You are currently viewing ফিৎনার জামানায়  আপনার জন্য দুইটি মহাসাগর।

ফিৎনার জামানায় আপনার জন্য দুইটি মহাসাগর।

মডারেট মোসলমানদের সাথে ইসলামের কোন বিষয়ে আমি যুক্তিতে যেতে ইচ্ছুক নই। ইসলামে নারীনীতি বলেন অথবা বহুবিবাহ বা বাল্যবিবাহ বলেন, তবলিগ হোক আর দেউবন্দই হোক, কোন বিষয়েই যুক্তি-পাল্টাযুক্তিতে যেতে রাজি নই। যুক্তি দিয়ে আপনি সব কিছুকে আটকে দিতে পারবেন। উদাহরণ হিসেবে বলতে চাই,,,,,,,,,,,

অযু ভাঙ্গে পশ্চাদদেশ দিয়ে, কিন্তু ধুতে হয় হাত-মুখ। যুক্তির কথা তো ছিল পশ্চাদদেশ ধুয়ে নিলেই হবে। কিন্তু ইসলাম অযুর মাধ্যমে মুসলমানদের বুঝিয়ে দিয়েছে যে ইসলাম কোন যুক্তির পরোয়া করে না..

আপনি হ্যামফারের ডায়েরি বইটা পড়ুন, সেখানে দেখবেন, ই/হু/দি আলেমরা কিভাবে মুসলমানদের মগজের উপর যুক্তির অ/স্ত্রপচার চালিয়েছে। আপনি যদি সূরা কাহফ পড়েন (আজ পড়তে যেন ভুলবেন না), যেটি একটি শেষ যুগ বিষয়ক সূরা, তাহলে দেখবেন, সেখানে হযরত খিযির (আ), যিনি শেষ যুগের জ্ঞানের মডেল, এমন কিছু কাজ করেছেন যার ব্যাখ্যা যুক্তি দিয়ে করা যায় না। আপনি যদি সূরা হাদীদের ৩ নং আয়াতটি পড়েন, সেখানে দেখবেন, আল্লাহ তায়ালা আদি-অন্তের, প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সব বিষয়ের উপর জ্ঞান রাখেন।

এখন এই অপ্রকাশ্য বিষয়সমূহকে প্রকাশ্য বিষয়ের জ্ঞান দ্বারা ব্যাখ্যা করা যাবে না। এখানেই আমরা হারমোনিয়াসলি ইন্টিগ্রেটেড দুইটি সমুদ্রের সন্ধান পাই যে সমুদ্র দুইটির সংযোগস্থলে হযরত খিজির (আ) ছিলেন।

এ সমুদ্র দুইটি আটলান্টিক বা প্রশান্ত মহাসাগর নয়, ভারত সাগর বা আরব সাগরও নয়, এটি আসলে দুইটি জ্ঞান-সাগর। একটি বহির্জাগতিক জ্ঞান আরেকটি অন্তর্লব্ধ জ্ঞান।

দুঃখজনকভাবে এই অন্তর্লব্ধ জ্ঞানকে মুসলমানেরা বাদ দিয়েছে। দারুল উলুম গুলিতে তা আর পড়ানো হয় না। দাজ্জালের যেমন এক চক্ষু, অর্থাৎ সে শুধু বহির্জাগতিক জ্ঞানেই সন্তুষ্ট, দাজ্জালের ফেতনায় পতিত আজকের মুসলমানদের অবস্থাও তাই। কারণ ই/হু/দীরা মুসলমানদের অন্তর্চক্ষুগুলোকে শেষ করে দিয়েছে..

আলহামদুলিল্লাহ, আরো অনেক কিছু বলা যায়। কিন্তু সংক্ষিপ্তই ভালো, যারা বুঝার সংক্ষিপ্ত থেকেই বুঝবেন ইনশাআল্লাহ…

🖋️🖋️ সিক্রেট এনালাইসিস

Leave a Reply