হব। অন্যথায় আমি আসন্ন নির্বাচনের প্রতি মনোযোগী হতে চাই।”

কি বুঝলেন? বুশের এই বক্তব্য প্রতিজন সেই মুসলমানদের চোখগুলো খুলে দেয়ার জন্য যথেষ্ট, যারা বিশ্বময় চলমান জিহাদগুলোকে বিভিন্ন অভিধায় ভূষিত করে বদনাম করেন কিংবা সন্ত্রাসবাদ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। ‘ফ্রি থট টুডে’ এর সম্পাদকের মতে-“প্রেসিডেন্ট বুশের মত এত ধর্মীয় প্রেসিডেন্ট আমি আগে কখনো দেখি নি। তিনি একটি ধর্মীয় মিশন নিয়ে কাজ করছেন। আপনি তার ধর্মকে তার সমরনীতি থেকে আলাদা করতে পারবেন না।” বুশের এই ‘ধর্মীয় মিশন’ কী হতে পারে আপনাদের বুঝার কথা। এর আগেও ইলুমিনাতির পর্বগুলোতে আমি বলেছিলাম এবং প্রমাণ দিয়েছিলাম বুশ ইলুমিনাতি-ফ্রিম্যাসন্স সোসাইটির সক্রিয় সদস্য। বুশকে নিয়ে যারা লিখেছেন তাদের মন্তব্য হল-তার প্রতিটি বক্তব্য ও প্রতিটি সাক্ষাতকারে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে,তিনি একটি ‘ম্যাসিনিক মিশন’ নিয়ে কাজ করছেন। বলা বাহুল্য, খ্রিস্টানরা হযরত ঈসা (আ:) এর অপেক্ষা করছে আর ইহুদীরা ঈসার পরিবর্তে মাসীহ তথা দাজ্জালের অপেক্ষা করছে। সেজন্য বুশও ইহুদীদের নিমকের হক আদায় করণার্থে ‘আমি ঈসায়ী মিশনের উপর প্রতিষ্ঠিত’ বলার পরিবর্তে বলছেন ‘আমি মাসীহ এর মিশনের উপর প্রতিষ্ঠিত’। যার ফলে খ্রিস্টানরাও তার ধোকায় পড়ে ইহুদীদের সাহায্যকারী হয়ে গেছে।

এই আলোচনার আলোকে আমরা বলতে পারি, তার এই খোদা হলেন, ইবলিস। ইবলিস ই তাকে সরাসরি নির্দেশনা দিত। কিংবা দাজ্জাল কোন একটা জায়গা থেকে সরাসরি বুশ ও তার মতো কাফের নেতাদের নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে।
দাজ্জালের কথা এজন্য বলা হল কারন, খ্রিষ্টানদের একটা উপদলের দৃষ্টিভঙ্গী হলো, জনসম্মুখে আত্মপ্রকাশের আগে দাজ্জাল নিজের জন্য পরিবেশ তৈরি করবে এবং বিরুদ্ধবাদী শক্তিগুলোকে তার এজেন্টদের মাধ্যমে ধ্বংস করাবে।
আলোচ্য হাদিসের শেষে বলা হয়েছে, “কুস্তন্তনিয়ার (ইস্তাম্বুল) অধিবাসীরা তাদের সাহায্য করবে। নিকট অতীতে তুরস্ককে এমন এক শ্রেণীর মানুষ শাসন করছে, যারা মুসলমানদের তুলনায় কাফের প্রতি বেশী আন্তরিক। আর এমনও হতে পারে যে, অদূর ভবিষ্যৎতে এই অঞ্চলটি পুরোপুরি কাফেরদের কব্জায় চলে যাবে।”

চলবে,,,,,, ইনশাআল্লাহ।

Leave a Reply