You are currently viewing দীর্ঘদিন জাহান্নামে থাকার পর জাহান্নামী  ব্যক্তির আকাঙ্ক্ষাঃ

দীর্ঘদিন জাহান্নামে থাকার পর জাহান্নামী ব্যক্তির আকাঙ্ক্ষাঃ


১.তারা জাহান্নাম থেকে বের হতে চাইবে। তাই তারা আল্লাহ তা’আলাকে বলবেঃ

“হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে নাও। আমরা যদি আবারও কুফরী করি তাহলে আমরা জালেম বলে গণ্য হবো।

তখন তিনি তাদেরকে বলবেনঃ “তোমরা এখানে লাঞ্ছিত অবস্থায় পড়ে থাকো এবং আমার সাথে কোন কথা বলিও না”।

এই প্রত্যাশা থেকে নিরাশ হওয়ার পর তারা হতাশ হয়ে বুঝতে পারবে যে তাদের বের হওয়ার আর কোন পন্থা নেই। তখন তারা পরবর্তী আশাটি করবে।


২.এরপর তারা জাহান্নামের দারোয়ান মালিকের কাছে আরজি করবে তিনি যেন তাদের জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ করেন।

আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ তারা (জাহান্নামীরা) ডাকবে, হে মালেক (জাহান্নামে দাড়োয়ান) তোমার পালনকর্তা যেন আমাদের জন্য একটা ফয়সালা করেন।
অর্থাৎ আজাব থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য তারা মরতে চাইবে। তখন তিনি বলবেনঃ তোমরা এখানেই অবস্থান করবে।

এরপর তারা আরো ভেঙে পড়বে পরবর্তী আকাঙ্ক্ষা করবে
আশ্চর্য এক আকাঙ্ক্ষা! শুনলেই শরীরের গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়! তা হচ্ছে তারা অন্তত একদিনের শাস্তি থেকে বাঁচতে চায়।

“যারা আগুনের মধ্যে থাকবে তারা জাহান্নামের প্রহরীদেরকে ডেকে বলবে, তোমাদের প্রতিপালকের নিকট একটু দোয়া করো, তিনি যেন আমাদের থেকে (অন্তত) একদিনের শাস্তি কমিয়ে দেন”!!!

তখন জাহান্নামের প্রহরীরা তাদেরকে বলবেঃ

“তোমাদের রাসূলগণ কি তোমাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে আগমন করেননি? …. তারা বলবেঃ হ্যাঁ, তখন ফেরেশতারা আবারো বলবেনঃ

তাহলে তোমরা ডাকতে থাকো আর কাফেরদের দোয়া ব্যর্থই হবে। তারপর তারা চতুর্থ আকাঙ্ক্ষাটি করবে জান্নাতীদের থেকে।

চতুর্থ আকাঙ্ক্ষাঃ

আর জাহান্নামের অধিবাসীরা জান্নাতের অধিবাসীদের ডেকে বলবে, “আমাদের ওপর কিছু পানি ঢেলে দাও অথবা আল্লাহ তোমাদেরকে যে জীবিকা (খাদ্য) দান করেছেন তার কিছু অংশ আমাদের দিকে দাও।” তারা বলবে, “আল্লাহ তো এ দুটোই কাফেরদের জন্য হারাম করেছেন।

▪কেন হারাম করা হলো?

তারা তো সেইসব লোকঃযারা তাদের দ্বীনকে বিনোদন ও খেলার বস্তু হিসেবে গ্রহণ করেছিল।
এবং ۚ দুনিয়ার জীবন তাদেরকে ধোঁকা দিয়েছিল।

(হে আমাদের রব! আমরা আপনার কাছে জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাই!)

This Post Has One Comment

  1. Farhana

    😭😭😭😭😭😭

Leave a Reply