You are currently viewing হুমায়রা পাখি!এই দেখো তোমার প্রিয় খেজুর।

হুমায়রা পাখি!এই দেখো তোমার প্রিয় খেজুর।

উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার খুব মন খারাপ।রাসূলের সঙ্গে কি একটা ঠুনকো কারণে যেন হঠাৎই অভিমান করে বসেছেন।স্বচ্ছ কাচের মত কিশোরী মন তো,একটু আঁচরেই গভীর দাগ পড়ে যায়।তার ওপর প্রথম প্রেম,প্রথম প্রেমের সামান্য দরদও বড় আনচান হয়ে বাজে হৃদয়-অন্তরে। আর প্রেমিক-স্বামীটি যদি হন বিশ্বনবী,যাঁর জন্য মাতোয়ারা আরবের সুন্দরীরা,তখন তো ছোট্ট সোনালী মনটাতে ফুলের আঘাতও সইবে না!

অভিমানে সকাল থেকে না খাওয়া।কিশোরী মুখটা এতটুকুন হয়ে আছে মর্মযন্ত্রণায়।রাসূলও সকাল থেকে ঘরে নেই।
তাহলে একা একা এখন কি করবেন অভিমানী আয়েশা? এ যাতনা তাঁর যে আর সহ্য হচ্ছে না! কখন আসবেন তিনি? কখন ডাকবেন প্রিয়তম নাম ধরে?

ঘরের দরজায় টোকা পড়ল।সালাম দিয়ে ঘরে প্রবেশ করলেন রাসূল মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম।আয়েশা সালামের জবাব দিলেন,তবে মোটেও ফিরে তাকালেন না তাঁর দিকে।এত সহজে হেরে যাওয়ার পাত্রী তিনি নন।বুকভরা অভিমান এত সস্তসদরে বিকাবেন না।মহামূল্যে কিনতে হবে আজ।তিনি অপেক্ষা করছেন।

রাসূলের হাতে একটি খেজুরের পাত্র।কিছুক্ষণ আগেই মাত্র এক সাহাবি তাঁর বাগানের সবচেয়ে ভালো খেজুর রাসূল সমীপে হাদিয়া দিয়ে গেছেন।তিনি জানেন,এ খেজুরগুলো আয়েশার খুব পছন্দ। তাই দেরী না করে চলে এসেছেন ঘরে।ঘরে যে আয়েশা অভিমান করে বসে আছেন,সেটাও তাঁর অগোচরে নয়।এবং তিনি ভালো করেই জানেন,অভিমানী কিশোরী আয়েশার রাগ কীভাবে ভাঙাতে হয়।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ডাক দিলেন,

হুমায়রা পাখি!এই দেখো তোমার প্রিয় খেজুর।আল্লাহর নাম নিয়ে খেজুরগুলো খেয়ে নাও!
আয়েশার বুক থেকে সমস্ত অভিমান এক নিমেষে যেন হাওয়া হয়ে উবে গেল। আহ!কি মধুর করে ডাকেন তিনি।

তিনি ফিরে তাকালেন।থালা থেকে দুটো খেজুর উঠিয়ে মুখে দিতে দিতে কপট রাগ দেখিয়ে বললেন,’আল্লাহর নামেই তো খাব।এত দিন কি আমি আমার বাবার নামে খেয়েছি?’
কিশোরী আয়েশার এমন ‘আচ্ছারকম’ জবাব শুনে রাসূল অনেকক্ষন ধরে হাসলেন।💞💞

This Post Has One Comment

  1. hassan

    allah kobul korun

Leave a Reply