You are currently viewing স্যাটানিজম কি?কি এর উদ্দেশ্য।

স্যাটানিজম কি?কি এর উদ্দেশ্য।

স্যাটানিজম, ব্যক্তিবিশেষ পর্দার আড়ালে এবং প্রকাশ্যেই এক সয়তান চক্র।আর এই শয়তানি কাজগুলো করতেছে আমার আপনার মত মানুষ গুলোই। এটি সম্বন্ধে খুব কম মানুষই অবগত।প্রিয় পাঠক আজ আমি আপনাদেরকে স্যাটানিজম সম্বন্ধে প্রাথমিক ধারনা দেয়ার চেষ্টা করব।

স্যাটান যার অর্থ “শয়তান” বা পথভ্রষ্ট জিন যাকে আরবিতে বলা হয় ইবলিশ।
শয়তানের উদ্দেশ্যে বা শয়তানকে দেবতাস্বরুপ মেনে বিভিন্ন কুফরি কাজ বা খারাপ কাজ করাকে বলা হয় স্যাটানিজম।

যেমনঃ জাদুটোনা, বানমারা, নরবলি, নরহত্যা, নাচগান, ফেতনা ছড়িয়ে দেয়া ইত্যাদি। যারা এই কাজ করে তাদের কে বলা হয় “স্যাটানিস্ট” বা “লুসিফারিয়ান”।

স্যাটানিজমের মূলমন্ত্র হচ্ছে প্রতিদিন বা একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর খারাপ কাজ করতে হবে। যে যত বেশি খারাপ কাজ করবে সে তত তাড়াতাড়ি তার লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে। প্রাণের বলিদান এক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য কাজ। প্রতিমাসে কোনো প্রাণী খুন করতে হবে এবং বছরে একবার নরহত্যা । তারা ব্ল্যাক মাস নামে এক ধরনের অনুষ্ঠান পালন করে যা কিছুটা হিন্দুদের পূজোর মতো তবে কিন্তু তা করা হয় গোপনে। যেখানে মানুষকে অপবিত্র করাই হলো মূল নীতি। সেটা বিকৃত যৌনাচার, নরহত্যা বা যে কোনরকমের পাপের মধ্য দিয়ে হতে পারে।আর এরকম করার মূল পিছনে রয়েছে লুসিফার।এটা লুসিফারের বার্তা।

লুসিফার_ শব্দটি বাইবেল থেকে এসেছে যার অর্থ ইবলিস।ইসলাম ধর্মে আমরা যাকে শয়তান বলে ডাকি। লুসিফারের অনুসারীরা রা মনে করে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইবলিসকে জান্নাত থেকে বিতাড়িত করে তার উপরে জুলুম করেছে। এখন মানুষ যদি তার আত্না শয়তানের কাছে বিক্রয় করে দেয় তাহলে শয়তান অনেক শক্তিশালী হবে। এরপর আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জিতবে (নাউজুবিল্লাহ)।

এই ধর্মকে বলা হয় “লুসিফারিয়ানিজম”
এখন প্রশ্ন থাকতে পারে, এই আত্নার বিনিময় কিভাবে হয়?এইটা কিভাবে সম্ভব?এর বিনিময় হয় জাদুবিদ্যার মাধ্যমে, মানুষ যখন জাদুবিদ্যার মাধ্যমে খারাপ জিন কে হাজির করে তখন ঐ জিন বা শয়তান নিজেকে খোদা দাবি করে বসে বা ঐ জাদুকরের সাথে লেনদেন করে থাকে আর জাদুকর শয়তানকে খুশি করার জন্য বিভিন্ন কাজ করে থাকে যেমনঃ নরবলি, নরহত্যা ইত্যাদি।

আল্লাহতালা সুরা বাকারার ১০২ নং আয়াতে বলেছেন _” আর যারা জাদুবিদ্যায় অবলম্বন করে তাদের জন্য পরকালে কোন অংশ নেই যার বিনিময়ে তারা আত্না বিক্রয় করে।

এই স্যাটানিজমকে বেইজ করে তৈরি হয়েছিল বিভিন্ন ধর্ম বা দেবদেবী। তারা বিভিন্নরুপে জাদুকর বা মানুষের সামনে হাজির হত। আর জাদুকররাও তাকে খোদা মানত। এবং পরবর্তীতে ঐ রুপে নেয়া জিনকে মুর্তিতে পরিণত করত বা ঐ চেহারার মুর্তি বানিয়ে তাকে পুজা করত। যা এখনো হয়ে আসছে আগে শয়তানের উদ্দেশ্য ঐ শয়তানের সামনে বলি দেওয়া হত।

এই স্যাটানিজম কে ভিত্তি করেই রয়েছে বিভিন্ন বিভাগ, গ্রুপ/ দল

এরমধ্যে অন্যতমঃইলুমিনাতি, ফ্রিমেসন, স্কাল এন্ড বোন, নাইট টেম্পলার, কাবালিজম, রসিক্রুসিয়ান্স, এই রকম আরও হাজারও দল। , এরা এখন নয় বরং নবি রাসুলদের সময় থেকে এদের নাম ছিল তখন এদের নাম ছিল ভিন্ন ভিন্ন।এরা যুগে যুগে নিঃস্বার্থে এদের নাম পরিবর্তন করেছে। এদের বর্তমান কাজ হলো মানুষদের পথভ্রষ্ট করা।

অর্থাৎ স্যাটানিজম একটা শয়তান তন্ত্র।যার সকল কাজের ভিত্তি হচ্ছে শয়তানকে খুশি করা এবং শেষ সময় দাজ্জালের পথ সুগম করা।

Leave a Reply